ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদার মিথ্যাচারের জবাব মানুষ আগামী নির্বাচনে দেবে ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১ নভেম্বর ২০১৭

খালেদার মিথ্যাচারের জবাব মানুষ আগামী নির্বাচনে দেবে ॥ নাসিম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, খালেদা জিয়া রোহিঙ্গাদের ত্রাণ কিংবা সমবেদনা জানাতে যাননি। রোহিঙ্গাদের অবলম্বন করে নির্বাচনী প্রচার করতে গিয়েছেন। শোডাউন করে লোক দেখাতে গিয়েছেন। তিনি মূলত পথে পথে নাটক করেছেন, হামলার নাটক সাজিয়েছেন। মঙ্গলবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সাম্যবাদী দলের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জঙ্গী ও দেশবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েমের অঙ্গীকার করেছেন বাম রাজনৈতিক দলের নেতারা। নাসিম বলেন, ‘তিনি রোহিঙ্গাদের সাহায্য-সহযোগিতা করতে গেলে বিমানেই যেতে পারতেন। প্রায় তিন মাস পর সেজেগুজে কোটি টাকা খরচ করে, সারি সারি গাড়ি নিয়ে যেতেন না। পেট্রোল খরচ আর সাজগোজে যে টাকা খরচ করা হয়েছে সেই টাকা দিয়ে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করতে পারতেন। মন্ত্রী বলেন, সেখানে গিয়ে তিনি মিথ্যাচার করে বলেছেন, সরকার ও আওয়ামী লীগ রোহিঙ্গাদের জন্য কিছুই করেনি। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এতবড় মিথ্যাচার কী করে করতে পারেন। এ মিথ্যাচারের জবাব দেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে দেবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবারও জয়ী করবে দেশের মানুষ। অনুষ্ঠানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু দেশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ডাক দিয়ে বলেছেন, দেশ থেকে যে করেই হোক তেঁতুল হুজুর, জঙ্গী-সন্ত্রাসী, জামায়াত ও তাদের পোষণকারীদের চিরতরে উচ্ছেদ করতে হবে। অনুষ্ঠানে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, সমাজতন্ত্র কায়েমের লক্ষ্যে এই উপমহাদেশে দীর্ঘদিন আগে সমাজতান্ত্রিক ভাবধারায় সাম্যবাদী দলের যাত্রা। লেনিনের মতাদর্শে এ দেশের মানুষ জাতীয় মুক্তির লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠালগ্নে লেখা সংবিধানের চারটি মূলনীতির একটি হলো সমাজতন্ত্র। যা আমরা নিজেরা লিখে তা আজ বাস্তবায়ন হচ্ছে না। নিজেরা লিখে তা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে সামনে আরও কঠিন সময় আসবে। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দিলে সামনে বিপদ আছে দাবি করে মেনন বলেন, বাংলাদেশে তিন কোটি মানুষ এখনও দরিদ্র। অনেক মানুষ হতদরিদ্র। শুধু উন্নয়ন নয়, জঙ্গী-সন্ত্রাসবাদ, জামায়াত-শিবিরকে উৎখাত করতে না পারলে, তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে জয়ী হতে না পারলে সামনে আরও কঠিন সময় আসবে। বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল) এর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া সভাপতির বক্তব্যে বলেন, রাজনৈতিক আলোচনা করতে গেলে সমাজতন্ত্র চর্চারসঙ্গে যুক্ত দলগুলোকে ডাকতে হবে। এখন দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয়। মার্কা ছাড়া অনেক বড় বড় দল নির্বাচনে হারবে। আমরা ১৪ দলের সঙ্গে আছি, থাকব। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম, জাসদের একাংশের সভাপতি শরিফ নূরুল আম্বিয়াসহ বাম রাজনৈতিক দলের নেতারা।
×