ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভারতের একাধিক নাট্য উৎসবে বাংলাদেশের ৪ নাট্যদল

প্রকাশিত: ০৩:৪০, ২৯ অক্টোবর ২০১৭

ভারতের একাধিক নাট্য উৎসবে বাংলাদেশের ৪ নাট্যদল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের প্রথমসারির ৪টি নাট্যদল সম্প্রতি একাধিক নাট্য উৎসবে অংশ নিতে ভারত সফর করছে। এসব নাট্যদলের মধ্যে রয়েছে প্রাঙ্গণেমোর, বটতলা, ম্যাড থেটার এবং শব্দনাট্য চর্চা কেন্দ্র। এর মধ্যে প্রাঙ্গণেমোর তাদের ৭টি নাটক নিয়ে উৎসব করছে। ম্যাড থেটার তাদের ‘নদ্দিউ নতিম’ নাটকের দুইটি প্রদর্শনীর আমন্ত্রণ পেয়েছে। পাশাপাশি প্রথমবারের ‘ক্রাচের কর্নেল’ নাটকের দুটি প্রদর্শনী করতে কলকাতা গেছে বটতলা। এছাড়া শব্দনাট্য চর্চা কেন্দ্র দুই বাংলার নাট্যজনদের নিয়ে থিয়েটার ক্যাম্প নামে বিশেষ আড্ডা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রাঙ্গণেমোর বাংলাদেশ নাট্যোৎসব : প্রাঙ্গণেমোর নাট্যদল তাদের দর্শকনন্দিত ৭টি নাটক নিয়ে এবার কলকাতায় নাট্যোৎসব আয়োজন করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে তারা কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। কলকাতার বিখ্যাত নাটকের দল নান্দীপট আয়োজিত এবং অন্য থিয়েটার ও পূর্ব-পশ্চিম নাট্যদল দুটির সহযোগিতায় এ নাট্যোৎসব হচ্ছে। আগামী ৩ নবেম্বর কলকাতার হোচিমিন সরণির আইসিসিআর মিলনায়তনে ৬ দিনব্যাপী এ নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করবেন কলকাতার নাট্যজন বিভাস চক্রবর্তী, নাট্যজন ও সংসদ সদস্য অর্পিতা ঘোষ, কলকাতার ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক গৌতম দে এবং বাংলাদেশের নাট্যজন মামুনুর রশীদ, নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী, কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের তথ্য ও সংস্কৃতি সচিব মোঃ মোফাকখারুল ইসলাম। উৎসবে ‘আমি ও রবীন্দ্রনাথ’, ‘ঈর্ষা’, ‘শেষের কবিতা’, ‘শ্যামাপ্রেম’, ‘বিবাদী সারগাম’, ‘আওরঙ্গজেব’, ‘কনডেমড সেল’ মঞ্চস্থ হবে। এছাড়া ‘কেমন ছিল, কেমন আছে, কেমন দেখতে চাই দুই বাংলার নাট্য-সংস্কৃতির আদান-প্রদান’ শীর্ষ উন্মুক্ত সেমিনার রয়েছে। সেমিনারের বিষয় উপস্থাপন করবেন দুই বাংলার বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী ও মামুনুর রশীদ। অংশ নেবেন প্রকাশ ভট্টাচার্য, গোলাম কুদ্দুস, দিলীপ দত্ত, দেবেশ চট্টোপাধ্যায়, আশীষ গোস্বামী, মোহিত বন্ধু অধিকারী, কিশোর সেনগুপ্ত, অভীক ভট্টাচার্য ও অংশুমান ভৌমিক। এ নাট্যোৎসবে প্রাঙ্গণেমোর কলকাতার অমলেশ দাশগুপ্ত, সেলিম উর রহমান, মনতোষ কুমার সাহা, সৌমিত্র মিত্র, সমর মিত্র, গৌতম হালদার ও অঞ্জন কাঞ্জিলাল এই ৭ নাট্যব্যক্তিত্বকে সম্মাননা দেবে। প্রাঙ্গণেমোর বাংলাদেশ নাট্যোৎসবে ঢাকা ও কলকাতার সমন্বয়কারী সৌরভ চট্টোপাধ্যায়। গৌহাটি আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসবে ‘নদ্দিউ নতিম’ : ভারতের ব্যতিক্রম মাসডো ও আইসিসিআর-এর উদ্যোগে ভারতের গৌহাটিতে আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসবে আমন্ত্রিত হয়েছে ‘নদ্দিউ নতিম’। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল অসম রাজ্যের রাজধানী গৌহাটির কর্মশ্রী হিতেশ্বর শইকিয়া প্রেক্ষাগৃহ একটি এবং আজ সাউথ পয়েন্ট স্কুলে ‘নদ্দিউ নতিম’ নাটকটির আরও একটি প্রদর্শনী হবে। কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘কে কথা কয়’ উপন্যাস অবলম্বনে নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন আসাদুল ইসলাম। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন আসাদুল ইসলাম, সোনিয়া হাসান ও আর্য মেঘদূত। এর আগে গত এপ্রিল মাসে এই গৌহাটিতে ম্যাড থেটার ‘নদ্দিউ নতিম’ নাটকের একটি প্রদর্শনী করে। এপ্রিলের ওই প্রদর্শনী দর্শককে আকৃষ্ট করায় আয়োজকরা একই নাটককে পুনরায় প্রদর্শনীর জন্য আমন্ত্রণ জানায়। বটতলার ‘ক্রাচের কর্নেল : প্রথমবারের মতো ভারতের কয়েকটি নাট্যাৎসবে ‘ক্রাচের কর্নেল’ নাটকটির মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে। ২৭ অক্টোবর রাতে ২০ সদস্যের একটি দল নিয়ে ভারতের জলপাইগুড়ির উদ্দেশে বটতলা রওনা হয়। সেখানে ২৮ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় ফ্রেন্ডস ড্রামাটিক ক্লাবের আয়োজনে নাটকটির ১৮তম প্রদর্শনী হয়। আজ দলটি কোচবিহারে আরেকটি নাট্যোৎসব ‘কোচবিহার থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল ২০১৭’তে অংশ নেবে। মধ্য কোচবিহার থিয়েটার গ্রুপের এই আয়োজনে আজ সন্ধ্যায় কোচবিহারের রবীন্দ্রভবন মিলনায়তনে ‘ক্রাচের কর্নেলে’র ১৯তম প্রদর্শনী হবে। নাটক মঞ্চায়ন শেষে আগামীকাল বটতলা বাংলাদেশে ফিরে আসবে। এদিকে আগামী ২৯ নবেম্বর বহরমপুরের রঙ্গাশ্রম নাট্যউৎসবে বটতলা ‘ক্রাচের কর্নেল’ নাটকের আরেকটি প্রদর্শনী করবে বলে জানা গেছে। কর্নেল আবু তাহেরের জীবনভিত্তিক উপন্যাস শাহাদুজ্জামানের ‘ক্রাচের কর্নেল’ নাটকটির নাট্যরূপ দিয়েছেন সৌম্য সরকার ও সামিনা লুৎফা নিত্রা। নির্দেশনা দিয়েছেন মোহাম্মদ আলী হায়দার। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়। শব্দনাট্য চর্চা কেন্দ্রের দুই বাংলার থিয়েটার ক্যাম্প : শব্দনাট্য চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় দুই বাংলার থিয়েটার ক্যাম্প শীর্ষক এক ক্রিয়েটিভ আড্ডা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই আড্ডা অনুষ্ঠানে থিয়েটারে লোকজনের কাছে বেশ সাড়া ফেলে। গত ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই আড্ডা অনুষ্ঠানটি গত ২৬ অক্টোবর শেষ হয়। ৬ দিনব্যাপী এই আড্ডায় অংশ নেন বাংলাদেশ ও ভারতের বিশিষ্ট নাট্যজনরা।
×