ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পার্বতীপুরে স্কুলছাত্র খুন

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

পার্বতীপুরে স্কুলছাত্র খুন

নিজস্ব সংবাদদাতা, পার্বতীপুর, ২৫ অক্টোবর ॥ পার্বতীপুরে এক স্কুলছাত্রকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার নাম মিন্টু চন্দ্র রায় (১৪)। স্থানীয় আমানতুল্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র ছিল সে। তার পিতা গিরিনচন্দ্র। বেলাইচন্ডি ইউনিয়নের বাঘাচোরা গ্রামে বাড়ি। এ ঘটনায় নিহতের পিতা গিরিনচন্দ্র পার্বতীপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলার প্রধান আসামি ফহির মুন্সি। দেউলপাড়া মাদ্রাসার তিনি সুপার। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ হরিদাস ও জানকি নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রমতে, গত রবিবার সকালে ফহির মুন্সি কাজের জন্য সাইকেলে করে মিন্টুদাসকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। তখন থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অবশেষে দুইদিন পরে মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশে গাওচুলকার বিলে কুচরিপানার মধ্যে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায় । নিহতের ৪টি দাঁত ভাঙ্গা ছিল। পাবনায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা থেকে জানান, গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার। ওই গৃহবধূর নাম শিপ্রা রানী দাস। বুধবার বেলা ১১টার দিকে শহরের শালগাড়িয়া মহল্লার গোডাউনপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিপ্রা রানী দাস (২৮) ওই মহল্লার মানিক দাসের স্ত্রী ও নারায়ণ চন্দ্র দাসের মেয়ে। এ ঘটনার পর থেকেই স্বামী পলাতক রয়েছে। পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, বেলা ১১টার দিকে স্থানীয়দের খবর পেয়ে গোডাউন পাড়ার এক বাসা থেকে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগানো এক গৃহবধূ শিপ্রা রানী দাসের লাশ উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনদের দাবি তাকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশটি ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। নিহত শিপ্রার ৭ বছরের একটি কন্যা শিশু রয়েছে। নিহত শিপ্রার বাবা নারায়ণ চন্দ্র দাস জানান, বছর আগে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই অভাব অনটন আর নেশাগ্রস্ত স্বামীর কারণে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। একপর্যায়ে তাদের মেয়ে স্কয়ার গ্রুপে চাকরি নেয়। এরপর জামাই নেশার টাকা না পেলে তার মেয়েকে মারপিট করত। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সকালে নেশার টাকা না দেয়ায় নারায়ণ চন্দ্র তার মেয়েকে মারধর করে হত্যা করে। তিনি তার মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার চান। বেড়ায় গৃহবধূ সংবাদদাতা, বেড়া, পাবনা থেকে জানান, বেড়া উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের এক ডোবা থেকে রোজিনা খাতুন (১৮) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোজিনা খাতুন মঙ্গলবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বুধবার সকালে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের নিজামউদ্দিনের ছেলে হাফিজুলের সঙ্গে একই গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে রোজিনার প্রায় ৭ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই হাফিজুল ও তার পিতা নিজামউদ্দিন যৌতুকের জন্য রোজিনার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল বলে জানান স্থানীয়রা। বুধবার সকালে হাফিজুলের বাড়ির পাশের ডোবায় রোজিনার লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্নহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, রোজিনা নিখোঁজের পর থেকেই স্বামী হাফিজুল ও হাফিজুলের পিতা নিজাম উদ্দিন পলাতক রয়েছে। লক্ষ্মীপুরে যুবক নিজস্ব সংবাদদাতা লক্ষ্মীপুর থেকে জানান, রামগঞ্জ থেকে দুদিন পর জহিরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ। বুধবার দুপুরে উপজেলা পূর্ব দরবেশপুর এলাকার একটি ডোবা থেকে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে ওই গ্রামের আলীপুর সাদার বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে পালায় সে। নিহত জহিরুল একই এলাকার ছৈয়াল বাড়ির মৃত মনির হোসেনের ছেলে। স্থানীয় লোকজন জানান, সোমবার গভীর রাতে ৭ নম্বর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের সাদার বাড়িতে গরু চুরি করতে ঢুকলে বাড়ির লোকজন টের পেয়ে চিৎকার দিলে গ্রামবাসীসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের জহিরুল ইসলামকে হাতেনাতে ধরে গনপিটুনি দেয়ার একপর্যায়ে গ্রামবাসীর হাত থেকে পালিয়ে যায়। বুধবার সকালে জহিরের বড় ভাই মনির হোসেনসহ তার নিকটাত্মীয়রা বিলের কচুরিপানা পরিস্কার করলে জহিরের লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে রামগঞ্জ থানা পুলিশে খবর দেয়। খাগড়াছড়িতে দুই লাশ উদ্ধার পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি খাগড়াছড়ি থেকে জানান, পানছড়ি উপজেলার চেংগী নদী ও তারাবন ছড়া থেকে দুটি মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ। তারা হলেন উপজেলার চেংগী ইউনিয়নের লাম্বু পাড়ার ইন্দু বিকাশ চাকমার স্ত্রী ৪ সন্তানের জননী নিহার বালা চাকমা (৫২) ও পানছড়ি ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর এলাকার মৃত- আবদুল গফুরের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২২)। জানা যায়, গত ২১ অক্টোবর প্রবল বর্ষনে স্থানীয় ছড়া ও নদীগুলো বিপদ সীমার ওপর পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে পানিতে পড়ে নিহার বালা চাকমা উপজেলার তারাবন ছড়ায় ও আনোয়ার হোসেন চেংগী নদীতে ভেসে যায়। ঠাকুরগাঁওয়ে আদিবাসী নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও থেকে জানান, সদর উপজেলার ফকদনপুর গ্রামে সুধির পাহান (৪২) নামে মৃত্যুর দুইদিন পর বুধবার এক আদিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার বাড়ি রংপুর জেলায় বলে জানা গেছে। বুধবার বেলা ১১টায় ফকদরপুর গ্রামের ফয়জুল ইসলামের দরজা বন্ধ একটি ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।এলাকাবাসী জানায়, গত দেড় বছর ধরে ওই গ্রামে বসবাস করছিল সুধির। সে দিন মজুরির কাজ শেষে ফয়জুল ইসলামের একটি পরিত্যক্ত ঘরে রাত কাটাত। বুধবার সকাল থেকে দরজা বন্ধ ওই ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে মরদেহটি উদ্ধার করে।
×