ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিএসএমএমইউতে এইডস ও সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে কর্মশালা

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ২৭ অক্টোবর ২০১৭

বিএসএমএমইউতে এইডস ও সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে কর্মশালা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার বলেছেন, এইচআইভি/এইডস বাংলাদেশের মতো একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশে অত্যন্ত একটি ঝুঁকিপূর্ণ রোগ। যারা ইনজেশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহণ করে তাদের এইডসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। সাধারণত ছিন্নমূল, নিম্ন আয়ের মানুষ, বস্তিবাসী, বেকার যুবক-যুবতী ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহণ করে। বর্তমানে ফ্যাশন হিসেবে উচ্চবিত্তের মাঝেও এ ধরনের মাদক গ্রহণের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে- যা সমাজ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় সঙ্কট তৈরি করতে পারে। বৃহস্পতিবার সকালে বিএসএমএমইউর বি-ব্লকের ডাঃ মিলন হলে মাদকাসক্ত রোগীদের এইডস ও সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ন্যাশনাল এ্যাডভোকেসি এ্যান্ড সেনসিটাইজেশন ওয়ার্কশপ অন ড্রাগ ডিপেডেন্সি এ্যান্ড হেলথ নিডস অব পিপল হু ইনজেক্ট ড্রাগস (পিডব্লিউআইডি) শীর্ষক কর্মশলায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডাঃ এ এস এম জাকারিয়া স্বপন। বিএসএমএমইউ ও কেয়ার বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে এবং জাতীয় এইডস/এসটিডি প্রোগ্রাম (এএসপি) ও সেভ দ্য চিলড্রেনের সহায়তায় আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউ পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আব্দুল্লাহ আল হারুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাঃ মোঃ বেলাল হোসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সূচিত উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে এইডস্সহ এ ধরনের সংক্রামক ব্যাধি থেকে, মাদকাসক্ত থেকে জাতিকে অবশ্যই রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী। সেক্ষেত্রে কেয়ার বাংলাদেশসহ বিভিন্ন এনজিও কর্মকা- পরিচালনা করছে। তাদের এ কর্মকা-কে বিএসএমএমইউ এবং সরকারী ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সমন্বয় করা প্রয়োজন। এইডস চিহ্নিত করতে দেশে প্রথম ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছিল বিএসএমএমইউতে- যা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে বিস্তৃতি লাভ করে। এইডস প্রতিরোধে শুধু মাদকাসক্তদের দিকে খেয়াল রাখলে চলবে না, কারণ এটা এইডসে আক্রান্ত যে কোন ব্যক্তির মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। সামগ্রিকভাবে দেশের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতেও এ ধরনের রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের সুযোগ থাকতে হবে। এ ধরনের রোগীদের অবশ্যই অত্যন্ত দরদ দিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে ধৈর্য নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিতে হবে। একই সঙ্গে অর্থের অভাবে কেউ যাতে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, এমপি, ইতোমধ্যে এইডস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন এবং অনেক জায়গাতেই এই রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। দেশের সর্বোচ্চ মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারী-বেসরকারী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সমন্বিতভাবে দেশে এইডসে আক্রান্ত কত রোগী আছে ও তাদের ক্লিনিক্যাল অবস্থা কি-এটা সুনিশ্চিত করতে এবং তাদের জন্য চিকিৎসার কার্যকরী ব্যবস্থা আবিষ্কারের নিমিত্তে নিরন্তর গবেষণা অত্যন্ত জরুরী। কারণ আমাদের নিজস্ব তথ্য-উপত্তের ভিত্তিতেই এই মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সব সময়ই দেশের গরিব মানুষের জন্য চিকিৎসার দ্বার উন্মুক্ত। মাদকাসক্ত রোগীদের এইডস ও সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে আয়োজিত কর্মশালার মাধ্যমে লব্ধ জ্ঞান দেশের মানুষের চিকিৎসাসেবায় কল্যাণকরভাবে ব্যবহারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। -বিজ্ঞপ্তি
×