কুড়িগ্রামে থানাহাট সড়ক বেহাল ॥ চলাচলে দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ চিলমারী উপজেলার থানাহাট বাজারের সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সড়কগুলো কাদার ডোবায় পরিণত হয়েছে। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে থানাহাট এলাকার মানুষের। কুড়িগ্রামের চিলমারীর থানাহাট বাজারগামী ক্রেতা, বিক্রেতা ও সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাদের এ দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় থানাহাট বাজারের পশ্চিম পাশের প্রবেশ সড়কটি কয়েক মাস থেকে চলাচলের অনুপযোগী হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এলাকাবাসী কষ্ট করে পার হলেও এ রাস্তাটি দিয়ে শত শত লোকজনের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে তা দুর্গন্ধযুক্ত নর্দমায় পরিণত হয়েছে। পচা পানি ও ময়লা-আবর্জনার গন্ধে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হওয়াসহ দুর্গন্ধে বসবাসরত আশপাশের লোকজনের বসবাস করাটাই যেন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সবজি বিক্রেতাসহ পার্শ¦বর্তী ব্যবসায়ীরাও। জানা গেছে, থানাহাট বাজারটি স্থাপিত হওয়ায় পর থেকে দিন দিন ক্রেতা-বিক্রেতাসহ দোকানপাট বাড়লেও বাজারে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। নেই কোন নিয়মনীতি। ভেঙ্গে পড়েছে সব ব্যবস্থাপনা। অর সড়ক ব্যবস্থা বৃষ্টি হলেই দেখা যায় ডোবা। এমনি কাদা আর ডোবায় পরিণত হয়ে দীর্ঘদিন থেকে বাজারে প্রবেশের পশ্চিম পাশের রাস্তাটি কাদাপানির ডোবায় পরিণত হয়েছে। দিনের পর দিন ময়লা পানি আর কাদা পচে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। সড়কের প্রায় ২শ’ ফুট সড়ক মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় মানুষজন ও গ্রামবাসী বিকল্প রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। সড়কের পাশের ব্যবসায়ীরা বলেন, এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুল, কলেজগামী ছাত্রছাত্রী, বাজারগামী লোকজন ছাড়াও বিভিন্ন পেশার লোকজনসহ দু’গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করত। কিন্তু প্রায় দুই মাস থেকে রাস্তাটি কাদাপানির ডোবায় পরিণত হওয়ায় এ রাস্তা দিয়ে মানুষজন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়াও গ্রামবাসীসহ দোকানদাররাও পড়েছে মহাবিপাকে। এলাকার শিক্ষক মেহেদী হাসান দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাটি কাদাপানির ডোবায় পরিণত হওয়ায় আমাদের অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে বাজারে যাওয়াসহ প্রয়োজনীয় কাজ করতে হচ্ছে। গ্রামবাসীরা বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে এ দুর্ভোগ। থানাহাট বাজার আর্দশ বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আলহাজ মাহফুজার রহমান বলেন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমরা যত তাড়াতাড়ি পারি এর সমাধান করব। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জা মুরাদ হাসান বেগ জানান, বিষয়টি সরেজমিন পরিদর্শন করে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।