ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শমশের সৈয়দ

আলোকচিত্রীর ক্যানভাস

প্রকাশিত: ০৬:০১, ৩ নভেম্বর ২০১৭

আলোকচিত্রীর ক্যানভাস

ফটোগ্রাফি বা আলোকচিত্রবিদ্যা-এমন এক মাধ্যম, যা নীরব ইশারায় কথা বলে...। কথা না বলা একটি বোবা ছবিও যে হয়ে উঠতে পারে ছোট গল্প, কবিতা বা সিনেমার উপজীব্য তার বহু উদাহরণ দেশ-বিদেশে অনেক আগেই সৃষ্টি হয়েছে। একজন আলোকচিত্রীর মেধা আর মননের সার্থক সম্মিলনেই সৃষ্টি হয় একটি জীবন্ত ছবি-তাই বলা হয়, ছবি কথা বলে। স্টিল ফটোগ্রাফ বা নিশ্চল-নির্বাক ছবিরও যে আলাদা ভাষা রয়েছে, তা একটু লক্ষ্য করলেই অনুমেয়, অর্থাৎ সহজেই অনুধাবন করা সম্ভব। আমরা পত্রিকা, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তা প্রতিনিয়তই প্রত্যক্ষ করে থাকি। গুরুকবি রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, ‘অনেক কথাই বলে গেলে কোন কিছু না বলে...।’ আসলে ফটোগ্রাফ এমনই একটি মাধ্যম, সে শুধু নির্বাক চেয়ে থাকে, কোন কথা না বলে...। পোর্ট্রেট থেকে শুরু করে স্টিল ছবি, যা-ই বলুন তার দিকে গভীর মনোনিবেশে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকলে সে কিন্তু দর্শকের মনের গহীনে নানা ধরনের ব্যঞ্জনার অনুরণন তুলবে-তুলবেই। তাছাড়া, একজন অঙ্কনশিল্পী বা পটশিল্পীর আঁকা ছবি যেমন যে কোন সময় ও ইতিহাসকে ধরে রাখে, তেমনি ফটোচিত্রও এমন একটি শক্তিশালী মাধ্যম, যা একটি দেশ ও জাতির ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকে। আলোচ্য ফটোশিল্পী এম এ তাহেরের তোলা ছবিগুলোও ঠিক তেমনি ইতিহাসের অনেক কঠিন সময় এবং মুহূর্তের জ্বলন্ত সাক্ষী নিঃসন্দেহে। সরেজমিন ফটো-রিপোর্টিং ছাড়াও স্পট ফটোগ্রাফি শুধু আজকাল তা নয়, সর্বকালেই মিডিয়ায় যুগপৎ বিশেষ বার্তাবাহক হয়ে কাজ করেছে। আলেকচিত্রের এই বিষয়টি পূর্ব সূরিদের চেয়ে আরও একটু বেশি শৈল্পিক ধারায়, ভিন্ন মেজাজে প্রতিটি কাজে নতুন করে তুলে ধরছেন সৌখিন আলোকচিত্রী এম এ তাহের, পেশাদারিত্ব যার কাছে মুখ্য কোন বিষয় নয়। তাহের এমন একজন ফটোশিল্পী, যার কাছে একান্ত তাঁর নিজেরই পূর্বে কৃত একটি কাজের চেয়ে বর্তমানের আরেকটি কাজ সম্পূর্ণরূপে আলাদা বৈশিষ্ট বহন করে থাকে। অর্থাৎ নিজের একটার পর একটা কাজে তিনি নিজেই নিজেকে ভেঙ্গে ফেলছেন। এভাবে ভাঙ্গা-গড়ার মধ্য দিয়েই তিনি তাঁর কাজের ভুবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুনত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। তাহেরের এই অবিচল অবিরাম কষ্টসাধ্য শ্রম, নিষ্ঠা আর একাগ্রতার উদ্দেশ্য নিজেকে স্বদেশ-তথা নিপীড়িত, নির্যাতিত বিশ^মানবতার জন্য উৎসর্গ করা। এমনটি সচরাচর খুঁজে মেলা ভার-এখানেই তাহেরের স্বকীয়তা, অন্যদের চেয়ে আলাদা একজন তিনি। তাই তাহের একে একে প্রমাণ করছেন তিনি আর দশ জনের মতো ¯্রফে চার দেয়ালে আবদ্ধ একটি কক্ষের আটপৌরে ‘ফটোগ্রাফার’ নন, তিনি একজন ফটোশিল্পীও বটে। বস্তুত তাঁর পরিচয় হওয়া উচিত ‘ফটোশিল্পী এম এ তাহের’। তাকে এক নামে লোকে বলবে, চিনবে -‘ফটোশিল্পী তাহের’ হিসেবে। এমনটিই তাঁর লালিত স্বপ্ন। এমনই এক সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে সামনে এগিয়ে চলেছেন এম এ তাহের। আর ফটো তোলার নেশায় বিরামহীনভাবে নিজেকে সম্পৃক্ত করে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছেন। অনেক কষ্টসাধ্য, শ্রমসাধ্য এই কাজটি যেন তার কাছে পুতুল খেলা! এসব কারণেই সৌখিন কিংবা পেশাদার-যাই বলুন, আলোকচিত্রের ভুবনে এই সময়ের অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় আলোচিত নাম এম এ তাহের। আলোকচিত্রী তাহের নামটি উচ্চারিত হলে এই শিল্পবোদ্ধা কোন শ্রোতাকে আজকাল তাহের সম্পর্কে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তাহেরের মধ্যে ছবি তোলার প্রবৃত্তি সহজাত। ছোটবেলা থেকেই ছবি তোলার শখ তাঁর। হাতে ক্যামেরা পেলে আর রক্ষে নেই, যে কারও বা যে কোন কিছুর ছবি তোলা তার চাইই চাই। এভাবে পাড়া-মহল্লায়, এখানে সেখানে ঘুরে ঘুরে একা একা ছবি তুলতে তুলতে ছবি তোলার নেশায় পেয়ে বসে তাহেরকে। তাই অল্প বয়সেই কাউকে না বলে বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত গাঁও-গেরামে ছবি তুলতে ছুটে যেতেন তিনি-যা আজও তার মধ্যে অটুট রয়েছে। আসলে প্রকৃতি আর সবুজ তাহেরকে বরাবরই কাছে টানে। এই অনির্বচনীয় আকর্ষণ উপেক্ষা করতে পারেন না তিনি। তাই যখন যেখানে সুযোগ পান ক্যামেরায় ক্লিক করেন। অনেক সময় অজানার উদ্দেশ্যে বেরিয়েও পড়েন। তুলে নিয়ে আসেন অসংখ্য ছবি। এই ছবি তোলার জন্য বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন তাহের। যেখানে বা যে দেশেই যান, জরুরী কাজের বাইরে তাঁর উদ্দেশ্য থাকে ওই একটাই, ছবি তোলা। এছাড়াও স্বদেশে যখন ইচ্ছে ঘুরে বেড়ান গ্রাম-বাংলা, নদ-নদী,পাহাড়-পর্বত মায় বিভিন্ন নগর-বন্দর-জনপদ। অন্তরের গভীর থেকে লক্ষ্য করেন স্থানভেদে মানুষের যাপিত জীবনের বৈশিষ্ট্য, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সামাজিক ভিন্নতা আর মানুষে-মানুষে বৈষম্য। অর্থাৎ মানবিক জীবনযাত্রার সবই তিনি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। প্রকৃতি ও জীবনে স্বাভাবিকতার ব্যত্যয়...এমন কোন কিছুই তাঁর চোখ এড়ায় না সহজে। তাই ছবি তোলার প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিকসহ একঝোলা ক্যামেরা কাঁধে নিয়ে তাঁর নৈমিত্তিক পথচলা। বিষয়ভিত্তিক ছবি তোলার ব্যাপারে তাহের সিদ্ধহস্ত। এ দিকটায় তাঁর নিজস্ব ক্যারিসমা আর হাতের কারুকাজ তাকে বৈশিষ্ট্যম-িত করে তুলেছে। তাহেরের এমনি নানা কাজই প্রমাণ করে ক্যামেরা হাতে তিনি সর্বদা কতটা সজাগ থাকেন এবং কাজের মধ্যে ডুব দিলে তাহের ভুলে যান তার পার্থিব জীবন...। ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের কারণেই আজ প্রমাণিত যে এ কাজে তাহেরের সততা নিষ্ঠা শ্রম মেধা আর একাগ্রতা কতটা গভীর। চলমান প্রদর্শনী ॥ আলোকচিত্রী তাহেরের সর্বশেষ প্রদর্শনীটি এখন চলছে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে। বাংলা কবিতার বরপুত্র খ্যাত কবি শামসুর রাহমানের ওপর জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত এই বিশেষ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে গত ২৩ অক্টোবর সোমবার এবং আগামী ৫ নবেম্বর রবিবার পর্যন্ত তা চলবার কথা। কবির ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে তাকে শ্রদ্ধা-ভালবাসা জানাতে জাদঘর কর্তৃপক্ষ এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। চলমান প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে নানা আনন্দঘন মুহূর্তে কবির অবস্থান। এছাড়া, কবির সূত্র ধরে বাংলাদেশের আন্দোলনমুখর দিনগুলো। পাশাপাশি কবির সঙ্গে ফ্রেমবন্দী হয়েছেন তাঁর সমসাময়িক অনেক লেখক, সাহিত্যিক শিল্পী ও কবি। একটি ছবিতে ১৯৯৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আনন্দঘন মুহূর্তে দেখা যায় কবি শামসুর রাহমানকে। এছাড়া আরও নানা অনুষ্ঠানে কবির সঙ্গে এই আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দী হয়েছেন এ দেশের আরও অনেক কৃতী সন্তান-যাদের কেউ কেউ আজ আর বেঁচে নেই এই ধরাধামে। অবশ্য,স্বদেশে এটি এই শিল্পীর ১৯তম প্রদর্শনী। এতে নানা আকারের ফ্রেমবন্দী এক শ’ ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক প্রদর্শনী ॥ ইতিপূর্বে শিল্পী তাহেরের কয়েকটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮তম প্রদর্শনীর শিরোনাম ছিল ‘বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’। এতে স্থান পেয়েছে ৮০টি ছবি। প্রায় দুই হপ্তাব্যাপী চলা ওই প্রদর্শনীটিও অভাবনীয় দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেছে। প্রদর্শনীটির আয়োজন করেছিল জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। অন্যান্য প্রতিটি প্রদর্শনীর মতোই এটিও দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। তাহের যে আদতেই একজন তরুণ আদর্শ ফটোশিল্পী তার স্বাক্ষর তিনি রেখে চলেছেন তাঁর প্রতিটি কাজে। কারও ভেতরে সর্বদা তারুণ্য বিরাজিত না থাকলে একজন শিল্পীর পক্ষে এতটা পরিশ্রমী হওয়া আদৌ সম্ভবপর নয়। এই ধরনের প্রদর্শনী সম্পর্কে কিছু বলতে গেলে বলতে হয় যে, প্রকৃতির অজস্র রং, রূপ ছড়িয়ে আছে আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামজুড়ে। এসব জেলায় নিসর্গের নান্দনিকতার সঙ্গে ঘটেছে জীবনের অপরূপ মিতালী। এখানে প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়েছে পাহাড়ী জীবন ও সংস্কৃতি। আদিবাসী জীবনের সেই বিচিত্র রূপময়তা ঘুরে ঘুরে ক্যামেরাবন্দী করেছেন আলোকচিত্রী এম এ তাহের। ১৯৯০ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত এই আলোকচিত্রী চষে বেরিয়েছেন পাহাড়ী জনপদে। মিশেছেন রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির ১২টি পৃথক নৃ-গোষ্ঠীর সঙ্গে। তুলেছেন প্রকৃতির মেলবন্ধনে গড়া তাদের যাপিত জীবনের সমস্ত ছবি। সেই সঙ্গে ফ্রেমবন্দী করেছেন এসব জনগোষ্ঠীর দৈনন্দিন কর্মকা- ও বৈভবময় সংস্কৃতিকে। পাহাড়ী জীবনের গল্প বলা সেই সব ছবি কিছুদিন আগেও ছবিপাগল দর্শকদের জন্য শোভা পেয়েছে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনালয়ের গ্যালারিতে। ওই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর শিরোনাম ছিল ‘বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে ওই প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি ছিলেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। সভাপতিত্ব করেন জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি বরেণ্য চিত্রশিল্পী হাশেম খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেনÑ জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, রোমাঞ্চপ্রিয় এক আলোকচিত্রী এম এ তাহের। সেই রোমাঞ্চই তাকে টেনে নিয়ে গেছে পাহাড়ী জনপদে। সেখানকার মায়া ছড়ানো প্রকৃতির সঙ্গে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবনকে তুলে এনেছেন ক্যামেরার আশ্রয়ে। তাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে মেলে ধরেছেন সবার জন্য। অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সব সময়ই শিল্পীদের কাছে রহস্যময় এক ভূখ-। কারণ, সমতলের অধিকাংশ মানুষই তাদের জীবন সম্পর্কে জানেন না। ভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর সেই অচেনা জীবনকে সবার সামনে উপস্থাপন করেছেন এই আলোকচিত্রী। আর এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে এক ধরনের নৃতাত্ত্বিক জরিপের কাজটিও করেছেন তিনি। আলোকচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন ১২টি জনগোষ্ঠীর জীবনধারা। এখন থেকে ৫০ বছর পরে যখন এসব জনগোষ্ঠীর ওপর কোন গবেষণা হবে তখন এসব আলোকচিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শিল্পী হাশেম খান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের জনগোষ্ঠীর সহাবস্থানের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে এ প্রদর্শনী। ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বলেন, প্রত্যেকটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর রয়েছে আলাদা আলাদা সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য। সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কারণে সেই সব বৈশিষ্ট্য যেন হারিয়ে না যা, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। জাদুঘরের বিশাল প্রদর্শনালয়জুড়ে ৮০টি আলোকচিত্রের মাধ্যমে মেলে ধরা হয়েছে ১২টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনধারা ও সংস্কৃতিকে। সেই সঙ্গে উঠে এসেছে তিন পার্বত্য অঞ্চলের ভূ-প্রাকৃতির সৌন্দর্য। একটি ছবিতে ধরা দিয়েছে সহজ জীবনের অধিকারী এক ত্রিপুরা নারীর নির্মল হাসি। চাক নারীর ছবিতে দেখা মেলে তাদের বিশেষ ধরনের গহনা ও অঙ্গসজ্জা। একইভাবে তঞ্চঙ্গ্যা নারীকেও ভিন্ন রূপের সাজসজ্জায় দেখা যায় ছবিতে। একটি আলোকচিত্রে রাজপুণ্যাহ অনুষ্ঠানে সূত্রের হাজির বোমাং রাজা প্রয়াত অংশৈ প্রু চৌধুরী। কোমরে কলস নিয়ে জলের সন্ধানে ছুটে চলা একঝাঁক চাকমা নারীর ছবিটি যেন বলে প্রকৃতিসংলগ্ন অন্য এক জীবনের কথা। এছাড়াও আলোকচিত্রের মাধ্যমে উঠে এসেছে মুরং, পাংখোয়া, খুমি, লুসাই, খেয়াং, উসাঁই ও মারমা জনগোষ্ঠীর জীবনচিত্র। ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলেছে এ প্রদর্শনী।
×