ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরে দেখা

প্রকাশিত: ০৩:৩৪, ৩ নভেম্বর ২০১৭

ফিরে দেখা

পেহেলি পড়শি, তারও আগে বাংলাদেশ তৌহিদুর রহমান ॥ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ গত ২২ অক্টোবর ঢাকায় এসেছিলেন। তিনি ঢাকায় এসে ভারতীয় হাইকমিশনে সুধীজনের সামনে এক বক্তৃতা দেন। সে সময় সুষমা স্বরাজ ইংরেজী বক্তৃতা দেয়া শুরুর এক পর্যায়ে হিন্দীতে বলা শুরু করেন। তিনি হিন্দীতেই বলেন, ভারত তার প্রতিবেশী দেশকেই প্রাধান্য দেয়। তবে প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশকেই সবার আগে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে তার দাদা ও দিদির সম্পর্ক বলে জানান তিনি। সুষমা স্বরাজের হিন্দী বক্তৃতা উপস্থিত সকলেই উপভোগ করেন। জনগণের বন্ধু না শত্রু! জাহিদুল আলম জয় ॥ ৫ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার। পল্টনে এশিয়া কাপ হকির প্রেস কনফারেন্স শেষ করে বিআরটিসি দোতলা বাসযোগে অফিসে আসছি। প্রেসক্লাব পার হয়ে বাস তখন হাইকোর্টের মোড়ে সিগন্যালে দাঁড়িয়ে। এ সময় অদ্ভুত এক দৃশ্যের সাক্ষী হলাম। যা অনেকের কাছেই পরিচিত দৃশ্য! দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ একটি পিকআপ ভ্যান আটকিয়েছেন। তাদের মধ্যে চলছে দর কষাকষি! নিশ্চিতকরেই বলা যায় ‘অর্থের পরিমাণ’ কত হবে তা নিয়ে দেনদরবার চলছে। কিছুক্ষণ পরই এর সতত্য পাওয়া গেল। পিকআপের ড্রাইভার চুপিসারে পুলিশের হাতে একটা নোট ধরিয়ে দিলেন। আর তিনি সেটা আলতো করে পকেটে ঢুকিয়ে নিলেন! কত টাকা লেনদেন হলো সেটা বোঝা গেল না। আমার মতো আরও কয়েকজন যাত্রীর চোখে পড়ে দৃশ্যটা। এরমধ্যে একজন যাত্রী চিৎকার করে বলে উঠলÑ‘ওই দুশ্চরিত্রবান পুলিশ, কয় টাকা নিলিরে। তোরা জনগণের বন্ধু না শত্রু’? এ সময় বাসের ভেতর অনেকেই তাদের মত প্রকাশ করতে থাকেন। বেশিরভাগ মানুষই তথাকথিত জনগণের বন্ধুরূপী পুলিশকে অর্থলোভী, অমানুষ হিসেবে অভিহিত করলেন। অনেকেই আপসোস করে বললেন, ‘এদের দ্বারা জনগণের উপকার দূরে থাক, বিড়ম্বনাই বেশি হয়!’ [email protected]
×