ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল সংবিধানে ফেরার আশা সংশ্লিষ্টদের

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ৪ নভেম্বর ২০১৭

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল সংবিধানে ফেরার আশা সংশ্লিষ্টদের

আরাফাত মুন্না ॥ আজ ৪ নবেম্বর। ৪৬তম সংবিধান প্রণয়ন দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে জাতীয় সংসদে পাস হয় বাংলাদেশের সংবিধান। গত ৪৫ বছরে সংবিধান সংশোধন হয়েছে ১৬ বার। ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিভিন্ন সময়ে অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় এসে এই সংবিধানের চার মূলনীতিও বদলে ফেলার চেষ্টা চালিয়েছে। বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার পঞ্চদশ সংশোধীর মাধ্যমে সেই চার মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা পুনরুদ্ধার করে। সর্বশেষ ’৭২ এর সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ ফিরিয়ে আনতে সরকার সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী করলেও সুপ্রীমকোর্টে তা বাতিল হয়, বর্তমানে এই রায়ের রিভিউ আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে এখনও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল সংবিধানে ফেরার আশা সংশ্লিষ্টদের। জানা গেছে, সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশে ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। একই বছরের ১৭ এপ্রিল থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই কমিটি বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করে। জনগণের মতামত সংগ্রহের জন্য মতামত আহ্বান করা হয়। সংগ্রহীত মতামত থেকে ৯৮টি সুপারিশ গ্রহণ করা হয়। ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন খসড়া সংবিধান বিল আকারে উত্থাপন করেন। ১৯৭২ সালের ৪ নবেম্বর গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ (বিজয় দিবস) থেকে কার্যকর হয়। মূল সংবিধান ইংরেজী ভাষায় রচিত হয় এবং একে বাংলায় অনুবাদ করা হয়। তাই এটি বাংলা ও ইংরেজী উভয় ভাষায় বিদ্যমান। তবে ইংরেজী ও বাংলার মধ্যে অর্থগত বিরোধ দৃশ্যমান হলে বাংলা রূপ অনুসরণীয় হবে। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালের ষোড়শ সংশোধনীসহ বাংলাদেশের সংবিধান সর্বমোট ১৬ বার সংশোধীত হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান কেবল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনই নয়, সংবিধানে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের মূল চরিত্র বর্ণিত রয়েছে। এতে বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমারেখা বিধৃত আছে। দেশটি হবে প্রজাতান্ত্রিক, গণতন্ত্র হবে এদেশের প্রশাসনিক ভিত্তি, জনগণ হবে সকল ক্ষমতার উৎস এবং বিচার বিভাগ হবে স্বাধীন। জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস হলেও দেশ আইন দ্বারা পরিচালিত হবে। সংবিধানে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। গণপরিষদে সংবিধানের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, এই সংবিধান শহীদের রক্তে লিখিত, এ সংবিধান সমগ্র জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার মূর্ত প্রতীক হয়ে বেঁচে থাকবে। এ বিষয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী ও আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম জনকণ্ঠকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়েই সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সংবিধানের মূল চার নীতি বিভিন্ন সময়ে ক্ষত বিক্ষত করে সংবিধানের আসল চরিত্রই নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। এমন কিছু বিষয়কে অসৎ উদ্দেশে সামরিক শাসকরা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যা ধর্মীয় অনুভূতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ও স্পর্শকাতর। তিনি বলেন, মূল সংবিধানে ফিরে যাওয়ার জন্য বর্তমান সরকার আমলে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায় ও অপরাপর কিছু অনিবার্য কারণে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সকল প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল সংবিধানে ফিরে যাওয়ার আশার কথাও জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা। এক নজরে সংবিধানের সংশোধনী ॥ ১৯৭২ সালে সংবিধান গৃহীত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৬ বার সংশোধন হয় বাংলাদেশের সংবিধানের। এর মধ্যে কয়েকটি সংশোধনী বাতিল হয় সুপ্রীমকোর্টে। প্রথম সংশোধনী ॥ সংবিধানের প্রথম সংশোধনী আনা হয় ১৯৭৩ সালের জুলাই মাসে। এ সংশোধনীর মাধ্যমে ৪৭ অনুচ্ছেদে দুটি নতুন উপধারা সংযোজন করা হয়। এ সংশোধনীর মূল কারণ ছিল গণহত্যাজনিত অপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের অধীন অন্যান্য অপরাধের জন্য আইন তৈরি এবং তা কার্যকর করা। দ্বিতীয় সংশোধনী ॥ ১৯৭৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় সংশোধনী আনা হয়। এতে সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদে (২৬, ৬৩, ৭২ ও ১৪২) সংশোধন আনা হয়। নিবর্তনমূলক আটক, জরুরী অবস্থা ঘোষণা ও এ সময় মৌলিক অধিকারগুলো স্থগিতকরণ সম্পর্কে প্রথমদিকে সংবিধানে কোন বিধান ছিল না। এ সংশোধনীর মাধ্যমে বিধানগুলো সংযোজন করা হয়। তৃতীয় সংশোধনী ॥ মূলত ভারত ও বাংলাদেশের সীমানা নির্ধারণী একটি চুক্তি বাস্তবায়ন করার জন্য ১৯৭৪ সালের ২৮ নবেম্বর এ সংশোধনী আনা হয়। ভারতের কিছু অংশ বাংলাদেশে আসবে এবং বাংলাদেশের কিছু অংশ ভারতে আসবে- এ চুক্তি বাস্তবায়নের জন্যই তৃতীয় সংশোধনী আনা হয়। চতুর্থ সংশোধনী ॥ ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি এ সংশোধনীর মাধ্যমেই বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটানো হয়। চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় পদ্ধতি পরিবর্তন করে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা চালু করা; একদলীয় শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন করা; রাষ্ট্রপতি ও সংসদের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং রাষ্ট্রপতি অপসারণ পদ্ধতি জটিল করা; সংসদকে একটি ক্ষমতাহীন বিভাগে পরিণত করা; মৌলিক অধিকার বলবৎ করার অধিকার বাতিল করা; বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে খর্ব করা ও উপ-রাষ্ট্রপতির পদ সৃষ্টি করা হয়। ১৯৯১ সালে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাতিল হয়ে যায়। পঞ্চম সংশোধনী ॥ জাতীয় সংসদে এ সংশোধনী আনা হয় ১৯৭৯ সালের ৬ এপ্রিল। পঞ্চম সংশোধনী সংবিধানে কোন বিধান সংশোধন করেনি। এ সংশোধনী ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে সামরিক শাসন জারির পর থেকে ৬ এপ্রিল ১৯৭৯ পর্যন্ত সামরিক শাসনামলের সব আদেশ, ঘোষণা ও দ-াদেশ বৈধ বলে অনুমোদন করে। এ সংশোধনীটি উচ্চ আদালতের রায়ে বাতিল হয়। ষষ্ঠ সংশোধনী ॥ ১৯৮১ সালের ১০ জুলাই এ সংশোধনী আনা হয়। ষষ্ঠ সংশোধনী কোন রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক কারণে করা হয়নি। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর উপরাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তৎকালীন বিএনপি রাষ্ট্রপতি পদে তাদের প্রার্থী হিসেবে আব্দুস সাত্তারকে মনোনয়ন দেয়। এ সংশোধনীর মাধ্যমে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী পদকে প্রজাতন্ত্রের কোন লাভজনক পদ বলে গণ্য করা হবে না। সপ্তম সংশোধনী ॥ ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের ১০ নবেম্বর পর্যন্ত দেশে সামরিক শাসন বহাল ছিল। ১৯৮৬ সালের ১১ নবেম্বর জাতীয় সংসদে সপ্তম সংশোধনী আনা হয়। এ সংশোধনীর মাধ্যমে সামরিক শাসনামলে জারি করা সব আদেশ, আইন ও নির্দেশকে বৈধতা দেয়া হয় এবং আদালতে এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন উত্থাপন না করার বিধান করা হয়। এ সংশোধনীতে বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ করা হয়। ২০১০ সালের ২৬ আগস্ট এ সংশোধনী আদালতে কর্তৃক অবৈধ ঘোষিত হয়। অষ্টম সংশোধনী ॥ ১৯৮৮ সালের ৯ জুন সংবিধানে অষ্টম সংশোধনী আনা হয়। এ সংশোধনীর মাধ্যমে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদে (২, ৩, ৫, ৩০ ও ১০০) পরিবর্তন আনা হয়। এ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বলে ঘোষণা করা হয়, ঢাকার বাইরে হাইকোর্ট বিভাগের ৬টি স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপন করা হয়, বাঙালীকে বাংলাদেশী এবং ডেক্কা-কে ঢাকা করা হয়। তবে হাইকোর্টের বেঞ্চ গঠনের বিষয়টি বাতিল করে সর্বোচ্চ আদালত। নবম সংশোধনী ॥ নবম সংশোধনী আনা হয় ১৯৮৯ সালের ১১ জুলাই। এ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কিছু বিধান সংযোজন করা হয়। এ সংশোধনীর আগে রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি যতবার ইচ্ছা রাষ্ট্রপতি পদের জন্য নির্বাচন করতে পারতেন। এ সংশোধনীর পর অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। দশম সংশোধনী ॥ ১৯৯০ সালের ১২ জুন দশম সংশোধনী বিল পাস হয়। নারীদের জন্য সংসদে আসন ১৫ থেকে ৩০ এ বাড়ানো হয়। একাদশ সংশোধনী ॥ গণঅভ্যুত্থানে এইচ এম এরশাদের পতনের পর বিচারপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট এ সংশোধনী পাস হয়। এর মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগদান বৈধ ঘোষণা করা হয়। এতে আরও বলা হয়, নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এ উপরাষ্ট্রপতি দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করতে পারবেন এবং উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে তার কর্মকাল বিচারপতি হিসেবে গণ্য হবে। দ্বাদশ সংশোধনী ॥ ১৯৯১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৭ বছর পর দেশে পুনরায় সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। ত্রয়োদশ সংশোধনী ॥ ১৯৯৬ সালের ২৬ মার্চ এ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়। পরে সুপ্রীমকোর্ট এই সংশোধনী বাতিল করে রায় দেয়। চতুর্দশ সংশোধনী ॥ ২০০৪ সালের ১৬ মে এ সংশোধনী আনা হয়। এ সংশোধনীর মাধ্যমে সংরক্ষিত মহিলা আসন ৩০ থেকে ৪৫ করা হয়। সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ থেকে ৬৭ বছর করা হয়। এছাড়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি এবং সরকারী ও আধা সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি বা ছবি প্রদর্শনের বিধান করা হয়। পঞ্চদশ সংশোধনী ॥ ২০১১ সালের ৩০ জুন এ সংশোধনী আনা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপের পাশাপাশি অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের জন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ বিবেচনায় সর্বোচ্চ দ-ের বিধান রাখা হয় এ সংশোধনীতে। এছাড়া এ সংশোধনীর মাধ্যমে ৭২’র সংবিধানের চার মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ষোড়শ সংশোধনী ॥ উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাস হয়, যা ষোড়শ সংশোধনী হিসেবে পরিচিত। এরপর সুপ্রীমকোর্ট এই সংশোধনী বাতিল করে রায় দেয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করতে সরকার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের সময় বিচারক অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতেই ছিল। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর আমলে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর পর তা রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত হয়েছিল। জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকার আমলে বিচারক অপসারণে সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান সংবিধানে যোগ হয়েছিল।
×