ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ ॥ একজন অভিযুক্ত হচ্ছেন

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ৩১ অক্টোবর ২০১৭

মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ ॥ একজন অভিযুক্ত হচ্ছেন

যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুকূলে নিতে রুশ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার অভিযোগ তদন্তে অন্তত এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রধান কৌঁসুলির অভিযোগ আনার গুঞ্জন গত সপ্তাহের শেষদিকে ওয়াশিংটনে চাউর হয়েছে। সিএনএনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের ওই প্রতিবেদনে এফবিআইয়ের সাবেক প্রধান রবার্ট মুলারের নেতৃত্বে চলমান তদন্তে কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে, তা নিয়ে কোন আভাস দেয়া হয়নি। খবর এএফপি ও বিবিসি অনলইনের। কিন্তু অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শনিবার সকালেই টুইটারে তার ক্ষোভ ঝাড়েন। ‘ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর নিষ্পেষণ’ আখ্যা দিয়ে তিনি তদন্ত কার্যক্রমের নিন্দা জানিয়েছেন। রাশিয়ার সঙ্গে সব ধরনের যোগসাজশের অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি। সোমবার গ্রেফতার হতে পারেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন নিয়ে মুলারের তদন্ত দল একদম রা করছেন না। কেবল রুশ হস্তক্ষেপ নিয়েই নয়, যে কোন ধরনের অপরাধের হোতাদের প্রকাশ্যে নিয়ে আসার ক্ষমতা মুলারের তদন্ত দলকে দেয়া হয়েছে। রিপাবলিকান গবর্নর ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ক্রিস ক্রিস্টি রবিবার বলেন, আজ আমেরিকান জনগণকে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি জানতে হবে তা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট তদন্তের আওতার বাইরে। কেউ তাকে বলেনি তার ওপর তদন্ত চলছে। তবে ট্রাম্প তদন্তের আওতায় আছেন কি-না, নিউ জার্সির এ গবর্নর সে খবর রাখেন বলে তার বক্তব্য শুনে মনে হয়নি। বরং তার কথায় বিষয়টি প্রচ্ছনই রয়ে গেছে। তিনি সম্ভবত এফবিআইয়ের সাবেক প্রধান জেমস কোমির আগের মন্তব্যকে উদ্ধৃতি হিসেবে ব্যবহার করেছেন। ক্রিস্টি এও বলেন, তদন্তের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে কারও ওপর যদি মুলারের অফিসের নজর পড়ে, তবে তাকে সজাগ থাকতে হবে। উচ্চপদস্থদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আগে এ রকম ব্যাপক-বিস্তৃত তদন্তের প্রথম লক্ষ্যবস্তু হন নিম্নপর্যায়ের লোকজন। তদন্তের মোড় হোমরা-চোমরাদের বিরুদ্ধে নিয়ে যেতে মাঝে মাঝে শুরুর দিকের অভিযোগপত্রে সম্ভাব্য প্রত্যক্ষদর্শীদের চাপে রাখা হয়। প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের হয়ে কাজ করা হোয়াইট হাউসের সাবেক প্রেস সচিব আরি ফ্লেইশার টুইটারে বলেন, যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়ে থাকে, তবে সেটা কোন চুনোপুঁটি হবেন। নতুন কোন একটি নাম আসবে, আমি বাজি ধরতে পারি, সেখানে ট্রাম্পের নাম থাকবে না। ক্যালিফোর্নিয়ার প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য এ্যাডাম সিফ বিষয়টি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, কোনভাবেই এ বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বলতে পারব না। প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দা কমিটিরও সদস্য তিনি। তবে সিফ দুই সম্ভাব্য ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেছেন, যারা এখনও গুজবের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। তারা হলেন সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফিন ও ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের সাবেক পরিচালক পল ম্যানাফোর্ট। দুজনেরই বিদেশী স্বার্থের অঘোষিত লবি হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
×