ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জিনের আণবিক সম্পাদনা প্রযুক্তি আবিষ্কার

প্রকাশিত: ০৫:২২, ৩০ অক্টোবর ২০১৭

জিনের আণবিক সম্পাদনা প্রযুক্তি আবিষ্কার

এখনও চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়নি মানুষের এমন বংশগত রোগের সমাধানের আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। মানুষের জিন সম্পাদনার নতুন দুটি কৌশল আবিষ্কারের পর আশান্বিত হয়ে উঠেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন আবিষ্কৃত কৌশল ব্যবহার করে কোটি কোটি ডিএনএ ‘রাসায়নিক ভিত্তির’ ত্রুটি সংশোধন করা সম্ভব হবে। নেচার সাময়িকীতে এ বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। নতুন এই দুই পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে জিনের ‘আণবিক সম্পাদনা’ প্রযুক্তি। এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডেভিড লিউ ও দ্য ব্রড ইনস্টিটিউট অব এমআইটি। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে জিনের ত্রুটির নিখুঁত সমাধান সম্ভব। এটি মূলত ডিএনএ বা ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এ্যাসিডে কাজ করে। একটি সম্পূর্ণ জিন সেটকে বলা হয় জিনোম। আর জিনোমে প্রায় ৬শ’ কোটি ডিএনএ ‘রাসায়নিক ভিত্তি’ থাকে। অন্যদিকে দ্বিতীয় কৌশলটি কাজ করবে রাইবোনিউক্লিক এ্যাসিড বা আরএনএতে। এটি নিয়ে কাজ করেছেন ব্রড ইনস্টিটিউটের আণবিক জীববিজ্ঞানী ফেং ঝ্যাং। এই কৌশল ব্যবহার করে আরএনএ সম্পাদনা করা যাবে। নতুন কৌশল অনুযায়ী ডিএনএ পরিবর্তন না করেই আমিষ বা প্রোটিন তৈরির জন্য জিনগত নির্দেশনা বহন করতে পারবে আরএনএ। জিন সম্পাদনার যুগান্তকারী পদ্ধতি হলো ক্রিসপার-ক্যাসনাইন। বর্তমানে জিন সম্পাদনায় এই পদ্ধতিই ব্যবহার করা হচ্ছে। মূলত এ পদ্ধতি থেকেই তৈরি হয়েছে নতুন দুটি পদ্ধতি। ক্রিসপার-ক্যাসনাইন পদ্ধতিতে মানুষের জিনোমের অপ্রয়োজনীয় অংশ ছেঁটে ফেলা হয়। গত বুধবার নেচার সাময়িকীতে ডেভিড লিউ ও তার সহকর্মীরা এই কাজকে ‘ভিত্তি সম্পাদনা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। ক্রিসপার-ক্যাসনাইন পদ্ধতিতে ডিএনএ ভাঙ্গা হয়। কিন্তু ভিত্তি সম্পাদনায় ডিএনএর এককের ত্রুটিও সংশোধন করা যায়। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, এই নতুন দুই পদ্ধতি এখনও মানবদেহে পরীক্ষা চালানোর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। -ওয়েবসাইট অবলম্বনে
×