ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভোটের অধিকার রক্ষার সংগ্রাম চালাতে হবে ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ২৭ অক্টোবর ২০১৭

ভোটের অধিকার রক্ষার সংগ্রাম চালাতে হবে ॥ ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে গণতন্ত্র নেই মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা জরুরী। এ জন্য বর্তমান সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে লেবার পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের পতন ঘটাতে গণঅভ্যুত্থানের কোন বিকল্প নেই। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য ভোটের অধিকার রক্ষা করতে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। কারও দয়ায় আমরা স্বাধীনতা অর্জন করিনি। আন্দোলন সংগ্রাম করেই এটিকে রক্ষা করতে হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার নতজানু ভূমিকা পালন করছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার কোন সময়োচিত ভূমিকা নিতে পারেনি। এখন পর্যন্ত চীন ও রাশিয়াকে নিজেদের পক্ষে আনতে পারেনি। এ ছাড়া ভারত এখনও মিয়ানমারের পক্ষে। ফখরুল বলেন, ২০১৪ সালের আগে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে আমরা সফল হইনি। আর এ কারণেই ভোটারবিহীন নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের নির্বাচন আর হতে দেয়া হবে না। আমরা জানি এত সহজে সব কিছু হওয়ার কথা নয়। সেই কাজটাকে ঠিক জায়গায় পৌঁছানোর জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজকে কোন বিভেদ নয়, একটা ঐক্য গড়ে তুলতে হবে, জনতার ঐক্য। জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠলে তাহলেই আমরা গণতন্ত্রের জন্য সফল হব। ২০১৪ সালের আগে সেই ঐক্যের দিকে আমরা প্রায় এগিয়ে গিয়েছিলাম। প্রায় সকল দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। রীতিমত বিপ্লব হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমরা সফল হতে পারিনি, এই সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ন যেভাবে ঢাকার মধ্যে হয়েছে তার জন্য। বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার সব প্রশাসনিক যন্ত্র নষ্ট করে রেখেছে। তাই এখানে কোন কিছু আশা করে লাভ নেই। তিনি বলেন, বিএনপি সব সময় গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করেছে। এখনও দেশে গণতন্ত্র প্রতষ্ঠার জন্য চেষ্টা করে আসছে। কারণ গণতন্ত্র ছাড়া সুশাসন সম্ভব নয়। তবে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আলোচনা সভায় আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের মৃত্যুর জন্য সরকার দায়ী। আমরা সবাই বলছি এম কে আনোয়ার বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন। আমি বলব, এম কে আনোয়ারকে এ সরকার মেরে ফেলেছে। ৮৫ বছরের কোন বৃদ্ধকে যখন জেলে ভরা হয়, রিমান্ডে নেয়া হয় তখন তাঁকে হত্যা ছাড়া আর কি বলবো। লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ।
×