ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুলিশ এখন জনগণের আস্থা অর্জন করেছে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ২৯ অক্টোবর ২০১৭

পুলিশ এখন জনগণের আস্থা অর্জন করেছে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোঃ আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, ১০ বছর আগের পুলিশ আর এখনকার পুলিশ এক নয়। বাংলাদেশ পুলিশের এই বাহিনী এখন জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে। শনিবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে (আইডিইবি) ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০১৭’ আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জঙ্গী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে জনতা পুলিশকে সহযোগিতা করেছে। আগে গ্রাম-পাড়া-মহল্লায় স্থানীয় মাতব্বরেরা যে সামাজিক কর্মকাণ্ড করতেন। সেটাই এখন কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যরা করছেন। ‘জঙ্গী-মাদক প্রতিকারে জনতা পুলিশ এক কাতারে’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া। প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোঃ আসাদুজ্জামান খান কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে পুলিশের আট বিভাগ থেকে আটজন সদস্যকে ও বিট পুলিশিংয়ের কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করা হয়। আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, এলাকায় যে সামাজিক ব্যবস্থা ছিল। সেটা কমে যাওয়ায় সন্ত্রাস বাড়ছে। সে জন্য আইজিপি কমিউনিটি পুলিশিং জোরদার ও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কমিউনিটি পুলিশ জোরদার হলে সবাইকে নিরাপত্তা দেয়া যাবে। ছোট ছোট বিরোধ উৎসের সময়ই শেষ করে দিতে পারলে থানায় আর মামলা করতে হবে না। এটাও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কাজ। কারণ থানায় একটা মামলা হলে বিচার পেতে কয়েক বছর সময় লেগে যায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আজকের পুলিশ বাংলাদেশের হৃদয় জয় করে নিয়েছে। আমরা যে পথে হাঁটছি। নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনের পথেই যাচ্ছি। অবশ্যই আমরা গন্তব্যে পৌঁছব। দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সুরক্ষার বিকল্প নাই। আমরা সে কাজটিই করে যাচ্ছি। জনগণকে যত কাছে নিতে পারব। আমরা ততই সফল হব। জননিরাপত্তা বিধানে কমিউনিটি পুলিশিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, দুই দফায় ইতোমধ্যে ৮০ হাজার পুলিশ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পুলিশকে অনেক সুবিধা দিতে পারেননি বলেও স্বীকারোক্তি তার। এ বছর যথেষ্ট পরিমাণ গাড়ি ডিএমপির জন্য কেনা হয়েছে। পুলিশের অন্য সমস্যাগুলো দূর করার জন্য কাজ চলছে। আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং হলো জনগণের কাছে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশের জবাবদিহি করা। দেশের জনগণের সঙ্গে থানা-পুলিশের দূরত্ব কমলেই কমিউনিটি পুলিশিং সফল হবে। এতে জনগণের সহযোগিতা পাওয়া যাবে। নাগরিক দায়িত্ব জাগিয়ে তোলা ও সংগঠিত করাই এর লক্ষ্য। পুলিশের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে ভয় দূর হবে। পুলিশ ও কমিউনিটি বসে সমস্যা চিহ্নিত করবে। সমাধান করবে। সে ক্ষেত্রে ভাল লোক দিয়ে কমিউনিটি পুলিশের কমিউনিটি গঠন করতে হবে। ভাল লোক দিয়ে থানার ওসিদের এই সমস্যার মূল্যায়ন করতে হবে। এটা না করতে পারলে ওসি পদে থাকার অযোগ্যতা তৈরি হবে। কমিউনিটি পুলিশিং ডে পালিত নারী আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (১১ এপিবিএন) ঢাকার আয়োজনে শনিবার “কমিউনিটি পুলিশিং ডে”-২০১৭ পালিত হয়েছে র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন নারী আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) শাহীনা আমীন। র‌্যালিটি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন কমপ্লেক্স থেকে বের হয়ে উত্তরা জসীমউদ্দীন গোলচত্বর থেকে বিমানবন্দর গোলচত্বর প্রদক্ষিণ করে এপিবিএন কমপ্লেক্সে এসে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে র‌্যালিটি শেষ করেন। র‌্যলিতে অংশগ্রহণকারী নারী পুলিশ সদস্যগণ জঙ্গী, মাদক, এসিড-নিক্ষেপ, শিশু অপহরণ, নারী ও শিশু নির্যাতন, নারী ও শিশু পাচার, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং এবং সন্ত্রাসবিরোধী জনসচেতনতামূলক প্লেকার্ড বহন করেন।-বিজ্ঞপ্তি
×