ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নেপালে দক্ষিণ এশীয় প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসবে উদীচীর ‘ক্ষতচিহ্ন’

প্রকাশিত: ০৭:০০, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

নেপালে দক্ষিণ এশীয় প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসবে উদীচীর ‘ক্ষতচিহ্ন’

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিতব্য দক্ষিণ এশীয় প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী নির্মিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘ক্ষতচিহ্ন’। ফিল্ম সাউথ এশিয়ার আয়োজনে আগামী ২ থেকে ৫ নবেম্বর পর্যন্ত এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি দুই বছর পরপর এ চলচ্চিত্র উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ফিল্ম সাউথ এশিয়ার ২০তম বছরে এবার ২০১৭ সালের উৎববে প্রদর্শনের জন্য তিন শতাধিক চলচ্চিত্র জমা দেয়া হয়। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক নির্বাচকম লী ৪৫টি চলচ্চিত্রকে প্রদর্শনের জন্য নির্বাচন করে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে তিনটি ক্যাটাগরিতে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে এই ৪৫টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্র ও চারুকলা বিভাগ নির্মিত ‘ক্ষতচিহ্ন’ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি অন্যতম। এ চলচ্চিত্রের গবেষণা ও পরিচালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের চলচ্চিত্র ও চারুকলাবিষয়ক সম্পাদক প্রদীপ ঘোষ। উৎসবে অংশ নেয়ার জন্য ফিল্ম সাউথ এশিয়ার পক্ষ থেকে ‘ক্ষতচিহ্ন’ চলচ্চিত্রের গবেষক ও পরিচালক প্রদীপ ঘোষকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ১৯৯৯ সালে যশোর টাউন হল ময়দানে আয়োজিত হয় দেশের বৃহত্তম সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পগোষ্ঠীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলন। তিন দিনের ওই সম্মেলনের শেষ দিনে সাম্প্রদায়িক জঙ্গীবাদী গোষ্ঠীর বোমা হামলা কেড়ে নেয় দশটি প্রাণ। ওই ঘটনার পরও থেমে থাকেনি প্রগতিশীল শক্তির ওপর বোমা হামলা। কখনো হামলা হয় রাজনৈতিক দলের উপর, আবার কখনও সাধারণ মানুষের ওপর। ২০০৫ সালের ৮ ডিসেম্বর আবারও হামলার শিকার হয় উদীচী। নেত্রকোনা জেলা উদীচীর কার্যালয়ে হামলায় আবারও জাতি দেখে সংস্কৃতি কর্মীর লাশ। এসব হামলায় চিরদিনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করেছেন হাজারও মানুষ। সাম্প্রদায়িক জঙ্গীবাদী গোষ্ঠীর প্রথম আঘাতটি সংঘটিত হয় উদীচীর উপর এবং এ পর্যন্ত শেষ হামলাটিও ছিল উদীচীর উপর। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৫ পর্যন্ত যে ক্ষতের চিহ্ন দেশবাসী বয়ে বেড়াচ্ছে। তারই ইতিহাস বর্ণিত হয়েছে এ প্রামাণ্যচিত্রে।
×