ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পাটের জিনোমিকস গবেষণার অগ্রগতি

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২ নভেম্বর ২০১৭

আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পাটের জিনোমিকস গবেষণার অগ্রগতি

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বিশ্বব্যাপী কৃষি জিনোমিকসে চলমান গবেষণা এবং সাফল্যসমূহের বিষয়ে গত ২৩ থেকে ২৭ অক্টোবর চীনের হুয়াজং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেচার পত্রিকার যৌথ আয়োজনে চীনের উহানে নেচার কনফারেন্স অন এগ্রিকালচার জেনোমিকস ২০১৭ : ‘ফাংশনাল জেনোমিসক টুয়ার্ড গ্রীন ক্রপস ফর সাসটেইনেবাল এগ্রিকালচার’ অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের কৃষি জিনোমিকস গবেষণার অগ্রগতি পর্যলোচনার পাশাপাশি চীন কর্তৃক গ্রীন সুপার রাইস উদ্ভাবনের ১০ বছর পূর্তি উৎসবও পালন করা হয়। সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, চীন, বাংলাদেশ, মেক্সিকো, সুইজারল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইডেন, জাপান, জার্মান, সৌদি আরব ও ইসরাইলের ৩৬ বিজ্ঞানী প্লেনারি স্পীকার হিসেবে প্রতিপাদ্যের উপর গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। উন্নয়নশীল বিশ্ব হতে একমাত্র বাংলাদেশ এতে প্লেনারি স্পীকার হিসেবে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে পাট বিষয়ক মৌলিক ও ফলিত গবেষণা প্রকল্পের বিজ্ঞানীগণ এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের পক্ষে পাটের জিনোমিকস গবেষণার অগ্রগতি ও কৌলিতাত্ত্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণের কলাকৌশল নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। জিনোমিকস গবেষণায় বাংলাদেশের অগ্রগতি সম্মেলনে প্রশংসিত হয়। উল্লেখ্য, অতি অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশ পাটের দুইটি প্রজাতি এবং একটি ক্ষতিকর ছত্রাকের জিনোম সিকুয়েন্সিং সম্পন্ন করেছে। পাশাপাশি এ গবেষণার সুফল হিসেবে পাটের চারটি নতুন লাইনও উদ্ভাবিত হয়েছে। ষাটের দশক থেকে বিশ্বব্যাপী শুরু হওয়া সবুজ বিপ্লব সম্ভব হয়েছে উচ্চহারে সেচ, সার, কীটনাশক এবং অন্যান্য অনুষঙ্গ প্রয়োগের ভিত্তিতে। কিন্তু পাশাপাশি জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে উচ্চফলন লাভের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদের যথেচ্ছ ব্যবহারসহ প্রাকৃতিক ভারসাম্যের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহারের এ পন্থা জলবায়ু, পরিবেশ অপূরণীয় ক্ষতি করছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য জিনোমিকস গবেষণালব্ধ ‘সবুজ প্রযুক্তি’তে কম কীটনাশক ও কম সার প্রয়োগ করে পানি সাশ্রয়ী ও ঘাতসহিষ্ণু উ"চফলনশীল জাত উদ্ভাবন একমাত্র উপায় হিসেবে বিবেচিত হ"েছ। ‘সবুজ প্রযুক্তি’র মাধ্যমে ‘দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লব’ সংঘটনের জন্য বিভিন্ন দেশ জিনোমিকস গবেষণাকে জোরদার করেছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, ক্রমহ্রাসমান জমি এবং য়িষ্ণু পরিবেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জিনোম গবেষণার কোন বিকল্প নেই। এজন্য সরকার কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পাট বিষয়ক মৌলিক ও ফলিত গবেষণা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে বিশ্বমানের জিনোমিতকস গবেষণার সুবিধাসম্পন্ন একটি প্লাটফর্ম গড়ে তুলেছে। কৃষি মন্ত্রণালয় পরিবেশ ও প্রতিবেশের সংরণ নিশ্চিত করে ফসল উৎপাদনের ল্েয জিনোমিতকস গবেষণাকে জোরদার করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।
×