ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রূপগঞ্জে হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার অপসারণ দাবি

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ২৯ অক্টোবর ২০১৭

রূপগঞ্জে হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার অপসারণ দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ২৮ অক্টোবর ॥ গৃহবধূ সুমি আক্তার হত্যা মামলা থেকে এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে বাদ দিয়ে চার্জসিট প্রদান করায় তদন্তকারী কর্মকর্তার অপসারণ ও বিচার দাবিতে নিহতের পরিবার, স্বজন, বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন পালন করেছে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা চনপাড়া-কামশাইর-ইছাখালী সড়কে টায়ারে অগ্নিসংযোগ ও সিমেন্টের খুঁটি ফেলে আধাঘণ্টাব্যাপী রাস্তা অবরোধ করে রাখে। এ সময় সড়কের দু’পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। শনিবার দুপুরে নগরপাড়া সেতুর সামনে এ কর্মসূচী পালন করা হয়। নিহত সুমি আক্তারের পরিবার ও এলাকাবাসীরা জানান, গত ১৭ জুন যৌতুকের দাবিতে সুমি আক্তারকে তার স্বামী জুয়েল মিয়াসহ তার পরিবার শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় সুমির পিতা বাদী হয়ে স্বামী জুয়েল মিয়া, ভাসুর সোহেল মিয়া, শ্বশুর মারফত আলী ও শাশুড়ি মিনারা বেগমকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক রুবেল হোসেন শ্বশুর ও শ্বাশুড়িকে এজাহার থেকে বাদ দিয়ে চার্জশীট প্রদান করে। চার্জশীট থেকে দুই আসামি বাদ দেয়ার কারণে ও তদন্তকারী কর্মকর্তা রুবেল হোসেনের অপসারণ দাবি করে নিহতের পরিবার, স্বজন, ব্রাইট শিশু কানন হাইস্কুলসহ বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী শনিবার দুপুরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। মানববন্ধন কর্মসূচীতে নিহত সুমি আক্তারের পিতা সিরাজ ভুঁইয়া বলেন, আসামি করা হয়েছে ৪ জনকে। কিন্তু দারোগা আসামিপক্ষ থেকে টাকা খেয়ে দু’জনের নামে চার্জশীট দিয়েছে। আমরা তার অপসারণ চাই। শজিমেকে রোগীর স্বজনদের মারপিট ঘটনায় তদন্ত কমিটি স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) রোগীর ২ স্বজনকে মারপিটের অভিযোগ ওঠাসহ অপ্রীতিকর ঘটনায় শনিবার ৩ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। শজিমেক হাসপাতালের মেডিসিন মহিলা ওয়ার্ডের রোগী মাহেলা বেওয়া চিকিৎসাধীন থাকার সময় বৃহস্পতিবার রাতে তার দুই স্বজনকে মারপিট করার অভিযোগ ওঠে। ওই রোগীর বাড়ি জয়পুরহাট সদরের পরানপৈল এলাকায়। মারপিটে আহত ২ জনকে পরে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শজিমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার পর রোগীর স্বজনদের মারপিটের জন্য ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও তা অস্বীকার করে জানান, রোগীর স্বজনই মহিলা ইন্টার্ন চিকিৎসকের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। মারপিটের ঘটনার পরেরদিন শুক্রবার বৃদ্ধা মাহেলা বেওয়াকে হাসপাতাল থেকে তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়।
×