ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:২১, ৩ নভেম্বর ২০১৭

ঝলক

শিশুর কাণ্ড সম্প্রতি মা-বাবার কাছ থেকে পালিয়ে সাত বছরের একটি শিশু টিকেট ছাড়াই জেনেভা বিমানবন্দর থেকে একটি বিমানে উঠে যায়। এক লিখিত বক্তব্যে জেনেভা এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবিবার মেয়েটি জেনেভার সেন্ট্রাল স্টেশনে তার মা-বাবার কাছ থেকে চোখ ফাঁকি দিয়ে একটি ট্রেনে চড়ে বিমানবন্দরে আসে। মেয়েটি তার ছোট আকৃতির সুবিধা নিয়ে নিরাপত্তা তল্লাশিকে ফাঁকি দিতে পেরেছে বলে মনে করছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সুইজারল্যান্ড-ফ্রান্স বর্ডারে অবস্থিত জেনেভা এয়ারপোর্টটি যাত্রীদের শুধুমাত্র ফ্রান্স বা সুইজারল্যান্ড ছাড়ার অনুমতি দেয়। বিমানবন্দরের মুখপাত্র বারট্রান্ড স্টাম্পফ্লি বলেন, ফ্রান্সের বিমানে উঠার গেট দিয়ে শিশুটি ফ্লাইটে উঠে। তিনি বলেন, প্রাথমিক নিরাপত্তা তল্লাশির সময় মেয়েটি সম্ভবত পূর্ণবয়স্কদের সঙ্গেই দাঁড়িয়ে ছিল। প্রস্থান গেটের কাছাকাছি আসলে এয়ারপোর্ট স্টাফ শিশুটিকে পেছনে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু মেয়েটি পরে গোপনে বিমানে উঠতে সক্ষম হয়। কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, শিশুটি এমন একটি পথ দিয়ে বিমানে উঠে গেছে যে পথ দিয়ে সে আকৃতির একজন মানুষের পক্ষেই যাওয়া সম্ভব। এর চেয়ে বড় কিছু সে দিক দিয়ে যেতে পারবে না। মেয়েটিকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। নিরাপত্তা ভিডিওর মাধ্যমে মেয়েটির অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ। পরে মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়। কর্মকর্তারা বলছেন, এ ঘটনার মাধ্যমে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার যে ত্রুটি রয়েছে সেটি প্রকাশ পেয়েছে। এমনটা যেন আর না হয় সে জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। -বিবিসি ও এবিসি ড্রোনের বৈধতা শীঘ্রই ভারতে বৈধতা পেতে যাচ্ছে ড্রোন। বুধবার এর জন্য খসড়া আইন চালু করেছে দেশটির সরকার। এই আইনের আওতায় সাধারণ মানুষের ড্রোন ব্যবহার ছাড়াও বাণিজ্যিকভাবে ‘আনম্যানড এ্যারিয়াল ভেহিকলস’ দিয়ে ফটোগ্রাফি, বাড়িতে পণ্য সরবরাহ এবং যাত্রী পরিবহন করা যাবে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আইএএনএস। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেই খসড়া আইন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সিভিল এভিয়েশনমন্ত্রী আশোক গাজাপাথি রাজু। মন্তব্য ও পরামর্শ পেতে এক মাসের জন্য জনগণের মধ্যে এটি চালু করা হচ্ছে। এরপরই নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। সিভিল এভিয়েশন সচিব আর এন চৌবে বলেন, ডিসম্বরের ৩১ তারিখের মধ্যে আমরা ড্রোন ব্যবহারে চূড়ান্ত নীতিমালা আনার মতো অবস্থানে থাকব। ভারতীয় সিভিল এভিয়েশনের মহাপরিচালক (ডিজিসিএ)-এর খসড়া নীতি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ওজন বহনের ওপর ভিত্তি করে ড্রোনগুলোকে পাঁচটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। ২৫০ গ্র্রাম পর্যন্ত ন্যানো, ২৫১ গ্রাম থেকে দুই কেজি পর্যন্ত মাইক্রো, দুই থেকে ২৫ কেজি পর্যন্ত মিনি, ২৫ থেকে ১৫০ কেজি পর্যন্ত ক্ষুদ্র এবং ১৫০ কেজির ওপর বৃহৎ ড্রোন। ন্যানো শ্রেণী এবং যেগুলো সরকারী নিরাপত্তা সংস্থা ব্যবহার করে থাকে সেগুলো ছাড়া অন্যান্য বাণিজ্যিক শ্রেণীর ড্রোন নিবন্ধন করবে ডিজিসিএ, তাদেরকে একটি ‘ইউনিক আইডেনটিফিকেশন নাম্বার’ দেয়া হবে, বলেন চৌবে। সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মিনি এবং তার ওপরের শ্রেণীর ড্রোনের ক্ষেত্রে আনম্যানড এয়ারক্রাফট অপারেটর পারমিট দরকার হবে। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২ কেজি পর্যন্ত ড্রোন মডেলগুলো সর্বোচ্চ ২০০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় ওড়ানো যাবে, এতে কোন অনুমোদন বা শণাক্তকারী নাম্বার দরকার হবে না। ড্রোনগুলো যারা রিমোট দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করবেন তাদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তবে ন্যানো ও মাইক্রো শ্রেণীর ক্ষেত্রে এটি প্রয়োজন নেই। খসড়া আইনে নো ফ্লাই জোনে ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা রাখা হয়েছে। ফলে এয়ারপোর্টের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে, আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৫০ কিলোমিটার, বন্দর এলাকার ৫০০ মিটার এবং দিলির ভিজেই চৌকের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে ড্রোন ওড়ানো যাবে না। এছাড়া ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অনুমোদন ছাড়া ড্রোন ওড়ানো যাবে না বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। -আইএএনএস
×