ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যামাজন কেলেঙ্কারি

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

এ্যামাজন কেলেঙ্কারি

ডেস্ক প্রতিবেদক ॥ এ্যামাজনের পণ্য ফেরত নীতিমালা সম্পর্কে অনেকেই অবগত। কোন পণ্য নিয়ে গ্রাহক সেবা এজেন্টের সঙ্গে কথা বললে আর কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দিলে বড় কোন তদন্ত ছাড়াই ফেরত দেয়া পণ্য নিয়ে নতুন পণ্য দিয়ে দেয়া হয়। মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্টটির এমন অনুশীলনের সুযোগ নিয়ে এক দম্পতি জালিয়াতি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মার্কিন বিচার বিভাগ ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিসের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের এক দম্পতি এই নীতিমালার সুযোগ নিয়ে ১২ লাখ ডলার মূল্যের ইলেকট্রনিকস পণ্যে চুরি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এরিক ফিনান আর লি ফিনান দম্পতির বিরুদ্ধে চলতি বছর মে মাসে অভিযোগ আনা হয়। সম্প্রতি তারা মেইল জালিয়াতি ও মুদ্রাপাচারের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন। ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন সাইট বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই দম্পতি যেসব পণ্য অর্ডার করেছিলেন সেগুলো নষ্ট বলে দাবি করেন। তারা বিভিন্নসংখ্যক গোপ্রো ক্যামেরা, এক্সবক্স গেইমিং কনসোল, স্যামসাং স্মার্টওয়াচ আর মাইক্রোসফট সারফেইস ট্যাবলেট অর্ডার করে জালিয়াতি করেন। এ জন্য তারা কয়েকশ’ ভুয়া অনলাইন আইডি ব্যবহার করেন। ফিনান দম্পতির দালাল হিসেবে কাজ করার দায়ে ড্যানিয়েল গ্লুুম্যাক নামের এক ব্যক্তিও অভিযুক্ত হয়েছেন। ওই দম্পতি খুচরা বিক্রয় মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে তাদের চুরি করা এক ভ্যান পণ্য ওই ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেন। এরপর গ্লুুম্যাক এই পণ্যগুলো নাম প্রকাশ না করা নিউইয়র্কের প্রতিষ্ঠানের কাছে এগুলো বিক্রি করেন, লাভের একটি অংশ ফিনান দম্পতিকে দেয়া হয়। এই ক্ষেত্রে দেখা যায়, ফিনান দম্পতি নিজেরাই জালিয়াতির শিকার হন। ১২ লাখ ডলারের পণ্য এ্যামাজন থেকে অর্ডার করেছিলেন তারা। কিন্তু গ্লুম্যাকের কাছ থেকে তারা পান মাত্র ৭,২৫,০০০ ডলার। শেষমেশ এই দম্পতিকে আটক করে মার্কিন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ আইআরএস, ইউএস পোস্টাল সার্ভিস ও ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজের পুলিশ। এই দম্পতিকে এ্যামাজনের কাছে ১২,১৮,৫০৪ ডলার পরিশোধ করতে আদেশ দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তারা ২০ বছর কারাদণ্ডও ভোগ করতে যাচ্ছেন।
×