ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের মধ্যে ভোলার মজুদ ৫ম স্থানে

ভোলায় পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ২ নভেম্বর ২০১৭

ভোলায় পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু

হাসিব রহমান, বোরহানউদ্দিন থেকে ॥ ভোলার শাহাবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রের অনুসন্ধান কূপ শাহাবাজপুর ইস্ট-১ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের মুলাইপত্তন গ্রামে ডিএসটি-১ এর মাধ্যমে আগুন প্রজ্বলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। এ সময় বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাপেক্স কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে দেশের সকল গ্যাস ক্ষেত্রের মধ্যে ভোলা শাহাবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রের মজুদ ৫ম স্থানে। মজুদকৃত গ্যাসের পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন ঘন ফুটের বেশি। এ মাসেই বাপেক্স ভোলার ভেদুরিয়াতে আরও একটি গ্যাস কূপ অনুসন্ধানের কাজ শুরু করবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত ৬ আগস্ট বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বোরহানউদ্দিনের শাহাবাজপুর ইস্ট-১ এর খনন কাজের উদ্বোধন করেন । বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি বাপেক্স জানিয়েছে, গত সপ্তাহে প্রাথমিকভাবে এই কূপ থেকে ৭শ’ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল। বুধবার সকাল থেকে এ পযর্ন্ত উত্তোলিত গ্যাসের পরিমাণ ২ ঘণ্টায় আড়াই কোটি ঘন ফুট হওয়ায় কর্তৃপক্ষ আশা করছে এ কূপ থেকে কাক্সিক্ষত গ্যাস পাওয়া যাবে। যার আনুমানিক মূল্য হবে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে এর পরিমাণ কম বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাপেক্স। আরও ৩-৪ দিন চলবে এ পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন। এরপর ডিএসটি-২ পরীক্ষামূলক হবে। বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ নওশাদ ইসলাম জানান, ভোলার বোরহানউদ্দিনে প্রথম শাহাবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার হয় ১৯৯৪ সনে। পরবর্তীতে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এই এলাকায় সর্বশেষ ২০০১৫ সনে থ্রি ডি সিসমেক সার্ভে করা হয়। তখন শাহাবাজপুর ইস্ট-১ চিহ্নিত করা হয়। তখন তিনটি টার্গেট ছিল। এর মধ্যে নতুন ২টি ক্ষেত্র আবিষ্কারের টার্গেট ছিল। এছাড়া পূর্ববর্তী গ্যাস ক্ষেত্রের কোন এক্সটেনশন আছে কিনা তা পরীক্ষা করা। সেই লক্ষ্যে এই অনুসন্ধানমূলক কূপ খনন করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এখানে ভাল গ্যাস মজুদ রয়েছে। ইতোপূর্বে এত ভাল গ্যাস মজুদ আবিষ্কার হয়নি। এখানে প্রথম ২ ঘণ্টায় ২৫ মিলিয়ন হাতে গ্যাস উত্তোলন করতে পেরেছি। এটা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আমরা ধারণা করছি, প্রাথমিকভাবে এখানে ৭০০ বিসিএফ গ্যাস মজুদ রয়েছে। সেই সম্ভাবনা আরও জোরদার হয়েছে। বাপেক্সের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মোঃ সুজাউল হাসান জানান, শাহাবাজপুর ইস্ট-১ এ প্রায় ৩৫০০ মিটার নিচে গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও শাহাবাজপুর প্রথম গ্যাস কূপের দূরত্ব সাড়ে ৩ কিলোমিটার। বাপেক্স কর্মকর্তারা আরও জানান, সব কূপ মিলে এই গ্যাস ক্ষেত্রটির মজুদ এক ট্রিলিয়ন ঘনফুট ছাড়িয়ে যাবে।
×