ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পর্ক জোরদার করছে সৌদি আরব ও তুরস্ক

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ৫ নভেম্বর ২০১৭

সম্পর্ক জোরদার করছে সৌদি আরব ও তুরস্ক

সৌদি আরব ও তুরস্কের মধ্যে গুণগত ও পরিমাণগত সম্পর্ক দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। এটি এখন প্রধান আকর্ষণ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। কেননা, দুদেশের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এজন্য প্রধান স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেছে বলে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ইউনুস ডেমিরার মনে করেন। তুর্কী জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মত ব্যক্ত করেন। আরব নিউজ। তুর্কী রাষ্ট্রদূত বলেন, আমাদের সম্পর্কের গভীরতা ও বৈচিত্র্য, স্থিতিশীলতা ও আঞ্চলিক কল্যাণের জন্য যৌথ প্রতিশ্রুতি, স্বচ্ছতার স্বার্থগুলো দেশদুটির মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে উচ্চতর স্তরে উন্নীত করার জন্য পরিচালিত করেছে। আমরা দুই ভাতৃপ্রতীম দেশ ঐতিহাসিকভাবে দৃঢ় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনে আবদ্ধ। সৌদি আরব ইসলামের জন্মস্থান। দুটি পবিত্র মসজিদ সেখানে স্থাপিত। তুর্কীদের হৃদয়ে ও মননে সৌদি আরবের একটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ স্থান রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ ও দৃঢ় অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব রয়েছে। তুর্কী রাষ্ট্রদূত মনে করিয়ে দেন যে, যদি সবদিক থেকে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীরতর না হয় তাহলে তা আমাদের জনগণের জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না। শুধু তাই নয়; আঞ্চলিকভাবেও কল্যাণকর কিছু হবে না। আমাদের রাজনৈতিক সংলাপের কেন্দ্রবিন্দু সব সময় আনুষ্ঠানিক সফরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। উদাহরণস্বরূপ গত দুই বছরে তুর্কী ও সৌদি আরবের মধ্যে ২৫টি উচ্চ পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক সফর ছিল। সৌদি ও তুরস্কের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তুর্কী রাষ্ট্রদূত ডেমিরার বলেন, দুদেশের সম্পর্ক কেবল রাজনীতিবিদ বা কূটনীতিকদের কাছেই নয় বরং এই সম্পর্কগুলো সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদ ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে সুদৃঢ় করতে হবে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কয়েক বছরে তুরস্ক ভ্রমণে সৌদি নাগরিকের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০১৬ সালে পাঁচ লাখেরও বেশি লোক তুর্কী ভ্রমণ করেছে। ২০১৬ সালের একই সময়ে তুলনায় ২০১৭ সালের প্রথম সাত মাসে এই সংখ্যা ৩৭শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্প ক্রমবর্ধমানহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ লক্ষ্যে তুরস্ক হালাল পর্যটন পণ্য ও সেবা সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে। সৌদি আরব ও তুরস্কের প্রতিষ্ঠিত বিশেষ পরিষদের কার্যক্রম সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তুর্কী রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি-তুর্কী সমন্বয় পরিষদ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে ২০১৬ সাল থেকে আমাদের যোগাযোগ ও বিনিময় একটি নতুন বিশেষ চ্যানেল খুঁজে পেয়েছে। সৌদি-তুর্কী সমন্বয় পরিষদ আমাদের দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রাকৃতিক উদ্দীপনা এই বছরগুলোতে বেড়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বার্ষিক আলোচনার প্রথম রাউন্ডের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এখন বিশেষ কাজের গ্রুপগুলোর আকারে সঠিক রাজনৈতিক অস্থিরতা, কাঠামোগত ব্যবস্থার সঙ্গে বিদ্যমান সম্ভাব্যতাটি অবশেষে পাওয়া যায় বলে বলা হয়। ২০১৭ সালে আঙ্কারায় এই নতুন কাউন্সিল পরিচালনার জন্য মূল্যায়ন কৌশল ও অর্থানুগ নিখুঁত ছিল। কাউন্সিল সংস্কৃতি, প্রযুক্তি, ক্রীড়া, শ্রম সম্পর্ক ও আবাসন উন্নয়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিভিন্ন সহযোগিতার দিক নির্দেশনা দেয়।
×