ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এবারও আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারব’

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৩০ অক্টোবর ২০১৭

এবারও আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারব’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত আসরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল টি২০) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। সেই দলের নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এবারও ঢাকা ডায়নামাইটসকে চ্যাম্পিয়ন করাতে চান মোসাদ্দেক। চোখের অসুবিধা সারিয়ে আবার মাঠে ফিরে সৈকত জানান, ‘এবারও আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারব।’ অনুশীলনের সময় চোখে ধুলা গেছে। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলা হয়নি। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও যাওয়া হয়নি। এর মধ্যে চোখের চিকিৎসা করেছেন। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে মাঠে অনুশীলনে ফিরেছেন। সামনে ৪ নবেম্বর থেকে বিপিএলের পঞ্চম আসর শুরু হবে। সেই আসরে প্রথম ম্যাচেই খেলতে নামবে ঢাকা ডায়নামাইটস। সেই ম্যাচ থেকেই সৈকত খেলবেন। জাতীয় দলের হয়ে নিয়মিত খেলতে থাকা সৈকত আর মাঠের বাইরে থাকতে চান না। সেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর দলের হয়ে খেলতে না পারায় তার কষ্টও রয়েছে। নিজেই জানিয়েছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর থেকেই মাঠের বাইরে। আমার মূল চ্যালেঞ্জ ছন্দ ফিরে পাওয়া। যে ফর্মে থেকে শেষ করেছিলাম সেখান থেকেই শুরু করতে চাই। গত বিপিএলে যেখানে শেষ করেছিলাম সেখান থেকেই শুরু করতে চাই।’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘এটা প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্য কষ্টের একটা সময় যায়। টিভিতে বসে খেলা দেখছি, আমার কাছে অনেক কষ্টের ছিল। কত তাড়াতাড়ি ফিরব, কবে দলে যোগ দেব, কোন একটা টুর্নামেন্ট দিয়ে ফিরব, এই তাড়াটা খুব অনুভব করেছি। এটা আমার একটা বড় সুযোগ, খুব দ্রুত ফেরার সুযোগ পেয়েছি। সামনে আবার জাতীয় দলের হোম সিরিজও আছে। বিপিএলটা যদি ভাল যায় আবার জাতীয় দলে ফিরব ইনশাল্লাহ।’ মাঠে ফিরতে অবশ্য তাড়াহুড়ো করেননি সৈকত। তাও জানালেন, ‘নিজেই চাচ্ছিলাম না চিকিৎসকের ছাড়পত্র ছাড়া মাঠে নামতে। তারা যখন বলেছেন, আমি খেলতে পারব, তারপর থেকেই মাঠে নেমেছি। তার আগে নামিনি।’ বিপিএলে দুইবার অংশ নেয় ঢাকা ডায়নামাইটস। গত আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়। গত আসরে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে ১৪ ম্যাচ খেলে ৩৩.৭৭ গড়ে ৩০৪ রান করেন সৈকত। অসাধারণ ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখান। এবারও একই ধারা বজায় রাখতে চান। তবে দলের পারফর্মেন্সই তিনি এগিয়ে রাখছেন। ব্যক্তিগত পারফর্মেন্স তার কাছে মুখ্য নয়। দল জিতবে। তাই চান। সৈকত এ নিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য থাকবে দল হিসেবে খেলা। কাগজে-কলমে আমরা ভারসাম্যপূর্ণ দল। আগে দলের পারফর্মেন্স, তারপর ব্যক্তিগত পারফর্মেন্স। গতবারও জানতাম আমরা ভাল দল। আমাদের ওপর কোন চাপ ছিল না। বরং অনুপ্রেরণা ছিল খেলোয়াড়রা যারা আমাদের দলে খেলেছে। এবারও তারা আছে। স্থানীয় ও বিদেশী খেলোয়াড়রা যদি একসঙ্গে সাপোর্ট দিতে পারে, তবে এবারও আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারব।’ এবার ঢাকা ডায়নামাইটস দলটি শক্তিশালী। দলে টি২০ স্পেশালিস্ট সাকিব আল হাসান রয়েছেন। সৈকত তো আছেনই। সেই সঙ্গে দেশী ক্রিকেটারদের মধ্যে নাদিফ চৌধুরী, গত আসরে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬.৬৫ গড়ে ৩৪৭ রান করা মেহেদী মারুফ, সাদমান ইসলাম, জহুরুল ইসলাম অমি, আবু হায়দার রনি, মোহাম্মদ শহীদ, সাকলায়েন সজিবরা আছেন। বিদেশী ক্রিকেটারদের মধ্যে শহীদ আফ্রিদি, শেন ওয়াটসন, এভিন লুইস, কাইরন পোলার্ড, আসেলা গুনারতে, কুমার সাঙ্গাকারা, নিরোশান ডিকওয়েলা, মোহাম্মদ আমির, কেভন কুপার, সুনীল নারাইনরা আছেন। শক্তিশালী দলই গড়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। আবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনায় আছে ঢাকা ডায়নামাইটস। সেকত বললেন, ‘চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতোই দল হয়েছে। মুখ দিয়ে বললেই চ্যাম্পিয়ন হওয়া যাবে না। মাঠে সেটা প্রমাণ করতে হবে। খেলা শুরু হোক। দল এক সঙ্গে হলে বুঝতে পারব কতটা ভারসাম্যপূর্ণ। টুর্নামেন্ট শুরু হোক, এক-দুই ম্যাচ গেলে বুঝতে পারব আমরা কি অবস্থায় আছি।’
×