যুক্তরাষ্ট্র সোমালিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো বিমান হামলা চালিয়েছে এবং হামলায় কয়েকজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। মার্কিন সামরিক বাহিনী শুক্রবার এ কথা বলেছে। খবর ইয়াহু নিউজ অনলাইনের।
পেন্টাগনের আফ্রিকা কমান্ড বলেছে, প্রথম বিমান হামলাটি চালানো হয়েছে মধ্য রাতে। গ্রিনিচমান সময় বৃহস্পতিবার ২১০০টায় এবং দ্বিতীয় হামলাটি চালানো হয় ৩ নবেম্বর সকাল ১১টায়। সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় কয়েকজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। সোমালিয়া সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে বিমান হামলাগুলো চালানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন সৈন্যরা আমেরিকানদের রক্ষার জন্য এবং সন্ত্রাসীদের হুমকি ব্যর্থ করে দেয়ার জন্য সকল শক্তি ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে। আইএস এ অঞ্চলে সদস্য সংগ্রহ করে যাচ্ছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এখানে জঙ্গী গ্রুপটির শক্তি কতটা তা স্পষ্ট নয় এবং তারা আল শাবাব গ্রুপের তুলনায় এক ক্ষুদ্র শক্তি।
আইএসের প্রতি অনুগত একটি গ্রুপ গত মাসে সোমালিয়ার আধা-স্বায়ত্তশাসিত পুন্টল্যান্ড অঞ্চলে একটি ছোট্ট বন্দর শহর অধিকার করেছে। গ্রুপটি অধিকতর বড় আল শাবাব বাহিনীর প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ এবং আইএসের প্রতিদ্বন্দ্বী আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে এর। এরা এক সময় সোমালিয়ার অনেক এলাকার নিয়ন্ত্রণে ছিল। যুক্তরাষ্ট্র সোমালিয়ায় আল শাবাব জঙ্গীদের বিরুদ্ধে কখনও কখনও আঘাত হেনেছে। আল শাবাব দেশের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় তাদের শক্তিশালী উপস্থিতি বজায় রেখেছে। তারা গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা চালায়। শাবাব গ্রুপের লক্ষ্য হচ্ছে, শান্তিরক্ষীদের উচ্ছেদ করা, সোমালিয়ায় পাশ্চাত্য সমর্থিত সরকারের পতন ঘটানো এবং হর্ন অব আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলোতে কঠোর ইসলামের প্রবর্তন। রাজধানী মোগাদিসুতে গত মাসে জোড়া বোমা হামলায় ৩ শ’ ৫০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। দেশটির ইতিহাসে এটা সবচেয়ে মারাত্মক হামলা। হোয়াইট হাউস এ বছরের প্রথম দিকে সোমালিয়ায় আল-শাবাবের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সীমান্ত কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতা প্রদান করেছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: