ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শীতের সবজির সরবরাহ বৃদ্ধিতে স্থিতিশীল হবে বাজার ॥ বিক্রেতাদের ধারণা

কমেছে কাঁচা মরিচের ঝাল, সস্তায় মিলছে ইলিশ

প্রকাশিত: ০৪:৪৭, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

কমেছে কাঁচা মরিচের ঝাল, সস্তায় মিলছে ইলিশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অবশেষে কমেছে কাঁচা মরিচের ঝাল। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০০ টাকা কমে মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় নতুন করে দাম আর বাড়েনি। দু’একটি সবজির দাম বরং কমেছে। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে পর্যাপ্ত ইলিশ। নদী ও সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ায় ইলিশের দাম কমতির দিকে রয়েছে। মা ইলিশ ধরা ২২ দিন বন্ধ থাকায় এবার ইলিশের উৎপাদন বেশ ভাল হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বাজারে মোটা ও চিকন চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। আমন কাটা শুরু হওয়ায় আশা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহনাগাদ চালের দাম কমে আসবে। এছাড়া আটা, চিনি, ডাল, ভোজ্যতেল এবং ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে মসলা জাতীয় পণ্য পেঁয়াজ ও আদার দাম বেড়েছে। শুক্রবার রাজধানীর কাওরানবাজার, কাপ্তান বাজার, যাত্রাবাড়ী বাজার, ফকিরাপুল বাজার এবং নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। মরিচের মূল্য হ্রাস এবং কিছুটা সস্তায় ইলিশ মাছ পাওয়ায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে এসে অনেকেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। কেউ কেউ আবার পেঁয়াজের দাম কমানোর কথা বলেছেন। সবজি বিক্রেতারা বলছেন, আপাতত আর সবজির দাম বাড়বে না। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন, এখন থেকে প্রতিদিনই বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়বে, এ কারণে দাম বাড়বে না। কাওরানবাজারের সবজি বিক্রেতা মিলন জানালেন, বৃষ্টির পর আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাজার। সবজির সরবরাহ বাড়ছে। এ কারণে কিছু সবজির দাম কমেছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি মরিচ ২২০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে তা ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ওই বাজারের সবজি ক্রেতা মাসুদ মিয়া জানালেন, মরিচসহ অন্যান্য সবজির দাম কিছুটা কমায় ভোক্তারা স্বস্তিতে আছেন। এছাড়া চাল, ডাল, ভোজ্যতেলের মতো অন্যান্য জিনিসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। সবচেয়ে ভাল খবর হচ্ছে, বাজারে ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে, তাও কিছুটা সস্তায়। এদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে আদার দাম কিছুটা বাড়লেও স্থিতিশীল রয়েছে অধিকাংশ মুদি পণ্যের দাম। বাজারে জাত ও মানভেদে কেজিপ্রতি আদা ১০০-১৬০ টাকা, পেঁয়াজ বাজারভেদে ৬০-৮০ টাকা, ছোলা ৮৫ টাকা, দেশী মুগ ডাল ১৩০ টাকা, ভারতীয় মুগ ডাল ১২০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২৫ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্র্যান্ড ভেদে ৫ লিটারের বোতল ৫৩০-৫৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচাবাজারে, বেগুন কেজিপ্রতি ৬০-৭০ টাকা, শিম ১২০-১৪০ টাকা, হাইব্রিড টমেটো ১৬০ টাকা, দেশী টমেটো ১০০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০-৫৫ টাকা, কচুর লতি ৬০-৬৫ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি ফুলকপি ৩৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা এবং লেবুর হালি প্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা স্বর্ণা প্রতি কেজি ৪৫ টাকা, পারিজা ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মিনিকেট (ভাল মানের) ৬০ টাকা, মিনিকেট (সাধারণ) ৫৮ টাকা, আমদানি করা ভারতীয় বিআর-আটাশ ৪৮ টাকা, দেশী বিআর-আটাশ ৫২, নাজিরশাইল (কাটারি) ৬৩ টাকা, নাজিরশাইল (সাধারণ) ৬৫ টাকা, পাইজাম ৪৮ টাকা এবং পোলাও চাল ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকারভেদে প্রতিকেজি রুই মাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, সরপুঁটি ২৫০-৩৫০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ২০০-২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাস প্রতিকেজি ১৫০-২৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০-৮০০ টাকা, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিজোড়া মাঝারি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১২০০ টাকায়। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি, গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
×