ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মিয়ানমার জেনারেলকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন . মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করার আহ্বান

রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নাও

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নাও

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা বন্ধ ও নিজ ভূমিতে নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে সেদেশের জেনারেল মিন অং হ্লাইংকে টেলিফোন করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। রাখাইনে সহিংসতা ও রোহিঙ্গা নিপীড়নের খবর নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে কোন ধরনের শর্ত ছাড়াই ১৯৯২ সালের প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে তাগিদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হেদার নেউয়ার্ট এক বিবৃতিতে বলেন, রাখাইনে সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমার সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন টিলারসন। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যাতে রাখাইনের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হাতে জরুরী ত্রাণ পৌঁছে দিতে সহায়তা করা, রাখাইন এলাকায় সাংবাদিকদের যেতে দেয়া হয় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেসব অভিযোগ এসেছে তার তদন্তে জাতিসংঘকে যেন সহযোগিতা করা হয়; সেজন্য জেনারেল মিন অং হ্লাইংকে বলেছেন রেক্স টিলারসন। এতে আরও বলা হয়, রাখাইনে সঙ্কটের কারণে বাস্তুচ্যুত বিপুল রোহিঙ্গা যাতে নিরাপদে তাদের ঘরে ফিরতে পারে, সেজন্য নতুন কোন শর্ত না দিয়ে ১৯৯২ সালের বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ বিবৃতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে গত ৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটিতে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে শুনানিতে কয়েক কংগ্রেস সদস্য ও কর্মকর্তা রোহিঙ্গা নিপীড়ন থামাতে মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ অথবা সাহায্য বন্ধের মতো পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। দীর্ঘদিন সামরিক শাসনে থাকা মিয়ানমারের ওপর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ছিল। ২০১৫ সালে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফেরার সময় যুক্তরাষ্ট্র সেসব কড়াকড়ি তুলে নেয়। টিলারসন গত সপ্তাহে বলেন, রাখাইনে যেসব সহিংসতার খবর আসছে, বিশ্ব তা দেখে চুপ করে থাকতে পারে না। যা ঘটছে সেজন্য আমরা মিয়ানমারের সামরিক নেতৃত্বকেই দায়ী করব। সূত্র জানায়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন কোন ধরনের শর্ত ছাড়াই ১৯৯২ সালের প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে তাগিদ দিয়েছেন, যদিও পুরনো ওই চুক্তি ধরে অগ্রসর হতে আপত্তি জানিয়ে আসছে ঢাকা। ওই চুক্তি এখন আর বাস্তবসম্মত নয় জানিয়ে একটি নতুন প্রস্তাব দিয়ে মিয়ানমারের জবাবের অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ। রাখাইনে কয়েক শ’ বছর ধরে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বসবাসের ইতিহাস থাকলেও ১৯৮২ সালে আইন করে তাদের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা হয়। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতাই রোহিঙ্গাদের বর্ণনা করে আসছেন বাঙালী সন্ত্রাসী ও অবৈধ অভিবাসী হিসেবে। ১৯৯২ সালে মিয়ানমারের সামরিক সরকার শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি প্রত্যাবাসন চুক্তি করে, যেখানে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার সমাজের সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ওই চুক্তির আওতায় মিয়ানমার সে সময় দুই লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৯ রোহিঙ্গাকে দেশে ফিরিয়ে নেয়। চুক্তি নির্ধারিত যাচাই প্রক্রিয়ায় আরও ২৪১৫ শরণার্থীকে সে সময় মিয়ানমার থেকে আসা বলে চিহ্নিত করা হলেও মিয়ানমার তাদের আর ফিরিয়ে নেয়নি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার মধ্যে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্টে দেয়া ভাষণে মিয়ানমারের নেত্রী সুচি বলেন, ১৯৯২ সালে করা প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় যাচাইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রাখাইনের মুসলমানদের ফিরিয়ে নিতে তার দেশ প্রস্তুত। এর ধারাবাহিকতায় সুচির দফতরের মন্ত্রী কিয়া তিন্ত সোয়ে অক্টোবরের শুরুতে ঢাকায় এলে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে দুই দেশ একটি ‘যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠনের বিষয়ে সম্মত হয়। ওই বৈঠকেই ১৯৯২ সালের যৌথ বিবৃতির বদলে নতুন একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এগিয়ে নেয়ার প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলকে চুক্তির একটি খসড়াও হস্তান্তর করা হয়। গত ৯ অক্টোবর ঢাকায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, যে প্রেক্ষাপটে ১৯৯২ সালের চুক্তির নীতিমালা ও যাচাইয়ের প্রক্রিয়া ঠিক করা হয়েছিল, বর্তমান পরিস্থিতি তার তুলনায় অনেকটাই আলাদা। সুতরাং, ওই চুক্তি অনুসারে এবার রোহিঙ্গাদের পরিচয় শনাক্ত করার প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয়। এ কারণে নতুন ওই দ্বিপক্ষীয় চুক্তির প্রস্তাব করা হলেও মিয়ানমারের জবাব এখনও বাংলাদেশ পায়নি। পরে ঢাকায় আরেক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, রোহিঙ্গাদের আংশিক ফিরিয়ে নেয়ার প্রস্তাব মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রশমিত করার কৌশল হতে পারে। মিয়ানমার নিজস্ব যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোগ্য প্রত্যাবাসন প্রত্যাশীর সংখ্যা সীমিত করার এবং নানা অজুহাতে কোফি আনান কমিশনের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন বিলম্বিত করতে পারে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বরাবরই বলা হচ্ছে, মানবিক কারণে আপাতত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হলেও তাদের অবশ্যই মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে হবে। এ সমস্যার পেছনে বাংলাদেশের কোন ভূমিকা নেই। সমস্যার সৃষ্টি ও কেন্দ্রবিন্দু মিয়ানমারে, সমাধানও সেখানে নিহিত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গত সপ্তাহে মিয়ানমারে গিয়ে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করেন। দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এ সমস্যার সমাধানে ১০টি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায় দুই দেশ। সীমান্ত দিয়ে নতুন করে মিয়ানমারের নাগরিকের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বন্ধ করা, এরই মধ্যে যারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তাদের যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে নেয়া এবং তাদের পুনর্বাসনের জন্য রাখাইনের পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার কথা বলা হয় সেখানে। মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ দেশটির সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আগামী ৩০ নবেম্বরের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের প্রস্তাব দেয়া হয়। টিলারসনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ বিডিনিউজ জানায়, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের নেয়া পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক শুক্রবার বলেছেন, ‘আমরা বিষয়টি খুবই ইতিবাচকভাবে নিয়েছি।’ রাখাইনে সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করার যে আহ্বান টিলারসন জানিয়েছেন, তাকে বাংলাদেশ ‘আন্তর্জাতিক চাপ’ হিসেবেই দেখছে বলে জানান শহীদুল। জাতিসংঘকে রাখাইনে ত্রাণ বিতরণের সুযোগ দিতে রাজি মিয়ানমার ॥ মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় জাতিসংঘকে আবার ত্রাণ তৎপরতার সুযোগ দিতে রাজি হয়েছে বলে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা জানিয়েছে। দীর্ঘদিনের অপুষ্টির কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শিশুদের মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকার চিত্র ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে উঠে আসার পর মিয়ানমারের এই ‘সবুজ সংকেত’ এলো। রাখাইনের ওই এলাকায় বিশ্ব খাদ্য সংস্থা এর আগে ত্রাণ তৎপরতা চালালেও গত দুই মাস ধরে তা বন্ধ রেখেছে মিয়ানমার সরকার। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মুখপাত্র বেটিনা ল্যুশার শুক্রবার জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, তারা এখন পর্যন্ত কেবল ত্রাণ তৎপরতা শুরু করার ‘সবুজ সংকেত’ পেয়েছেন। বিস্তারিত বিষয়ে এখনও মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে। ‘ওই এলাকার পরিস্থিতি এখন কেমন তা আমাদের আগে দেখতে হবে। তার আগে বিস্তারিত বলা সম্ভব না।’ রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে আগে এক লাখ ১০ হাজার মানুষের মধ্যে রেশন হিসেবে খাবার বিতরণ করত বিশ্ব খাদ্য সংস্থা। তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাশাপাশি স্থানীয় রাখাইন বৌদ্ধরাও ছিল। এক রাতে কয়েক ডজন পুলিশ পোস্টে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ওই এলাকায় নতুন করে অভিযানে নামলে ত্রাণকর্মীদের ওই এলাকায় যাওয়াও বন্ধ হয়ে যায়। তবে রাখাইনের মধ্যাঞ্চলে এক লাখ ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার ত্রাণ কর্মসূচী অব্যাহত থাকে। রাখাইনে মিয়ানমারের নির্যাতনে চরম মর্মাহত জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন মিয়ানমারে বিশেষ করে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, আগুন দেয়া এবং অন্যান্য অপরাধের ঘটনায় ‘চরম মর্মাহত’ হয়েছে জাতি সংঘের মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। এক সপ্তাহ বাংলাদেশে অবস্থানের পর শুক্রবার প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মিশনের প্রধান মারজুকি দারুসমান বলেন, ‘আমরা সফর শেষে অত্যন্ত মর্মাহত। আমরা উত্তর রাখাইনের বিভিন্ন গ্রামে বসবাসকারী অনেক লোকের ঘটনা শুনেছি। তারা বলেছে, পরিকল্পিত এবং ধারাবাহিক কার্যকলাপের মাধ্যমে সেখানে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে, এর পরিণামে লাখ লাখ রোহিঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের আরেক সদস্য রাধিকা কুমারাস্বোয়ামী বলেছেন, যে দুর্দশা ও নৈরাশ্য দেখেছেন, তাতে তিনি ‘মর্মাহত এবং রাগান্বিত।’ তিনি বলেন, ‘আমার এই দীর্ঘ কর্মজীবনে বিভিন্ন সমস্যার ভেতর দিয়ে কাজ করতে গিয়ে যেসব যৌন নিপীড়নের ঘটনা শুনেছি, এখানকার ঘটনা তার সবচেয়ে খারাপগুলোর সঙ্গে তুলনীয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজনের ইন্টারভিউ করেছি। তার চোখে যে মানসিক আঘাতের চিহ্ন ফুটে উঠেছে, সেটি অত্যন্ত দৃশ্যমান। এ ধরনের অপরাধের বিচার না হওয়াটা কখনও ঘটতে দেয়া যাবে না।’ জাতিসংঘের তিন সদস্যের এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনে ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক মারজুকি দারুসমান (মিশন প্রধান),সদস্য হিসেবে শ্রীলঙ্কার রাধিকা কুমারাস্বোয়ামী ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিস্টোফার ডমিনিক সিডোটি গত রবিবার ঢাকা আসেন। পরে তারা কক্সবাজারের কুতুপালং, বালুখালী ও নয়াপাড়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন। বৃহস্পতিবার তারা পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন। শুক্রবার সকালে তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেন। মিয়ানমার বিশেষ করে রাখাইনে সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তের জন্য গত মার্চে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনকে দায়িত্ব দেয়। এই মিশন যদি তাদের রিপোর্টে বলে যে, সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তবে যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় আনা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের বিচার পাওয়ার বিষয়টি তারাই (জাতিসংঘ) নিশ্চিত করবে। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন আগামী বছরের (২০১৮) মার্চে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট জমা দেবে। আগামী সেপ্টেম্বরে মানবাধিকার কাউন্সিলে এবং জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবে।
×