ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৭ অক্টোবর ২০১৭

উবাচ

জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্র কি জিনিস স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন- প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দেয়া এমন বক্তব্যের পর থেকেই বিতর্ক চলছে। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী তো এ বক্তব্যের প্রতিবাদে তার দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতৃবৃন্দসহ সংলাপই বর্জন করেছেন। একই কারণে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগও দাবি করেছেন। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে উল্টো প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তার প্রশ্ন, গণতন্ত্র তো গণতন্ত্রই, এর মধ্যে আবার বহুদলীয় গণতন্ত্র কি জিনিস? রাজধানীর রমনায় ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন। দ্য ইনস্টিটিউশন অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স এ্যান্ড টেকনোলজিস্ট (আইটিইটি) বাংলাদেশের চতুর্দশ কাউন্সিলে নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। হানিফ বলেন, গত পরশু দিন থেকে একটা জিনিস নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা হচ্ছে বহুদলীয় গণতন্ত্র। গণতন্ত্র তো গণতন্ত্রই, গণতন্ত্রের মধ্যে আবার বহুদলীয় গণতন্ত্র কি? বহুদলের সমন্বয়েই তো গণতন্ত্র হয়, সেখানে বহুদলীয় গণতন্ত্র কি জিনিস? তিনি আরও বলেন, এই বহুদলীয় গণতন্ত্র কে চালু করেছেন? যিনি অস্ত্রের মুখে ক্ষমতা দখল করেছেন, সেই জিয়াউর রহমান নাকি বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছেন। এখন আমাদের মধ্যে অনেকে তার মধ্যে গণতন্ত্র খুঁজে পাচ্ছেন। আর তাতে বিএনপি খুব খুশি। সত্য একটাই, জিয়াউর রহমান অস্ত্রের মুখে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তিনি সেনা ও বিমান বাহিনীর বহু অফিসারকে হত্যা করেছিলেন। এর নাম যদি গণতন্ত্র হয়, তাহলে পৃথিবীর কেউ এমন গণতন্ত্র দেখেন নাই। এ ধরনের কথা বলে কেউ নিজেকে হাসির পাত্র হিসেবে পরিণত করবেন না। ধরা হবে, তবু ছাড়া হবে না- স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে শত চেষ্টা করেও উল্টো পথে গাড়ি চলাচল থামাতে পারেননি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তার কথায় বন্ধ হয়নি আনফিট গাড়ি, লক্কড়ঝক্কড় মার্কা গাড়ি রাস্তায় আসাও। এবার এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সক্রিয় হওয়ায় তাই একটু মজা করেই সেকথা সবাইকে জানিয়ে দিলেন তিনি। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের তাই বলেছেন, ‘আমার কথা কেউ শোনেননি। এখন দুদক রাস্তায় ধরেছে। ধরা হবে, তবু ছাড়া হবে না। এ রাস্তা নিরাপদ করতে হবে। আমাদের বাঁচতে হলে ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ সড়ক আমরা গড়ে তুলবই।’ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে এক সেমিনারে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ) এ সেমিনারের আয়োজন করে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কী করে এত আনফিট গাড়ি, লক্কড়ঝক্কড় মার্কা গাড়ি রাস্তায় আসে। বাংলাদেশের এত অর্জন, সমৃদ্ধি, সেই দেশের রাজধানীতে কয়টা গাড়ির চেহারা সুন্দর আছে? এত অর্জনের দেশ ও বিপুল সম্ভাবনার দেশের রাজধানী ঢাকা শহরের এত গরিব গরিব গাড়ি গ্রামেও নেই। আপনারা দেশকে ছোট করছেন। ঢাকা শহরে এসে বিদেশীরা আমাদের লজ্জা দিচ্ছে আমাদের যানজটের জন্য, আমাদের ফিটনেসবিহীন গাড়ির জন্য। সেতুমন্ত্রী বলেন, সেই লজ্জায় কি আমরা ডুবছি না? শুধু কি জলাবদ্ধতার পানিতে ডুবছি? এ ধরনের লজ্জায় আমরা ডুবছি। সবাইকে বলব মানসিকতার পরিবর্তন করতে। লজ্জার বিষয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নোটিস দিয়েও উল্টো পথে যাওয়ার খারাপ প্র্যাকটিস বন্ধ করতে পারিনি। এই কি আমাদের শিক্ষা, এ শিক্ষার আমাদের কোন প্রয়োজন নেই। জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, জনপ্রতিনিধিদের এলাকায় দলীয় কর্মীরা হেলমেট ছাড়া এক মোটরসাইকেলে তিনজন বসে আলেক্সান্ডারের মতো রাস্তায় আসেন। এগুলো আমাদের কতজন জনপ্রতিনিধি খেয়াল করেন? জনপ্রতিনিধিরা ঢাকা থেকে এলাকায় গেলে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য মাইলের পর মাইল বন্ধ করে রাখেন। একদিকে পেট্রোল খরচ করছে, অন্যদিকে নিজেরা সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করছে। দয়া ভিক্ষা করি না- স্টাফ রিপোর্টার ॥ ক্ষমতার মসনদের আশায় যারা দেশের জনগণকে বাদ দিয়ে বছরের পর বছর ভরসা করে চলেছেন কেবল বিদেশীদের ওপর। যাদের বিরুদ্ধে বিদেশের কাছে ধরণা দেয়ার খবর আসে সব সময় সেই বিএনপিও এখন চক্ষু লজ্জায় পড়ে বলছেন উল্টো কথা। বহু চেষ্টা করে সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে সাক্ষাত পেলেও সেখাকে কী বলেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় একটু কৌশলী হওয়ার চেষ্টা করলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘তার দল বিদেশের কারও কাছে দয়া ভিক্ষা করে না। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। আমরা কারও কাছে দয়া ভিক্ষা করি না। আমরা একথা বলি না, আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দাও, কাউকে বলি না এ কথা। আমরা বিশ্বাস করি না, কেউ এসে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে যাবে।’ রাজধানীর ডিআরইউতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সুষমা স্বরাজের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠককে ইঙ্গিত করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র নেই বলে বাইরের নেতাদের জানালেও ক্ষমতায় বসার জন্য বিএনপি তাদের কাছে দয়া ভিক্ষা করে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সমগ্র বিশ্বের কাছে এ কথা বলতে চাই, বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নাই, গণতন্ত্রের মুখোশ পরে, গণতন্ত্রের লেবাস পরে যারা আন্তর্জাতিক বিশ্বে গণতন্ত্রের কথা বলছে, তারা মিথ্যা কথা বলছে, তারা আন্তর্জাতিক বিশ্বকে বিভ্রান্ত করছে। সেই কারণে আমরা বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে দেখা করি, বাইরের থেকে কেউ আসলে তার সঙ্গে দেখা করি। এ কথাটাই আমরা তাদের স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। আমরা কারও কাছে দয়া ভিক্ষা করি না। আমরা এ কথা বলি না, আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দাও, কাউকে বলি না এ কথা। গণসংস্কৃতি দলের সভাপতি এস আল আলমের সভাপতিত্বে ও এনডিপির মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসার পরিচালনায় আলোচনা সভায় গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, ঢাকা জেলা সভাপতি দেওয়ান মোঃ সালাহউদ্দিন, পিডিপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেলিম, ডিএলর সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, প্রয়াত চাষী নজরুল ইসলামের স্ত্রী জ্যোন্সা কাজী ও ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বক্তব্য রাখেন।
×