ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ডেমরায় জালিয়াত চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ৪ নভেম্বর ২০১৭

ডেমরায় জালিয়াত চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর ডেমরায় জালিয়াত চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এরা হলো মোঃ জাকির হোসেন বাবুল (৩২) ও মোঃ মাসুদ হাওলাদার (৩৪)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ট্রেনিং সেন্টারের নকল ও জাল সার্টিফিকেট, নকল ডিজিটাল ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির নকল ডিজিটাল নম্বরপ্লেট, গাড়ির নকল ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্ড, নকল রেভিনিউ স্ট্যাম্প এবং উল্লিখিত সরঞ্জামাদি তৈরির বিবিধ যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখায় এক সংবাদ সম্মেলন সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতভর র‌্যাব-১০-এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডেমরা থানার কোনাপাড়ায় শূন্য টেংরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে। র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত জাকির হোসেন বাবুল ২০০৮ সালে রাজধানীর লক্ষ্মীবাজারের সরকারী সোহরওয়ার্দী কলেজ থেকে ডিগ্রী পাস করে। আর অপর গ্রেফতারকৃত মোঃ মাসুদ ১৯৯৫ সালে নিউ পল্টন লাইন হাই স্কুল এ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জাকির ২০০৩ সাল থেকে নীলক্ষেত এলাকায় একটি দোকানে সাইনবোর্ড, ব্যানার, সিল ও কম্পিউটার কম্পোজের আড়ালে জালিয়াতির ব্যবসা করে আসছিল। তার সঙ্গে সহযোগী হিসেবে ২০১৬ সাল থেকে মাসুদ জালিয়াতি কাজে তাকে সহায়তা করে আসছিল। র‌্যাব জানায়, গত আট থেকে নয় মাস আগে নীলক্ষেত ব্যবসায়ী সমিতির বহুতল বিল্ডিং তৈরির কারণে দোকানটি ভেঙ্গে দেয়। এরপর থেকে জাকির তার নিজ বাসা কোনাপাড়ায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। বিভিন্ন প্রযুক্তি ও সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, ট্রেনিং সেন্টারের নকল ও জাল সার্টিফিকেট, নকল রেভিনিউ স্ট্যাম্প, বিআরটিএর নকল ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির নকল ডিজিটাল নম্বরপ্লেট, গাড়ির নকল ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও নকল হলোগ্রাম স্টিকার তৈরি করে আসছিল। এ চক্রের অন্যতম সদস্য রিপন, আরিফ ও রফিকসহ বেশ কয়েকজন এসব নকল ও জাল সরঞ্জামা তাদের কাছ থেকে সংগ্রহপূর্বক দেশের বিভিন্ন স্থানে চাহিদা অনুযায়ী পৌঁছে দিত। গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, জাল ও ভুয়া সার্টিফিকেট পাঁচ শ’ থেকে এক হাজার, নকল ডিজিটাল লাইসেন্স পাঁচ শ’ টাকা এবং গাড়ির ডিজিটাল নম্বরপ্লেট দেড় থেকে দুই হাজার টাকা করে বিক্রি করে আসছিল।
×