ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের সম্পদ বিক্রি থেকে সরে এসেছে শেভরন

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ১ নভেম্বর ২০১৭

বাংলাদেশের সম্পদ বিক্রি থেকে সরে এসেছে শেভরন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাড়ছে না যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল-গ্যাস কোম্পানি শেভরন। বাংলাদেশে থাকা সম্পদ বিক্রির যে পরিকল্পনা ছিল তা থেকে সম্প্রতি সরে এসেছে কোম্পানিটি। গত রবিবার শেভরনের এশিয়া ও প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের বহিঃসম্পর্ক বিভাগের উপদেষ্টা ক্যামেরন ভ্যান আসটের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে তিনটি ব্লকে থাকা সম্পদ বিক্রি করে দেয়ার যে আলোচনা চলছিল, শেভরন তা আর এগিয়ে নেবে না। বিবৃতিতে বলা হয়, শেভরন বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা অব্যাহত রাখার এবং পেট্রোবাংলা ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বাংলাদেশের ব্যবসা বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে শেভরন কেন সরে এলো, তার কোন ব্যাখ্যা বিবৃতিতে দেয়া হয়নি। এদিকে গত সপ্তাহে বাংলাদেশের বিদু্যুত ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, বাংলাদেশে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা গত সপ্তাহে শেভরন আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারকে জানিয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিবিয়ানা থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ১২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করছে শেভরন। সেখানে তারা আরও ৪০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। গত এপ্রিলে শেভরন জানায়, ওই তিন গ্যাসক্ষেত্রের প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের সম্পদ ও বাংলাদেশের যাবতীয় ব্যবসা চীনের কনসোর্টিয়াম হিমালয় এনার্জি কোম্পানি লিমিটেডের কাছে বিক্রি করে দিতে সমঝোতায় পৌঁছেছে তারা। হিমালয় এনার্জি চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ঝেনহুয়া অয়েল ও হংকং ভিত্তিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান সিএনআইসি কর্পোরেশনের একটি কনসোর্টিয়াম। কিছুদিন আগে রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে থাকা শেভরনের সম্পদ ২০০ কোটি ডলারে কেনার বিষয়ে একটি প্রাথমিক চুক্তিতে সই করেছে শেভরন ও চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ঝেনহুয়া অয়েল। তখন ঝেনহুয়া অয়েল এর দুই নির্বাহী কর্মকর্তার বরাত দিয়ে খবরটি প্রচার করে রয়টার্স। বাংলাদেশে বর্তমানে মোট তিনটি ব্লকে গ্যাস উত্তোলনের দায়িত্বে আছে শেভরন। সম্মিলিতভাবে এ তিনটি ব্লকে এক বছরের ব্যবধানে শেভরনের বিনিয়োগ (মূলধনী ও পরিচালন) কমেছে ১৯ শতাংশ। এ তিন ব্লকে ২০১৪ সালে শেভরনের মোট মূলধনী ও পরিচালন ব্যয় ছিল ৪১ কোটি ২৯ লাখ ডলার।
×