ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যশোর মেডিক্যালে শিক্ষক সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৩ নভেম্বর ২০১৭

যশোর মেডিক্যালে শিক্ষক সঙ্কট

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষক সঙ্কট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ৮৮ পদের মধ্যে ৪৬ পদে কোন শিক্ষক নেই। শিক্ষক সঙ্কটের কারণে ছাত্রছাত্রীরা যথাযথ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জানা গেছে, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং সহকারী অধ্যাপক মিলে এ কলেজে মোট শিক্ষকের পদ রয়েছে ৮৮টি। এর ভেতর ৪২ পদে শিক্ষক রয়েছে এবং ৪৬ গুরুত্বপূর্ণ পদে কোন শিক্ষক নেই। অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকের একাধিক পদ শূন্য রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এসব পদে শিক্ষক না থাকার কারণে প্রভাষকরাই চালিয়ে যাচ্ছেন পাঠদান কার্যক্রম। কলেজের এনাটমি বিভাগে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকসহ মোট ৮টি পদ রয়েছে। এর ভেতর সহযোগী অধ্যাপকের পদটি শূন্য রয়েছে। এ বিভাগে এক কিউরেটরসহ চার প্রভাষক রয়েছেন। ফিজিওলজি বিভাগে শিক্ষকের পদ ছয়। বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে মোট পদের সংখ্যা ছয়। এর মধ্যে এক অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদে কোন শিক্ষক নেই। কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের পদ সংখ্যা ছয়টি। এর ভেতর অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক পদে শিক্ষক নেই। ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক এবং প্রভাষকসহ মোট ছয়টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি পদ শূন্য রয়েছে। প্যাথলজি বিভাগে শিক্ষকের পদসংখ্যা ছয়টি। এ বিভাগে এক অধ্যাপক ও এক সহযোগী অধ্যাপকের পদ শূন্য রয়েছে। মাইক্রো বায়োলজি বিভাগে শিক্ষকের পদ ছয়। এর ভেতর অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকের পদ শূন্য রয়েছে। ফার্মাকোলজি বিভাগে শিক্ষক পদের সংখ্যা ছয়টি। এ বিভাগে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য। মেডিসিন বিভাগে শিক্ষকের পদ চারটি। এ বিভাগে এক সহযোগী অধ্যাপক দায়িত্ব পালন করছেন। অধ্যাপক ও দুই সহকারী অধ্যাপকের পদ শূন্য রয়েছে। সার্জারি বিভাগের পদসংখ্যা সাতটি। বিভাগটিতে এক সহযোগী অধ্যাপক ও এক সহকারী অধ্যাপকের পদ শূন্য রয়েছে। গাইনি এ্যান্ড অবস বিভাগে ছয়টি পদের ভেতর অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকের পদ শূন্য রয়েছে। কার্ডিওলজি বিভাগে তিনটি পদের ভেতর এক সহকারী অধ্যাপক দিয়ে চালানো হচ্ছে। এক সহযোগী অধ্যাপক ও এক সহকারী অধ্যাপকের পদ শূন্য রয়েছে এ বিভাগে। পেডিয়াটিক বিভাগে রয়েছে চারটি পদ। এর মধ্যে এক সহকারী অধ্যাপকের পদ শূন্য রয়েছে। ডার্মাটোলজি বিভাগে দুটি পদের বিপরীতে এক সহকারী অধ্যাপক রয়েছেন। সহযোগী অধ্যাপক পদটি শূন্য রয়েছে। ইএনটি বিভাগে পাঁচটি পদ রয়েছে। এক অধ্যাপক ও এক সহকারী অধ্যাপকের পদ শূন্য রয়েছে। অফথ্যালমোলজি বিভাগে পাঁচটি পদের বিপরীতে এক অধ্যাপক, এক সহযোগী অধ্যাপকের পদ শূন্য। অর্থোসার্জারি বিভাগে শিক্ষকের পদ চারটি। দুই সহযোগী অধ্যাপক ও এক সহকারী অধ্যাপক দায়িত্ব পালন করলেও সহকারী অধ্যাপকের পদে শিক্ষক নেই। পেডিয়াটিক সার্জারি বিভাগে রয়েছে তিনটি পদ। এর ভেতর সহযোগী অধ্যাপক পদ শূন্য রয়েছে। এ্যানেসথেসিওলজি বিভাগে তিনটি পদের ভেতর অধ্যাপকের পদটি শূন্য রয়েছে। ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগে দুটি পদ রয়েছে। বিভাগটিতে ২টি পদ শূন্য। রেডিওলজি এ্যান্ড ইমেজিং বিভাগে তিনটি পদ। অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক দুটি পদ শূন্য রয়েছে। ডেন্টিস্ট্রি বিভাগে এক সহযোগী অধ্যাপক ও এক সহকারী অধ্যাপক মিলে দুটি পদ থাকলেও কোন শিক্ষকই নেই। দুটি পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া মানসিক রোগ বিভাগে এক, ইউরোলজি বিভাগে ২ জন সহকারী অধ্যাপক, নেফ্রোলজি বিভাগ ও নিউরোলজি বিভাগে দুই সহকারী অধ্যাপক ও রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগে এক সহকারী অধ্যাপক সংযুক্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।সূত্র জানিয়েছে, কলেজে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩শ’র বেশি হলেও এ সকল শিক্ষার্থী অভিজ্ঞ শিক্ষকের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না। অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং সহকারী অধ্যাপকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকার কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কালকিনি নিজস্ব সংবাদদাতা কালকিনি, মাদারীপুর থেকে জানান, কালকিনি উপজেলায় ১৯২ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৬৩টিতে প্রধান শিক্ষক নেই। এ সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে। এতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের অভাবে বিদ্যালয়গুলোর অনেক উন্নয়নমূলক কাজ থেমে রয়েছে। জানা গেছে পৌর এলাকায় এক, উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে দুই, কাজীবাকাই ইউনিয়নে দুই, ডাসার ইউনিয়নে দুই, এনায়েতনগর ইউনিয়নে আট, পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নে চার, বালীগ্রাম ইউনিয়নে এক, আলীনগর ইউনিয়নে চার, বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে সাত, লক্ষিপুর ইউনিয়নে দশ, নবগ্রাম ইউনিয়নে এক, কয়ারিয়া ইউনিয়নে ছয়, সাহেবরামপুর ইউনিয়নে পাঁচ, শিকারমঙ্গল ইউনিয়নে চার, রমজানপুর ইউনিয়নে পাঁচ ও চরদৌলত খান ইউনিয়নে একসহ মোট ৬৩ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য রয়েছে প্রধান শিক্ষকের পদ। প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে বছরের পর বছর।
×