ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মহাত্মা গান্ধী স্বর্ণপদক পেলেন কবি মুহম্মদ রহমতুল বারী

প্রকাশিত: ০৩:৪৪, ২৯ অক্টোবর ২০১৭

মহাত্মা গান্ধী স্বর্ণপদক পেলেন কবি মুহম্মদ রহমতুল বারী

সমুদ্র হক ॥ বগুড়ার শেরপুরের বর্ষীয়ান বরেণ্য কবি মুহম্মদ রহমতুল বারীকে কবিতা কাব্যগ্রন্থে অবদান রাখার জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গের (বর্তমানে বাংলা) কলকাতার মহাবঙ্গ সাহিত্য পরিষদ মহাত্মা গান্ধী স্বর্ণপদক ও সাহিত্য সাগর খেতাব দিয়েছে। শুক্রবার বিকেলে শেরপুর সাহিত্য চক্র পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে কবি মুহম্মদ রহমতুল বারীর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। এর আগে গত ২১ অক্টোবর কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ সংস্কৃতি পর্ষদের অবনীন্দ্র হলঘরে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে বগুড়ার বরেণ্য এই কবিকে মহাত্মা গান্ধী স্বর্ণপদক ও সাহিত্য সাগর উপাধি দেয়া হয়। ওই অনুষ্ঠানে ভারতের অনেক কবি সাহিত্যিক উপস্থিত ছিলেন। এ প্রসঙ্গে মহাবঙ্গ সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন সাহা বলেন, পদক ও খেতাবের জন্য কলকাতার সাহিত্য জুরি বোর্ড বাংলাদেশের কবি মুহম্মদ রহমতুল বারীকে মনোনয়ন দেন। এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য কবিকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। অসুস্থতার কারণে কবি ওই অনুষ্ঠানে যোগদান দিতে পারেননি। তার পক্ষে পদক ও খেতার গ্রহণের জন্য যোগদান করেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক জিএম হারুন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জিএম হারুন এই পদক ও খেতাব হস্তান্তর করেন। পরে কবিকে উত্তরীয় পরিয়ে এই পুরস্কার কবির হাতে তুলে দেন সাংবাদিক সাইফুল বারী ডাবলু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্র গবেষক মিনতি কুমার রায় এবং সঞ্চালনা করেন শেরপুর সাহিত্য চক্রের আহ্বায়ক সুলতান মাহমুদ রনি। কবি মুহম্মদ রহমতুল বারী পেশায় একজন চিকিৎসক। স্কুল জীবন থেকেই তিনি কাব্য চর্চা করেন। ৮২ বছর বয়সেও তিনি রাত জেগে কবিতা লেখেন। তিনি শেরপুর সাহিত্য চক্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তার কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে কবিতা সমগ্র, ‘অব্যক্ত ছন্দ’, ‘ধারাজলে স্নান’, ‘গোলাপের জন্য গান’, ‘ভবিতব্যের উপাখ্যান’ ইত্যাদি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কবিকে অভিনন্দ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, সাহিত্যিক হোসনে আরা মণি, অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ তালুকদার, হাসিনা মুর্শেদ, ডাঃ আমিরুল ইসলাম, আফরোজা নার্গিস সাথী, গোলাম রসুল, মেহেদী হাসান, মতিয়ার রহমান মিলন প্রমুখ।
×