ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে, ক্লোরিনের ইলেকট্রন বিন্যাস ২,৮,৭।

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে, ক্লোরিনের  ইলেকট্রন বিন্যাস ২,৮,৭।

ক্লোরিনের পারমাণবিক সংখ্যা ১৭ এবং ভরসংখ্যা ৩৫। কোনো মৌলের একটি পরমাণুতে প্রোটনের সংখ্যাকে পারমাণবিক সংখ্যা বলে। সুতরাং ক্লোরিনের প্রোটন সংখ্যা ১৭। আবার একটি পরমাণুতে ইলেকট্রন ও প্রোটন সংখ্যা সমান। অর্থাৎ ক্লোরিনের ইলেকট্রন সংখ্যা ১৭। কোনো মৌলের ভরসংখ্যা = ঐ মৌলের পরমাণুতে প্রোটনের সংখ্যা + নিউট্রনের সংখ্যা  ক্লোরিন পরমাণুর নিউট্রন সংখ্যা = ক্লোরিনের ভরসংখ্যা  ক্লোরিনের প্রোটন সংখ্যা = ৩৫  ১৭ = ১৮ ঘ) গ ও ঘ মৌল দুইটি এদের সর্বশেষ কক্ষপথে ইলেকট্রন আদান প্রদান করে যৌগ গঠন করতে পারে। উদ্দীপকের গ মৌলটি সোডিয়াম এবং ঘ মৌলটি ক্লোরিন। সোডিয়াম পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস ২,৮,১। এর সর্বশেষ শক্তিস্তরে একটি ইলেকট্রন থাকায় এটি স্থিতিশীল নয়। যদি ১টি ইলেকট্রন অন্য কোনো পরমাণুকে দিতে পারে তাহলে এর সর্বশেষ কক্ষপথে ৮টি ইলেকট্রন থাকবে। এটি একটি স্থিতিশীল অবস্থা। ক্লোরিন পরমাণুর এলেকট্রন বিন্যাস ২,৮,৭। এর সর্বশেষ কক্ষপথে ৭ টি ইলেকট্রন থাকায় এটিও স্থিতিশীল নয়। যদি ১টি ইলেকট্রন অন্য কোনো পরমাণু থেকে নিতে পারে তবে এর সর্বশেষ কক্ষপথে ৮টি ইলেকট্রন থাকবে। এটি একটি স্থিতিশীল অবস্থা। সোডিয়াম পরমাণুটি ১টি ইলেকট্রন ত্যাগ করে নিকটস্থ নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে স্থিতিশীলতা অর্জন করে এবং ধনাতœক আয়নে পরিণত হয়। ঘধ  ঘধ+ + ব অন্যদিকে ক্লোরিন পরমাণু ১টি ইলেকট্রন গ্রহণ করে নিকটস্থ নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করে এবং ঋণাতœক আয়নে পরিণত হয়। ঈষ + ব  ঈষ এই বিপরীত আয়নদ্বয় পরস্পরকে আকর্ষণ করে ও বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ঘধ  ঘধ+ + ব ঈষ + ব  ঈষ ঘধ + ঈষ  ঘধ+ঈষ বা ঘধঈষ এভাবে গ (সোডিয়াম) ও ঘ (ক্লোরিন) বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যৌগ ঘধঈষ গঠন করে।
×