ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শিশুকন্যা নিয়ে মুন্সীগঞ্জে বাবা-মার আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ০৮:৩৭, ২ নভেম্বর ২০১৭

শিশুকন্যা নিয়ে মুন্সীগঞ্জে বাবা-মার আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ শ্রীনগরে স্বামী-স্ত্রী তাদের শিশুসন্তান নিয়ে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। বুধবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে বাড়ৈখালী ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ইলিয়াস জানান, ওই গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মোঃ মমিন (৫০), তার স্ত্রী লুবনা বেগম (৪৪) ও শিশু কন্যা সানজিদা (৯) একই সঙ্গে বিষপান করে। বিষের তীব্রতায় প্রথমে সানজিদা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পরে মমিন ও শেষে তার স্ত্রী লুবনা মারা যায়। প্রতিবেশীরা জানান, হাসপাতালে নেয়ার আগেই তারা মারা যায়। তাদের আরেক মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী স্বর্ণা বেঁচে আছে। স্বর্ণা ও সানজিদা শ্রীধরপুর মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুর ইসলাম ঘটনাস্থলে জানান, লুবনা বেগমের সঙ্গে অন্য কারও সম্পর্ক রয়েছে- এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া ছিল। পরে গত ২৮ অক্টোবর বিচার করে বাড়ৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান নিজ কার্যালয়ে কাজী এনে তালাকের ব্যবস্থা করেন। এরপর লুবনা বেগম পাশের মদনখালী গ্রামে বাবার বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু তিনদিনের মাথায় বুধবার আবারও এ স্বামী-স্ত্রীকে একসঙ্গে মিলিয়ে দিয়ে সংসার করার জন্য বলে। পরে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে লুবনা স্বামীর বাড়ি আসে। সন্ধ্যার পরে কন্যা সানজিদাকে নিয়ে বাড়ির সামান্য দূরে বিলে গিয়ে এক সঙ্গে তিনজন বিষপান করে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে (রাত পৌনে একটা) থানায় নিয়ে আসে। এই বিষয়ে রাত সাড়ে ১২টায় কথা হয় বাড়ৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম তালুকদারের সঙ্গে। তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আসার পর মমিনের ভাই তাদের মারধর করে এবং গালমন্দ করে। হয়ত এ কারণে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। তিনি জানান, এই ঘটনার পর মমিনের ভাই পলাতক রয়েছে। তালাক দেয়া আবার তিনদিনের মাথায় মিলিয়ে দেয়ার ঘটনা এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘মমিন নিজে গিয়ে তার স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে এসে ইউনিয়ন কার্যালয়ে আসে। পরবর্তীতে আমরা বলেছি, ‘ঠিক আছে যা, মিল্লা থাকতে পারলে থাকগে।’
×