ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আমন ক্ষেতে পোকার আক্রমণ ॥ নষ্ট হচ্ছে ধান

প্রকাশিত: ০৩:২১, ২৭ অক্টোবর ২০১৭

আমন ক্ষেতে পোকার আক্রমণ ॥ নষ্ট হচ্ছে ধান

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ২৬ অক্টোবর ॥ বাউফলে বাদামি গাছফড়িংয়ের (বিপিএইচ) আক্রমণে বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে আমনের ক্ষেত। হঠাৎ এই পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ করা হয়েছে। হঠাৎ ধানক্ষেতে বাদামি গাছফড়িংয়ের উপদ্রব দেখা দেয়ায় কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। বাজারে প্রচলিত যেসব কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে তা ছিটিয়েও এই পোকা দমন করতে পারছেন না কৃষক। উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ, কাছিপাড়া, নাজিরপুর, দাশপাড়া, কালাইয়া, আদাবাড়িয়াসহ কয়েকটি ইউনিয়নে আমনের ক্ষেত ঘুরে দেখা গেছে, এই পোকার আক্রমণে ধানের পাতার রং হলদে হয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও মনে হয় পুরোক্ষেত পুড়ে গেছে। নানা ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করেও তেমন সুফল মিলছে না। এই পোকা এক মাঠ থেকে আরেক মাঠে অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন কৃষক। পুরোক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় কৃষক এই ফড়িংয়ের নাম দিয়েছেন কারেন্ট পোকা। দাশপাড়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদ এবং মোঃ সেকান্দার নামে দুই কৃষক জানান, ধানগাছে থোড় আসার পর পোকার আক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। পোকার ডিম থেকে বেরিয়ে আসা বাদামি ফড়িংয়ের বাচ্চা ও পূর্ণবয়স্ক উভয় পোকা দলবদ্ধভাবে ধানগাছের গোড়ার দিকে অবস্থান করে গাছ থেকে রস খেয়ে ফেলছে। এ কারণেই ধানের চারা দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। পোকার আক্রমণে ধানগাছ প্রথমে হলুদ ও পরে শুকিয়ে বাদামি রং ধারণ করছে। কিন্তু কৃষকের এই দুঃসময়েও তাদের পাশে পাচ্ছেন না উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সরোয়ার জামান স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, এই পোকার নাম বাদামি গাছফড়িং (বিপিএইচ) বা কারেন্ট পোকাও বলা হয়। এই পোকা দমনে ধানক্ষেতে আলোক ফাঁদ তৈরির পাশাপাশি গ্লামার, কোটান ও পাইরাজিন নামক কীটনাশক স্প্রে করার জন্য কৃষককে বলা হয়েছে।
×