ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরে দেখা

প্রকাশিত: ০৩:৩২, ২৭ অক্টোবর ২০১৭

ফিরে দেখা

জানল ক্যামনে? রশিদ মামুন ॥ গত মঙ্গলবার আমার সাপ্তাহিক ছুটির দিন বিকেলে উবার চড়েছিলাম। সিএনজির চেয়ে তো আমার কাছে উবারই ভাল লাগে। ওঠার সময় সালাম দেয় নামার সময় থ্যাংস বলে। এসব সিএনজিতে পাওয়া মুশকিল। এরপর তো ভাড়া নিয়ে কিচির মিচির আছেই। সিএনজিতে মিটার একটা আছে বটে, উঠে বসলে চাপ দেয়। নামার সময় যখন দেখি ভাড়া উঠেছে ১০০ আর নিচ্ছে ২০০ টাকা, তখন আমার কিন্তু বেশ খারাপ লাগে। মনে মনে দুটো গালি দিলেও পয়সা না দিয়ে পারা যায় না। তবে সব থেকে বিরক্তিকর হচ্ছে ওই পথে যাব না ইত্যাদি। যাব নাতো যাবই না। কিন্তু উবারে সেই সমস্যা নেই। শেষ বিকেলে রমনা পার্ক থেকে বনশ্রী উবারে রিকোয়েস্ট পাঠালাম। উবার পৌঁছে গেল ৩ মিনিটেই। চালক গাড়িতে উঠেই জানতে চাইলো কোথায় যাবেন, আমি বললাম বনশ্রী চলেন। সে আমার দিকে তাকালো হাসলো বটে তবে সেই হাসিতে কষ্ট লুকানো ছিল। বলল না ওইখানের রাস্তার যা অবস্থা, এত খারাপ। একবার ক’দিন আগে গিয়েছিলাম যাত্রীকে শেষ পর্যন্ত বলছি ভাড়া লাগবে না নেমে চলে যান। আমি জানতে চাইলাম কেন? আমি তো রিকোয়েস্টে কোথায় যাব তাও লিখেছি। চালক বলল আমিতো সেটা আগে দেখতে পাই না, আপনি ওঠার পরেই আমি জানতে পারি কোথায় যাব। আহ এই তো দরকার ছিল। আমাদের দেশের ড্রাইভারদের চরিত্র জানল কি করে প্রশ্ন করেছিলাম। চালক হাসল। আমি বললাম সাইজটা এতদিনে কেউ করতে পারেনি, উবার করেছে। প্রেসমিট নয়, যেন জনসভা! রুমেল খান ॥ ৬ অক্টোবর, ২০১৭, শুক্রবার। পল্টনের শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে গিয়েছি জানুয়ারিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য ‘জুনিয়র রোলবল বিশ^কাপ’-এর দ্বিতীয় আসর উপলক্ষে প্রেসমিট কভার করতে। চৌদ্দ বছরের সাংবাদিক ক্যারিয়ারে অনেক প্রেসমিট কভার করেছি, কিন্তু এমন আজব প্রেসমিট কোনদিনও দেখিনি! আয়োজকদের (রোলার স্কেটিং ফেডারেশন) প্রতিটি কর্মকা-ই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ এবং হাস্যকর। মঞ্চে আমন্ত্রিত অতিথি-বক্তাদের জন্য চেয়ার রাখা ছিল ১৯টি! যদিও পাঁচজন আসেননি। তারপরও কোন প্রেস কনফারেন্সে ১৪ জনকে মঞ্চে হাজির করাটা রীতিমতো রেকর্ডের পর্যায়েই পড়ে। গত জানুয়ারিতে এই ভেন্যুতেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল রোলবল বিশ^কাপ। সেই আসরের বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয় বড় প্রজেক্টরে। কিন্তু এর শব্দের মাত্রা ছিল অসহনীয়, বধির হয়ে যাবার মতো অবস্থা! এই ভিডিওতে আবার জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। অথচ কাউকেই দাঁড়িয়ে সম্মান জানাতে দেখা যায়নি। প্রেসমিটটি শেষ করতেও আয়োজকরা নেন দেড় ঘণ্টা! কোন বক্তার বক্তব্য শেষ হতেই তার নামে জয়ধ্বনি দেয়া হয় (অমুক ভাই... হিপ হিপ হুররে!)। জয়ধ্বনি দিতে সম্মেলনে হাজির করা হয় শ’খানেক জুনিয়র ছেলে-মেয়ে স্কেটারকে। অথচ প্রেসমিটে এগুলো করার নিয়ম নেই। মনে হচ্ছিল এ কোথায় এলাম। এটা কি কোন জনসভা! স্কেটিং কমপ্লেক্সের পাশেই খোলা পল্টন মাঠ। সেখানে ক্রিকেট খেলারত শিশু-কিশোরদের ব্যাটের হাঁকানো ছক্কার বল মাঝে মধ্যেই এসে পড়ছিল মঞ্চের আশপাশে। সেই বল আবার বাজেয়াপ্তও করা হয়! প্রেসমিটটি অনুষ্ঠিত হয় প্রচন্ড গরমের মধ্যে। মঞ্চের অতিথি, সাংবাদিক এবং দর্শকদের গা জুড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত স্ট্যান্ড ফ্যান ছিল না। ফলে উপস্থিত বেশির ভাগকেই ঘেমে-নেয়ে হন অস্থির। [email protected]
×