ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কর ফাঁকিবাজ বিদেশী কর্মীরা কঠোর নজরদারিতে

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ২৭ অক্টোবর ২০১৭

কর ফাঁকিবাজ বিদেশী কর্মীরা কঠোর নজরদারিতে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কর ফাঁকিবাজ বিদেশী কর্মীরা এখন কঠোর নজরদারিতে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এজন্য দেশে কর্মরত বিদেশী কর্মীদের তথ্য যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে। এনবিআরের এ অভিযানে সহায়তা চাওয়া হয়েছে দেশী-বিদেশী নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে। এক্ষেত্রে কাউকে যেন হয়রানি করা না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ এফবিসিসিআইয়ের। গড়ে প্রায় ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। সরকারী-বেসরকারী খাতের অংশগ্রহণে বাড়ছে বিনিয়োগ-কর্মসংস্থান। তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দেশের পাশাপাশি বাড়ছে দক্ষ বিদেশী কর্মীর চাহিদাও। তবে বিদেশীদের কাজ করার ক্ষেত্রে আইন থাকলেও তা অনেকটাই নমনীয়। দেশে অনেক বিদেশী কর্মী কাজ করলেও সঠিক আয় দেখান না অনেকেই। আবার দেখালেও তা কমিয়ে দেখান। এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। যদিও বাংলাদেশে ঠিক কত বিদেশী নাগরিক কাজ করেন তার প্রকৃত সংখ্যা নেই কারও কাছে। বিনিয়োগ বোর্ড, বেপজা ও এনজিও ব্যুরো- এ তিন প্রতিষ্ঠানের তথ্য বলছে, বৈধভাবে বাংলাদেশে বিদেশী নাগরিক কাজ করছেন মাত্র সাড়ে ১৬ হাজার। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব বলছে, দেশে অবস্থানরত বিদেশীর সংখ্যা দুই লাখেরও বেশি, যারা প্রতি বছর পাঁচ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ আয় করে নিয়ে যান বাংলাদেশ থেকে। সর্বশেষ অর্থবছর পর্যন্ত ১২ হাজার বিদেশী কর্মীর তথ্য আছে এনিবআরের কাছে, যার মধ্যে আয়কর বিবরণী পাওয়া গেছে ১০ হাজার কর্মীর। এ অবস্থায় কঠোর নজরদারিতে আসছে বিদেশী কর্মীদের আয়ের বিষয়টি। কর প্রশাসনের এই সদস্য বলছেন, এ বিষয়ে সহযোগিতা না করলে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা। এনবিআরের এমন উদ্যোগ নিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলছেন, অভিযান বা পরিদর্শন সঠিকভাবে হলে আপত্তি নেই। তবে কোন রকম হয়রানি যেন না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। আয়কর আইন অনুযায়ী, বিদেশী কর্মীরা তিন মাস অবস্থান করলেই তার আয়-ব্যয়ের নথি চালু করতে হয়। তার ব্যত্যয় হচ্ছে কি-না তাও খতিয়ে দেখছে কর বিভাগ।
×