ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে লক্কড়-ঝক্কড় বাস দিয়ে চলছে বিআরটিসি

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ১ নভেম্বর ২০১৭

বরিশালে লক্কড়-ঝক্কড় বাস দিয়ে চলছে বিআরটিসি

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ দীর্ঘদিনের পুরনো বাস প্রশাসনিক ব্যয় নিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিআরটিসির একমাত্র বাস ডিপোটি এখন লোকসানের মুখে পড়েছে। এক সময়ে রাষ্ট্রীয় সড়ক পরিবহন সংস্থার দেশের সর্বোচ্চ লাভজনক এ বাস ডিপোটি এখন দুই যুগের পুরনো মেরামত অযোগ্য বাস দিয়ে যাত্রীসেবার নামে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের পরিধিই কেবল বৃদ্ধি করছে। পুরনো লক্কড়-ঝক্কড় বাস যাত্রীসেবার পরিবর্তে বর্তমানে যাত্রী দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। এ কারণে যেসবস্থানে বেসরকারী বাস রয়েছে সেখানকার যাত্রীরা বিপদে না পরলে বিআরটিসি বাসে উঠেন না। এছাড়াও রয়েছে কতিপয় প্রভাবশালী অসৎ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে এ ডিপোর ৬১টি বাসের মধ্যে ১৮টি মেরামতে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অবশিষ্ট ৪৩টি বাসের মধ্যে ১৬টি এসি বাস মাত্র তিন বছর আগে ভারতীয় ঋণে সংগ্রহ করা হলেও তা এখন যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ভ্রমণের পরিবর্তে বিড়ম্বনাকে বৃদ্ধি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির অনেক বাসে বর্ষার সময় ছাতা মাথায় দিয়েও বসতে হয় যাত্রীদের। শত বিড়ম্বনার পরও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে বিআরটিসি বাসের গ্রহণযোগ্যতা এখনও রয়েছে। এখনও সংস্থাটির বরিশাল বাস ডিপোর ৪৩টি গাড়ি দৈনিক প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার সড়কপথে অন্তত পাঁচ হাজার যাত্রী পরিবহন করে আসছে। তবে প্রতি মাসে ডিপোটি দেড় কোটি টাকারও বেশি যাত্রীভাড়া আয় করলেও পুরনো গাড়ির অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যয়, নদ-নদীবেষ্টিত দক্ষিণাঞ্চলের সড়কপথে ফেরি ভাড়া ও সেতুর মাত্রাতিরিক্ত টোল পরিশোধের সঙ্গে অতিরিক্ত প্রশাসনিক ব্যয় এ বাস ডিপোটির লাভের পথ রুদ্ধ করছে। বছরে দুটি উৎসব ভাতা প্রদানেও এ ডিপোটির কোষাগার থেকে অতিরিক্ত প্রায় ২০ লাখ টাকা চলে যাচ্ছে। ফলে এক সময়ের লাভজনক বরিশাল বাস ডিপোটি এখন অনেকটাই লোকসানের মুখে পড়েছে। এ ব্যাপারে বরিশাল বাস ডিপোর ম্যানেজার কামরুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি উত্তরণের চেষ্টা চলছে। যত দ্রুত সম্ভব বরিশাল বাস ডিপোতে ভালমানের বাস সরবরাহের ব্যাপারে সংস্থার উর্ধতন কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে। তিনি আরও জানান, বরিশাল-খুলনা-বেনাপোল ও বরিশাল-কুয়াকাটা রুটে ভালমানের এসি বাস চালুর জন্য সংস্থার সদর দফতরকে অনুরোধ করা হয়েছে। অতিরিক্ত জনবলের বিষয়ে তিনি (কামরুজ্জামান) কোন মন্তব্য না করে জনবল নিয়োগের বিষয়টি তার এখতিয়ারবহির্ভূত নয় বলে উল্লেখ করেন।
×