ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এখনও রোহিঙ্গারা দলে দলে আসছে

ঝগড়া বিবাদ করবেন না- রাখাইনে সুচির ঝটিকা সফর

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ৩ নভেম্বর ২০১৭

ঝগড়া বিবাদ করবেন না- রাখাইনে সুচির ঝটিকা সফর

মোয়াজ্জেমুল হক/এইচএম এরশাদ ॥ এখনও দলে দলে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে ধেয়ে আসছে সীমান্ত গলিয়ে বাংলাদেশে। গত ২৫ আগস্ট রাতে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাবিরোধী যে রক্তাক্ত সামরিক অভিযান শুরু হয় তাতে মানবতা ভূলুণ্ঠিত হওয়ার যে নজির স্থাপিত হয়েছে তা বিশ্বজুড়ে একটি নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে বাংলাদেশে আর রাখাইন রাজ্যে সামরিক অভিযান ও উগ্র মগ সন্ত্রাসীদের বর্বরতায় প্রাণ হারিয়েছে হাজারে হাজারে। বিভিন্ন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটেছে। বাংলাদেশ সরকার মানবিক কারণে অঘোষিতভাবে সীমান্তের সব পথ খোলা রাখায় রোহিঙ্গাদের অবাধে অনুপ্রবেশ ঠেকছে না। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জনকণ্ঠের কাছে স্বীকার করেছেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ থামছে না আর মিয়ানমার সরকারও মুখে যাই বলুক বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা বিতাড়নে প্রণীত নীলনক্সা যেন বাস্তবায়ন করে চলেছে। ইতোমধ্যে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের দফায় দফায় আলাপ-আলোচনা হয়েছে। দু’দেশের পক্ষে প্রতিনিধি দলের সফরও হয়েছে। নানা আলোচনার দিক উঠে এসেছে। আশ্বাসও প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু সবই যেন এখন অসাড় হয়ে আছে। এদিকে, গত ২৫ আগস্ট রাতে সামরিক জান্তা বাহিনীর নারকীয় অভিযান শুরু হওয়ার পর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৬৮ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নোবেল জয়ী আউং সান সুচি এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমবারের মতো মংডুসহ রাখাইনের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ওপারের সূত্রগুলো জানিয়েছে, পূর্ব কোন ঘোষণা ব্যতিরেকে আউং সান সুচি সে দেশের উর্ধতন সরকারী ও সামরিক কর্মকর্তাদের একটি দল নিয়ে দুটি হেলিকপ্টারযোগে বৃহস্পতিবার সকালে সিটওয়েতে আসেন। এরপর বেলা ১১টার দিকে সিটওয়ে থেকে রক্তে রঞ্জিত জনপদ রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা উড়াল সফর করেন। মংডু সফরকালে তিনি উপস্থিত জনগণকে ঝগড়া-বিবাদ না করার আহ্বান জানিয়ে তার সফরের ত্বরিত সমাপ্তি ঘটান। সফরকালে তিনি রোহিঙ্গা পরিস্থিতির সমাধান নিয়ে সুস্পষ্ট কোন বক্তব্য প্রদান করেননি। এতে সে দেশে এখনও অবস্থানরত এবং বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সদস্যদের মাঝে নতুন করে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাসহ নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অপরদিকে সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকলে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য রোহিঙ্গাশূন্য হতে আর খুব বেশি সময় নেবে না। ওপারের সূত্রগুলো জানিয়েছে, বর্তমানে ২ লাখেরও সামান্য বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবস্থান রয়েছে রাখাইন রাজ্যজুড়ে। যে রাজ্যে ইতোপূর্বে ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার অবস্থান ছিল তা এখন হ্রাস পেয়ে ২ লক্ষাধিকে এসে ঠেকেছে। বর্তমানে রাখাইনে রোহিঙ্গাবিরোধী দমনপীড়ন, জ্বালাও পোড়াও, গণহত্যা থমকে থাকলেও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যদের মাঝে যে অজানা শঙ্কা বিরাজ করছে তাতে রোহিঙ্গারা এদেশে পালিয়ে আসা অব্যাহত রেখেছে। একদিকে সীমান্ত খোলা থাকা, অপরদিকে বাংলাদেশে আশ্রয় লাভ ও ত্রাণ সহায়তা নিয়ে জীবন বাঁচিয়ে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়াকে কেন্দ্র করেই রাখাইনে থাকা অবশিষ্ট রোহিঙ্গার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। তবে বিভিন্নভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা কাজে জড়িত কিছু রোহিঙ্গা এনভিসি কার্ড নিয়ে অবস্থান করছে। এদিকে, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি এখন আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ এ প্রত্যাবাসন শুরু হবে, আদৌ শুরু হবে কিনা, হলেও কী পরিমাণ যাওয়ার সুযোগ পাবে সবই অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের মাঝে যে ভীতিকর পরিস্থিতির জন্ম হয়েছে তাতে তারা আর মিয়ানমার সরকারের কোন পদক্ষেপের প্রতি আস্থা রাখতে পারছে না। এতে প্রতিদিন ও রাতে সমানতালে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। গোটা কক্সবাজার অঞ্চল এখন রোহিঙ্গাভারে জর্জরিত। এদের অনেকেই পুনরায় নিজভূমে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছে না। কেননা, মিয়ানমার সরকার ও উগ্র মগ সন্ত্রাসীদের যে তা-বলীলা তারা স্বচক্ষে দেখেছে এবং অগণিত স্বজন প্রাণ হারিয়েছে তা তাদের ভীতিকর পরিস্থিতির মাঝে ডুবিয়ে রেখেছে। এপার এবং ওপারে থাকা রোহিঙ্গাদের মাঝে সর্বক্ষণিক যোগাযোগ থাকার প্রেক্ষাপটে এরা প্রতি মুহূর্তের খবর পেয়ে যাচ্ছে আর এতে বাংলাদেশের মানবিকতায় তারা অনেকটা উদ্বুদ্ধ হয়ে এখনও দলে দলে এদেশমুখী হচ্ছে। সার্বিক বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাখাইন রাজ্যে ইতোপূর্বেকার সেনাবাহিনীর দমন-নিপীড়ন, হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও পোড়াওসহ বর্বরতার অমানবিক ঘটনাগুলো হ্রাস পেলেও যে মহাতঙ্ক রোহিঙ্গাদের মনে প্রোথিত হয়েছে এবং পাশাপাশি বাংলাদেশে আশ্রয় পেয়ে ত্রাণ প্রাপ্তির যে অবারিত সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তাতে তারা এদেশে বসতি গড়ে তোলার চিন্তায় বিভোর হয়ে আছে। সুচির মংডু ও রাখাইন সফর ॥ বৃহস্পতিবার আকস্মিকভাবে সিটওয়ে (সাবেক আকিয়াব) ও মংডুর বিভিন্ন এলাকা সফর করেছেন আউং সান সুচি ও তার সঙ্গে সে দেশের উচ্চপর্যায়ের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তিনি বিমানযোগে সিটওয়েতে অবতরণ করেন। সেখানে ঘণ্টা দুয়েক অবস্থানের পর মংডুসহ রাখাইনের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। মংডুতে অবস্থানরত সকল শ্রেণী পেশার প্রতিনিধির উদ্দেশ করে সুচি আগামীতে আর ঝগড়া-বিবাদ না করার আহ্বান জানান। পরিদর্শনকালে সেখানে কয়েক রোহিঙ্গা ধর্মীয় নেতার সঙ্গে সুচি আলাপ করেন এবং তাদের শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার তাগাদা দেন। তিনি তাদের উদ্দেশ করে আরও বলেন, সরকার তোমাদের সাহায্য করবে। তোমরা কোন ধরনের ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হইও না। সুচির এ সফর সূচীর ব্যাপারে আগেভাগে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ঘোষিত হয়নি। সংবাদ মাধ্যমেও খবরটি আসেনি। বিমানযোগে সিটওয়েতে আসার পর সেখান থেকে তিনি রাখাইনের বিভিন্ন এলাকা সফর করেন হেলিকপ্টারযোগে। হেলিকপ্টার থেকে তিনি রাখাইনের ক্ষত বিক্ষত জনপদ পরিদর্শন করেন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা ৬৮ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর সুচির এ আকস্মিক সফর বিশ্ব নেতৃবৃন্দের চাপের মুখেই হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলো একের পর এক জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও নানামুখী নিপীড়নের ঘটনার পর সুচির এ আকস্মিক সফরে এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সুচি যে রোহিঙ্গাদের বাঙালী সন্ত্রাসী ও অবৈধ অভিবাসী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন এবং তাদের প্রতি যে অবর্ণনীয় বর্বরোচিত আচরণের ঘটনা ঘটেছে তা এখন আর লুকোচাপা করার অবকাশ নেই আর এ কারণেই বিশ্ববাসীর নজর কাড়তে সুচি রাখাইন রাজ্যে পরিদর্শন করলেন বলে ইতোমধ্যে আলোচনায় এসেছে। ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিপুলভাবে বিজয় লাভের পর সুচির নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকার মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসীন হলেও মূল ক্ষমতা এখনও সে দেশের সামরিক বাহিনীর হাতেই রয়ে গেছে। সামরিক বাহিনীর কথার বাইরে পা রাখার কোন ক্ষমতা নেই সুচিরÑ তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, মিয়ানমারের রাখাইনে আপাতত সেনাবাহিনীর নির্যাতন দৃশ্যমান না হলেও টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ কোনভাবেই কমছে না। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনদিনে উখিয়া পালংখালীর আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত দিয়ে দশ সহস্রাধিক রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটেছে। গত সোম ও মঙ্গলবার সমুদ্রপথে ট্রলার নিয়ে আসা পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গা শামলাপুর বস্তিতে ঢুকে পড়েছে। আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশকৃত রোহিঙ্গাদের সীমান্তের নাফ নদীর পাড়ে জড়ো করে রেখেছে বিজিবি সদস্যরা। ওপারে আরও প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তবে ঠিক কী পরিমাণ অনুপ্রবেশ ঘটেছে তার কোন সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান এখনও হয়নি বলে জানিয়েছেন। পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল গফুর চৌধুরী জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের মধ্যে তিন হাজারেরও বেশিকে আঞ্জুমানপাড়া সীমান্তে জড়ো করে রাখা হয়েছে। এদিকে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর আউং সান সুচি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য রাখায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন টেকনাফ ও উখিয়ার স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকাবাসী সূত্রে জানানো হয়েছে, রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধন মানবাধিকার লঙ্ঘন বলেই মানবতার খাতিরে লাখ লাখ নাগরিক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ সরকার আশ্রয় দিয়ে অন্যায় করেনি। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আশ্রয় দিয়ে লাখো লাখো রোহিঙ্গার প্রাণ রক্ষা করায় আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে বাংলাদেশ। ৩ লাখ সাড়ে ৭২ হাজার রোহিঙ্গার নিবন্ধন ॥ উখিয়া ও টেকনাফের ১২ অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৭২ হাজার ৫৩০ রোহিঙ্গার নিবন্ধন করা হয়েছে। টেকনাফ ও উখিয়ায় আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারী ব্যবস্থাপনায় ৬ ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ অব্যাহত রয়েছে। পাসপোর্ট অধিদফতর এ নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া সমাজসেবা অধিদফতর কর্মীরা এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৯৫৪ এতিম শিশু শনাক্ত করেছে। উল্লেখ্য, কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিক সংখ্যা ৬ লাখ ১৩ হাজার। তবে বেসরকারী পরিসংখ্যানে এ সংখ্যা আরও বেশি। অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। অপরদিকে রাখাইনে সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর বিশ্ব চাপের মুখে সুচির সরকার দাবি করে আসছে, যেসব রোহিঙ্গা নিজেদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে প্রমাণ দিতে পারবে, তাদেরই ফিরিয়ে নেয়া হবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তালিকার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। ইতোমধ্যে মিয়ানমার পুলিশপ্রধান বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে শরণার্থীদর তালিকা চেয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই ধরনের কোন তালিকা মিয়ানমার সরকারের কাছে প্রেরণ করা হয়নি। তবে বিভিন্নভাবে এ সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে বলে প্রচার রয়েছে। ঘটনা প্রবাহে প্রতীয়মান যে, রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অভিযানের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ৬ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে হত্যা, ২৮৪ রোহিঙ্গা গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া এবং রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়া ঠেকাতে সীমান্তে ল্যান্ড মাইন পুঁতে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ও আন্তর্জাতিক রীতিনীতির ব্যত্যয় ঘটিয়েছে মিয়ানমার। রাখাইনের মংডু জেলার নয়াপাড়া, কাজিরবিল, রাবাইল্লা, রাইম্যাবিল, উকিলপাড়া, মগনীপাড়া, হাইচ্যুরাতা, নারিংচং, পেরাপ্রু, গোজিবিল, নাইচ্ছাপুর, শীলখালি, ধুমসেপাড়া, কোয়াং সং ও আনদং এবং রাচিদং জেলার শোয়াপ্রাং, ধনস্যাপাড়া, বুচিদংয়ের তামাবিল, কইল্যাভাঙ্গা ও রাইচং থেকে লাখে লাখে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
×