ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

২০ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ

যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চান, তারা চরম বিপদে পড়বেন ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২ নভেম্বর ২০১৭

যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চান, তারা চরম বিপদে পড়বেন ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর, ১ নবেম্বর ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চান তারা নিজেরাই চরম বিপদে পড়বেন। বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনের জলদস্যু ও বনদস্যুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আত্মসমর্পণ না করলে তাদের জন্য কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। মন্ত্রী বুধবার পিরোজপুরে স্টেডিয়াম মাঠে ২০ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। বরিশাল র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার হাসান ইমন আল রাজিবের সভাপতিত্বে আত্মসমর্পণ পরবর্তী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন র‌্যাব- ফোর্সেসের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক মোঃ বেনজীর আহম্মেদ, বিপিএম বার। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন একেএমএ আউয়াল এমপি, জেলা প্রশাসক মোঃ খায়রুল আলম সেখ. পুলিশ সুপার মোঃ ওয়ালিদ হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজ, পৌর সভার মেয়র আলহাজ হাবিবুর রহমান মালেক। অনুষ্ঠানের শুরুতে জলদস্যুদের গুলিতে একচোখ হারানো মৎস্যজীবী আব্দুল কাইয়ুম তার ওপর জলদস্যুদের অমানুষিক নির্যাতনের বর্ণনা দেয়ার সময় উপস্থিত অনেকেই অশ্রুসজল হয়ে উঠেন। পিরোজপুরে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে সুন্দরবনের কুখ্যাত জলদস্যু ও ডাকাত মানজু বাহিনীর প্রধান মোঃ মানজু সরদার তার বক্তব্য দিতে গিয়ে অতীত কর্মকা-ের জন্য সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। মানজু বাহিনী এবং মজিদ বাহিনীর প্রধান মোঃ তাকবির কাগচী ওরফে মজিদসহ ২০ সক্রিয় জলদস্যু ১১টি বিদেশী একনলা বন্দুক, ৭টি বিদেশী দোনলা বন্দুক, ৫টি ২২ বোর বিদেশী এয়ার রাইফেল, ৬টি ওয়ান শূটারগান এবং ৪টি কাটা রাইফেলসহ সর্বমোট ৩৩টি দেশী বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র এবং সর্বমোট ১৩২৯ রাউন্ড বিভিন্ন প্রকার গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন সুন্দরবনে এবং সাগরে জনাব বাহিনী, সুমন বাহিনী ও বড় ভাই বাহিনী সক্রিয় রয়েছে। তারা অবিলম্বে আত্মসমর্পণ না করলে তাদের কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যারা আত্মসমর্পণ করছেন তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা, র‌্যাবের পক্ষ থেকে ২০ হাজার এবং এক্সিম ব্যাংকের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার নগদ টাকাসহ একটি করে মোবাইল ফোন, শীতবস্ত্র প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া হত্যা ও ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধী ব্যতীত অন্যান্য অপরাধের সংশ্লিষ্ট জলদস্যু ও বনদস্যুদের জামিনে মুক্ত হওয়ার পদটি সুগম করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৩২ জন আত্মসমর্পণ করলেও এর মধ্যে একজন ব্যতীত বাকি সকলে জামিনে মুক্ত হয়ে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হয়েছে এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে।
×