ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারী ক্রয় ব্যবস্থাপনায় সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে ॥ অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৭:৫৫, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

সরকারী ক্রয় ব্যবস্থাপনায় সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে ॥ অর্থমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে সরকারী ক্রয় (পাবলিক প্রকিউরমেন্ট) ব্যবস্থাপনায় সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এই ক্ষেত্রে আমরা খুব ভাল করছি। সরকারী ক্রয় উন্মুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক হওয়া উচিত। স্বচ্ছতার জন্য এ প্রক্রিয়ায় প্রত্যেকের অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। বুধবার সন্ধ্যায় হোটেল র‌্যাডিসন ব্লুতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় নেয়া বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সরকারী ক্রয় ডিজিটাইজেশন শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট ইউনিট (সিপিটিউ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান এবং বিশ্বব্যাংকের পরিচালক (গবর্নেন্স গ্লোবাল প্র্যাকটিস) বিনয় শর্মা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব মোঃ মফিজুল ইসলাম। সিপিটিইউ মহাপরিচালক মোঃ ফারুক হোসেন প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতেও কথা বলেন। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করছে। যদিও আমরা মানবিক বিবেচনায় তাদের আশ্রয় দিয়েছি। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকারী অর্থের যাতে নয়-ছয় না হয়, সেজন্য প্রকিউরমেন্ট স্বচ্ছ করা হচ্ছে। এতে সরকারের অর্থের অপচয় রোধ করা যাবে। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান বলেন, সরকারী ক্রয় ব্যবস্থাপনায় সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ ভাল করছে। এর আধুনিকায়নে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। উল্লেখ্য, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ছয় কোটি ডলার বা ৪৮০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ৮০ টাকা হিসেবে)। এতে সরকারকে সহযোগিতা করছে বিশ্বব্যাংক। আন্তর্জাতিক এ ঋণদাতা সংস্থা দেবে সাড়ে পাঁচ কোটি ডলার বা ৪৪০ কোটি টাকা। অবশিষ্ট ৫০ লাখ ডলার বা ৪০ কোটি টাকা দেবে সরকার। প্রকল্পটি জুলাই ২০১৭ থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত পাঁচ বছর মেয়াদে সিপিটিইউ বাস্তবায়ন করবে।
×