ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চালের দাম কমছে ধীরগতিতে

প্রকাশিত: ০৩:৪৪, ২৭ অক্টোবর ২০১৭

চালের দাম কমছে ধীরগতিতে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কমে আসছে চালের দাম। তবে খুচরা বাজারে তা কমছে খুবই ধীরগতিতে। সরকারের তোড়জোড় ও নানা তৎপরতায় চালের দাম কিছুটা কমে স্থির হয়েছিল। ফলে বাড়তি দামেই চাল কিনতে হচ্ছিল ক্রেতাদের। কিন্তু এখন বাজার সে অবস্থ’া থেকে সরে এসেছে। গত কয়েকদিনে বাজারে চালের দাম প্রকারভেদে কমেছে ২ টাকা করে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চালের আমদানি ক্রমেই বাড়ছে। এ ছাড়া নতুন ধানের মৌসুমও প্রায় কাছাকাছি। খুব শিগগিরিই চালের দাম আরও কমবে। বুধবার রাজধানীর মিরপুরসহ বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে মোটা চালসহ অন্যান্য চালের দাম কিছুটা কমতির দিকে। এর মধ্যে স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৮ টাকায়। এ ছাড়া আঠাশ ৫০ টাকা, মিনিকেট ৬০ টাকা, আর নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬৭ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, এ দাম কয়েকদিন আগে আরও বেশি ছিল। মিরপুরের চালের আড়ৎদার মোজাম্মেল জানান, পাইকারি বাজারে চালের দাম কমছে। সেটা আরও কমতো যদি নতুন চাল বাজারে আসত। এখন যা কমছে, সেটা আমদানির প্রভাব। তবে দেশের কিছু জায়গায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। এজন্য এখন দাম কিছুটা কমে আসাই স্বাভাবিক। তিনি জানান, মোজাম্মেল ব্রান্ডের মিনিকেট ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৯শ টাকায়। এ হিসেবে প্রতিকেজি চালের দাম পড়ে ৫৮ টাকা। কিছু দিন আগেও এর দাম বেশি ছিল। জানা গেছে, আমদানি বাড়ায় বাজারে চালের সরবরাহও বেড়েছে। আমদানি শুল্ক কমানোর ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে। এর আগে গত ১৭ আগস্ট চাল আমদানি শুল্ক ২ শতাংশ নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর। গত বোরো মৌসুমে উৎপাদন কমে যাওয়া এবং বন্যার কারণে দীর্ঘদিন পর চাল আমদানিতে উৎসাহ দিচ্ছে সরকার। তবে ক্রেতারা মনে করছেন চালের দাম তেমন কমেনি। এক ক্রেতা বলেন, ব্যবসায়ীরা বলে চালের দাম কমছে, আরও কমবে। কিন্তু বাস্তবে তা না। সরু চাল চাল আগের দামেই কিনতে হচ্ছে। বাজারে কোনো জিনিষের দামই কম না। সীমিত আয়ে চলাই মুশকিল। ওই ক্রেতার কথার সত্যতা মেলে সরকারের বাজার তদারকির প্রতিষ্ঠান টিসিবির ওয়েব সাইটে। মঙ্গলবার পর্যন্ত হিসাব অনুসারে সারাদেশে সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৬ টাকা, মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা, নাজির শাইল ৬২-৬৬ টাকা, মাঝারি সরু চাল ৪৮-৫০ টাকা আর মোটা চাল ৪৪-৪৮ টাকা দরে। রাজধানীর চালের পাইকারি মার্কেট বাবুবাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, মিল মালিকরা চালের দাম কমাচ্ছেন না, ফলে আমরাও কমাতে পারছি না।
×