স্টাফ রিপোর্টার॥ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনা অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপীল শুনানি আরও পাঁচ সপ্তাহ মুলতবি করেছে আপীল বিভাগ। এর ফলে এই সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। বুধবার সকালে দািয়ত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মোঃ আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপীল বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম।
এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ৬ সপ্তাহ সময় চেয়েছিলাম আদালতের কাছে। পরে আদালত পাঁচ সপ্তাহ সময় মঞ্জুর করেছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ২০১১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ভবন নির্মাণ আইনের কয়েকটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে আবাসন কোম্পানি এসথেটিক প্রপাটিজ ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খানকে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদ-াদেশ দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২০ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান। এরপর ১১ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের (মোবাইল কোর্ট এ্যাক্ট, ২০০৯) কয়েকটি ধারা ও উপধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন তিনি। রিটের শুনানি নিয়ে একই বছর রুল জারি করে হাইকোর্ট। আদালতের জারি করা রুলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ৫ ধারা এবং ৬(১), ৬(২), ৬(৪), ৭, ৮(১), ৯, ১০, ১১, ১৩, ১৫ ধারা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে এ ধরনের আরও দুটি রিট করা হয়। তিন রিটে মোট ১৯ আবেদনকারীর শুনানি শেষে গত ১১ মে রায় ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনে আবেদনকারীদের দেয়া সাজাও বাতিল করেছেন।
