ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পড়ার বিষয় ॥ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ২৯ অক্টোবর ২০১৭

পড়ার বিষয় ॥ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং

বাংলাদেশে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় চালুর প্রথম দিকে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক, আইন ও মানবাধিকার সম্পর্কিত বহু গ্রন্থের প্রণেতা ড. মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৫ সালের এপ্রিল মাসে ১৬৮ ছাত্রছাত্রী নিয়ে ঝিগাতলার একটি ৩ তলা বাড়িতে এর যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে এর অনেক বিস্তৃতি ঘটেছে। সে সময় আইন, ব্যবসায় প্রশাসন, ইংরেজী, সমাজবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিভাগ চালু করা হয়। এরপর এখানে চালু করা হয় কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক্স এ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসি, হিউম্যান রাইটস ‘ল’ বিভাগ এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। বিজ্ঞান প্রযুক্তির যুগে এর গুরুত্ব অনুধাবন করেই মূলত ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করেছেন। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বা পুরকৌশল একটি পেশাদার শিল্প, যার দ্বারা শিক্ষার্থীরা নক্সা প্রণয়ন, নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ কাজে একজন শিক্ষার্থী সুশিক্ষিত হয়ে উঠবে। তাই বর্তমান বিশ্বে শিক্ষাদীক্ষার বিয়য়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বা পুরোকৌশল বিদ্যা গুরুত্ব বহন করছে এবং এর চাহিদাও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ চাহিদার কথা মাথায় রেখে এ কোর্স চালু করেছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। আর এ কোর্সটির তত্ত্বাবধানে রয়েছেন অধ্যাপক ড. গণেশ চন্দ্র সাহা। তিনি জানান, এ কোর্সের জন্য উন্নত গ্রন্থাগার ম্যাটেরিয়ালস ল্যাব, সার্ভেইং ল্যাব, কম্পিউটার ল্যাব, ইনভায়রনমেন্ট ল্যাব চালু রয়েছে। তিনি আরও জানান, ছাত্রছাত্রীরা যাতে একজন পেশাদার প্রকৌশলী হিসেবে গড়ে উঠতে পারে তার জন্য এখানে সবধরনের শিক্ষাদান দেয়া হচ্ছে। যাতে তারা বর্তমান কর্মক্ষেত্রের প্রতিযোগিতার বাজারে টিকিয়ে থাকতে পারে। বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, আমরা হেকেপ ও আইকিউসির গাইড লাইন অনুসারে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা করে থাকি। ফলে এখানকার শিক্ষার্থীরা দক্ষ মানব শক্তি হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে। ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. কে এম মহসীন বলেন, ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম অধ্যাপক ড. মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী নি¤œবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার কথা চিন্তা করেই এটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাই এখানে কোর্স ফি তুলনামুলক কম।’ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ডাঃ এস. কাদির পাটোয়ারী বলেন, ১৯৯৫ সালে ‘জ্ঞানই শক্তি’ এ সেøøাগানকে সামনে রেখে এ ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ সেøøাগানের গুরুত্ব তা আজও বহন করে চলছে। যেসব কোর্স এখানে চালু রয়েছে সেগুলো সুনামের সঙ্গে পরিচালনা করে আসছি। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের ক্ষেত্রে এর কোন ব্যতিক্রম নেই। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভগের ছাত্রী জাকিয়া সুলতান বলেন, ঢাকার সাঁতারকুলে আমরা ক্লাস করতে পারছি। ছাত্রীদের আবাসনের কোন সমস্যা নেই। ক্যাম্পাসের কাছাকাছি জায়গায় ছাত্রীদের জন্য হোস্টেল রয়েছে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভগের অপর শিক্ষার্থী শামসুল আলম জানান, অন্য প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির চেয়ে টিউশন ফি কম হলেও লেখাপড়ার মান বেশ ভাল। লাইব্রেরি ও ল্যাবের সুবিধা পর্যাপ্ত। থাকার কোন সমস্যা নেই। ছাত্রছাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী হোস্টেলে সিট রয়েছে। এ ইউনিভার্সিটির সঙ্গে মালয়েশিয়ার ক্যাবাংসন ইউনিভার্সিটির, ভারতের দয়ানন্দ সাগর ইউনিভার্সিটির, বাংলাদেশ এ্যাডভান্সড্ বিজনেস একাডেমিকের, ইউনাইটেড ন্যাশনস ্গ্লোবাল কম্প্যাক্ট ও ইউনাইটেড ন্যাশনস্ একাডেমিক ইম্প্যাক্টস’র একাডেমিক স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। যোগাযোগ: বাড়ি-০৪, সড়ক-০১, ব্লক-এফ, বনানী, ঢাকা-১২১৩। মোবাইলঃ ০১৯৩৯৮৫১০৬১। নাঈম খান
×