ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁধ সংস্কার না করায় জোয়ারে ডুবছে ফসলি জমি

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ২৯ অক্টোবর ২০১৭

বাঁধ সংস্কার না করায় জোয়ারে ডুবছে ফসলি জমি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৮ অক্টোবর ॥ ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ মেরামত না করায় ফসল রক্ষায় নিজেদের অর্থায়নে রিং বেড়িবাঁধ করেছিল নিজামপুর গ্রামের মানুষ। সেই বাঁধ নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে ভাসিয়ে নেয়। এখন প্রতিদিন দুই দফা জোয়ারের পানিতে ডুবছে চার গ্রামের বিস্তীর্ণ জনপদ, ফসলি জমি। আমন ফসল হারানোর শঙ্কায় দেড় হাজার কৃষক পরিবারের এখন রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। থোড় বের হওয়া ধান গাছগুলো জোয়ারের পানির পলিতে ধূসর হয়ে গেছে। নেতিয়ে পড়ছে। আর কয়দিন পরে সাগর কিংবা নদীর পানি লোনা হয়ে যাবে। তখন আন্ধারমানিক নদীর পাড়ের এই জনপদের কৃষকের সকল আমন ক্ষেতে লোনা পানির প্রবেশ করবে। নিজামপুরসহ, সুধিরপুর, কমরপুর, পুরান মহীপুর গ্রামের কৃষকের স্বপ্নের আমন ধানের সর্বনাশ হয়ে গেল। চোখের সামনে ক্ষেতের বাম্পার ফলন হারানোর শঙ্কায় কৃষকরা এখন দিশেহারা হয়ে গেছেন। চারটি গ্রামের মাঝখান দিয়ে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি সিলকোট করা হয়েছিল। তাও চারটি পয়েন্টে জোয়ারের তোড়ে ভেসে গেছে। ওইসব স্পট দিয়ে জোয়ারের সময় পানি গড়ায়। গ্রামগুলোতে এক ধরনের বিপর্যস্ত অবস্থা বিরাজ করছে। প্রাইমারী স্কুলে যাওয়া তিন শতাধিত শিশু শিক্ষার্থী পড়েছে বিপাকে। নিম্নচাপের সঙ্গে অমাবস্যার প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে প্রায় ২২টি পরিবার ক্ষতির শিকার হয়েছে। এদের বাড়িঘর ভেঙ্গে গেছে। স্থানীয়দের তথ্য এটি। সেখানকার বাসিন্দা মোঃ সিদ্দিক মুন্সী জানান, এরই মধ্যে আগাম জাতের ধান নষ্ট হয়ে গেছে। তবে মাঝখানের রাস্তার পুবদিকে কৃষকের ফসল বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে। কারণ ওই জমিতে ওঠা পানি এখনও নামতে পারেনি। তাই পচন ধরেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবুল খায়ের জানান, ওই স্পটের বেড়িবাঁধ নতুন করে বিকল্পভাবে করার পরিকল্পনা রয়েছে। যা আগামী সাত দিনের মধ্যে টেন্ডার করা হবে।
×