ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিদ্যুত সচিব

গ্রীষ্মের সঙ্কট সামলাতে তিনটি বিদ্যুত কেন্দ্র উৎপাদনে আসছে শীঘ্র

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ৩ নভেম্বর ২০১৭

গ্রীষ্মের সঙ্কট সামলাতে তিনটি বিদ্যুত কেন্দ্র উৎপাদনে আসছে শীঘ্র

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গ্রীষ্মে গ্রাহকের মুখে হাসি ফোটাতে তেলচালিত দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্রের চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিদ্যুত সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ কথা জানান। বিদ্যুত কেন্দ্র তিনটির মধ্যে দুটি আগামী ফেব্রুয়ারি এবং একটি আগামী মে মাসে উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে। বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোর মধ্যে এ্যাকরন ইনফ্রাস্ট্রাকচার সার্ভিস লিমিটেড চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর জুলদায় একটি ১০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করবে। কেন্দ্রটি ফার্নেস অয়েল ব্যবহার করে বিদ্যুত উৎপাদন করবে। গত ১০ আগস্ট কেন্দ্রটির এলওআই ইস্যু করা হয়েছে। কেন্দ্রটি আগামী বছরের ৯ মে বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসবে। কেন্দ্রটি নির্মাণে এ্যাকরনকে ৯ মাস সময় দেয়া হয়েছে। এখান থেকে পিডিবি ১৫ বছর যাবত প্রতি ইউনিট বিদ্যুত কিনবে ১০ দশমিক ৫০ সেন্টে, দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮ টাকা ৪০ পয়সা। অন্য দুটি কেন্দ্র নির্মাণ করবে বাংলাট্রাক পাওয়ার লিমিটেড। দুটি বিদ্যুত কেন্দ্রের মধ্যে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ২০০ মেগাওয়াট এবং যশোরের নওয়াপাড়ায় ১০০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র নির্মাণ করবে। বিদ্যুত কেন্দ্র দুটি ছয় মাসের মধ্যে উৎপাদন শুরু করবে। পাঁচ বছর মেয়াদী চুক্তির এ কেন্দ্র দুটি ডিজেলে বিদ্যুত উৎপাদন করবে। দুটি কেন্দ্রের কাছ থেকে পিডিবি ২৫ দশমিক ৪১৭ সেন্টে, দেশীয় মুদ্রায় ২০ টাকা ৩৩ পয়সায় বিদ্যুত কিনবে। চুক্তিতে এ্যাকরন এবং বাংলাট্রাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক ই হক এবং পিডিবির পক্ষে প্রতিষ্ঠানের সচিব মীনা মাসুদউজ্জামান ক্রয় চুক্তিটি সই করেন। বিদ্যুত কেন্দ্রর বাস্তবায়ন চুক্তিতে বিদ্যুত বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শেখ ফয়জুল আমীন এবং পিজিসিবির সচিব আশরাফ হোসেন এবং তারিক ই হক সই করেন। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিদ্যুত সচিব বলেন, এবার গ্রীষ্মে বিদ্যুত সরবরাহ নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। গ্রাহক বিদ্যুত নিয়ে অসন্তোষে ছিলেন। আগামী গ্রীষ্মে গ্রাহকের মুখে হাসি ফোটাতে সরকার নতুন বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করছে। এক্ষেত্রে যেসব কোম্পানি আগে বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করেছে তাদের কাজ দেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সরকার আগামী গ্রীষ্মের সঙ্কট সামলাতে দুই হাজার মেগাওয়াটের বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করছে। সরকারের মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় এখন তেলচালিত কেন্দ্র নির্মাণ করতে হচ্ছে। গত গ্রীষ্মে দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং করতে হয়েছে। এ সময় নানা পন্থায় সঙ্কট সামলানোর চেষ্টা করা হলেও বিদ্যুত বিভাগের উদ্যোগ কাজে আসেনি। এমনকি এখনও গ্রামে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বিদ্যুতের বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান করে খোদ বিদ্যুত বিভাগ বলছে, পিডিবির পরিকল্পনায় ভুল থাকায় লোডশেডিং করতে হয়। সরকার আগামী গ্রীষ্মের সঙ্কট সামলাতে চলতি বছরের গ্রীষ্ম থেকেই নতুন বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
×