ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মৌলভীবাজারের পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে সাক্ষীর জবানবন্দী

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ৩০ অক্টোবর ২০১৭

মৌলভীবাজারের পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে সাক্ষীর জবানবন্দী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৌলভীবাজারের শামসুল হোসেন তরফদারসহ ৫ রাজাকারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ১৫তম সাক্ষী মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হরিদেব নাথ জবানবন্দী প্রদান করেছেন। জবানবন্দীতে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তদন্তকালে আমি ৩১ সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করি এবং তাদের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেছি। উক্ত আসামিদ্বয় বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) এ্যাক্ট ১৯৭৩ এ ধারা ৩(২) তৎসহ ধারা ৪(১) অনুসারে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন, অপহরণসহ ছয়টি অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করি। জবানবন্দী শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা শুরু করেন। অসমাপ্ত জেরার জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ২ নবেম্বর। চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রবিবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। এ সময় প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মোঃ সিমন, প্রসিকিউটর রাজিয়া সুলতানা বেগম চমন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট আব্দুস সুবহান তরফদার। তদন্ত কর্মকর্তা জবানবন্দীতে বলেন, আমার নাম হরিদেব নাথ। আমার বর্তমান বয়স আনুমানিক ৫৬ বছর। আমি পুলিশের সিনিয়র এ এসপি। ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছি। তদন্ত সংস্থার কমপ্লেইন্ট নম্বর ৩৭, তারিখি ২০১৪ সালের ১২ অক্টোরব আসামি শামসুল হোসেন তরফদার ওরফে আশরাফ, মোঃ নেছার আরী ও ইউনুছ আহম্মেদের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থার সমন্বয়কের স্মারক নং ১৪৪৪ তারিখ ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর মূলে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) এ্যাক্ট- ১৯৭৩ এর ধারা ৩(২) এ বর্ণিত মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত ভার গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করি। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে ৬টি অভিযোগ দাখিল করি। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন, অপহরণসহ ৫টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৮ জনকে হত্যা-গণহত্যা, ১১ জনকে অপহরণ আটক ও নির্যাতন এবং ২২টি বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ। আসামি পাঁচজন হলেন- শামসুল হোসেন তরফদার, মোবারক মিয়া, নেসার আলী, ইউনুস আহমেদ এবং ওজায়ের আহমেদ চৌধুরী। তাদের মধ্যে ইউনুস আহমেদ ও ওজায়ের আহমেদ চৌধুরী ট্রাইব্যুনালের আদেশে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন তদন্ত সংস্থা মোট ১ বছর ৩ মাস ৯ দিন তদন্ত করে ৯৮ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদনসহ ২৭৯ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর মধ্যে রয়েছে ৮৩ পৃষ্ঠার সাক্ষীদের জবানবন্দী, ৪০ পৃষ্ঠার জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণপত্র এবং ৫৮ পৃষ্ঠার অন্যান্য ডকুমেন্টস।
×