ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যাশেজে যুদ্ধের কিছু দেখছেন না ব্রড

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ২৭ অক্টোবর ২০১৭

এ্যাশেজে যুদ্ধের কিছু দেখছেন না ব্রড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ্যাশেজ মানেই বাড়তি উত্তেজনা, আবেগ। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মধ্যে এ ক্রিকেটীয় লড়াইটা অন্য যে কোন ক্রিকেট ম্যাচের চেয়ে মর্যাদাপূর্ণ। আর সে কারণেই স্নুয়ুযুদ্ধ, মানসিক যুদ্ধটা চলতেই থাকে। মাঠে এবং মাঠের বাইরে এই বাকযুদ্ধ সবসময়ই এ্যাশেজের আকর্ষণ এবং উত্তাপ দুটিকেই বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। এবারও সেই যুদ্ধটা শুরু হয়ে গেছে। তীরটা প্রথম ছুড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সহঅধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারই। তিনি বলেন, এ্যাশেজের সময় ইংলিশ ক্রিকেটারদের ঘৃণার আগুনে তিনি দগ্ধ করতে চান এবং এটি একটা ভয়াবহ যুদ্ধ। তার এমন গরলের ন্যায় তিক্তবাক্যের প্রতিক্রিয়ায় একেবারে শীতল মনোভাব দেখালেন ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। তিনি বরং অবাক হয়েছেন যে এখানে যুদ্ধের কী আছে! আর ক্রিকেট খেলায় কাউকে ঘৃণার কোন কারণই নেই বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া দাবি করেন, যারা অন্যদের বড় ও মর্যাদাবান মনে করে নিজের চেয়ে তাদেরই আক্ষেপে ঘৃণা করে অন্যরা। আগামী মাসের শেষদিকে এ্যাশেজ সিরিজ শুরু হবে। এবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে গিয়ে ৫ টেস্ট খেলতে হবে ইংল্যান্ডকে। এ সিরিজ খেলতে আর মাত্র দুদিন পরই দেশ ছাড়বে ইংলিশরা। তবে সফরকারীরা অসি ভূমিতে পা রাখার আগেই শুরু হয়ে গেছে কথার লড়াই। যদিও ওয়ার্নার সেই লড়াই শুরু করেছেন দারুণ গা জ্বালানো ঝাঁঝালো মন্তব্য করে। তিনি বলেন, ‘আমি ঘৃণার কাঠিন্য দিয়ে তাদের ভেতর পর্যন্ত কাঁপিয়ে দিতে চাই। যখনই সবাই আমরা লাইনের (মাঠের সীমানা দড়ি) মধ্যে প্রবেশ করব তখনই যুদ্ধ শুরু হবে!’ ওয়ার্নারের মতোই এমন কথা যুদ্ধে সবসময়ই ইংলিশদের মধ্যে বেশ আলোচিত ব্রড। এমনকি তাকে নিয়ে ২০১৩ সালের এ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকাগুলোয় শিরোনাম হয়েছিল ‘স্টুয়ার্ট ফ্রড!’ সেবার বেশ উত্তপ্ত কথা বিনিময় হয়েছিল। কিন্তু এবার একেবারেই শান্ত ব্রড। ওয়ার্নারের এমন মন্তব্যের পরও তিনি প্রতিক্রিয়ায় বললেন, ‘তাদের ঘৃণা করার কোন প্রয়োজন নেই আমার। এটা ক্রিকেট খেলা, কোন যুদ্ধ নয়।’ ২০১৫ সালের এ্যাশেজে ইংল্যান্ড সফরে ওয়ার্নার ব্যাপক আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছিলেন জো রুটকে মাঠের বাইরের এক ঘটনায় ঘুষি মেরে। সেই রুট এবার ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। ওয়ার্নারকে সে সময় বলা হয়েছিল খলনায়ক। কিন্তু এবার যেন কিছুটা শান্তশিষ্ট আচরণই করছে ইংল্যান্ড। এ বিষয়ে ব্রড বলেন, ‘আসলে আমি এই সফরটা উপভোগ করি। এই খলনায়কের ভূমিকাগুলো খুব পছন্দ করি। ক্রিকেটার হিসেবে এটা একজন ফুটবলারের দেশের বাইরে গিয়ে খেলার মতোই। লেহম্যানের যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান দলকে সমর্থন করায় যেসব গণমাধ্যম আছে তাদের সবাইকে একতাবদ্ধ করা।’
×