ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মুস্তাফিজকে নিয়ে আশাবাদী ওয়াকার

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

মুস্তাফিজকে নিয়ে আশাবাদী ওয়াকার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আসলেন, খেললেন, জয় করলেন। তিনি বাংলাদেশের ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু সেই জয় করার দিন ধরে রাখতে পারলেন না। এখন আর সেই মুস্তাফিজকে মিলে না। যিনি প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের জন্য আতঙ্ক হয়ে ওঠেন। তারপরও আশা ছাড়তে হয় না। সেই আশায় আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটপ্রেমীরা। বাংলাদেশের কোচ, ক্রিকেটার, কর্মকর্তারা সবাই। সেই আশার পালে হাওয়া দিলেন পাকিস্তানের সাবেক কোচ, অধিনায়ক, পেসার ওয়াকার ইউনিস। মুস্তাফিজ আবার সেই পুরনো রূপে ফিরবেন। আশা ওয়াকারের। সিলেট সিক্সার্সের পেসার অন্বেষণ কর্মসূচীতে যোগ দিতে এসে বুধবার এমনটাই আশা প্রকাশ করেছেন ওয়াকার। তিনি বলেছেন, ‘মুস্তাফিজ দ্রুত দৃশ্যপটে এসেছে। তার মধ্যে বিশেষ কিছু আছে। তবে নিজের উন্নতি করতে হবে। তা না হলে অন্যরা আপনাকে ধরে ফেলবে। এখনকার ক্রিকেটাররা অনেক স্মার্ট। নিজের যদি উন্নতি না হয়, যদি কঠোর পরিশ্রম না করেন, আপনাকে ভুগতে হবে। সবখানেই এটা দেখা যাচ্ছে। মুস্তাফিজ বিরাট প্রতিভা সন্দেহ নেই। সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভাল খেলেছে, আইপিএলে ভাল করেছে। আমি নিশ্চিত, আবারও সেই একই মুস্তাফিজকে দেখা যাবে।’ মুস্তাফিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০১৫ সালের এপ্রিলে। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি২০ ম্যাচ দিয়েই মুস্তাফিজের জাতীয় দলের জার্সি জড়ানো হয়। এরপর তো মুস্তাফিজ শুধু উড়েছেন। প্রথম ম্যাচেই ২ উইকেট তুলে নিয়ে আগমনী বার্তা জানিয়ে দিয়েছেন। পাকিস্তানকে প্রথমবারের মতো টি২০তে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এরপর ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হয়। ভারতকে সিরিজে হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকাকেও যে সিরিজে হারায় বাংলাদেশ, মুস্তাফিজ তো উড়ন্ত নৈপুণ্য দেখান। বিশ্ব দরবারে মুস্তাফিজ আলাদাভাবে আসন তৈরি করে নেন। এরপরের সময়টুকু তো মুস্তাফিজের হয় শুধু। কিন্তু বর্তমানে মুস্তাফিজের সেই কার্যকারিতা নেই। বোলিংয়ে যেন নখদন্তহীন হয়ে উঠেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেললেও ইনজুরির জন্য ওয়ানডে ও টি২০ সিরিজ খেলতে পারেননি। মুস্তাফিজের অভিষেক ম্যাচটিতে পাকিস্তানের কোচ ছিলেন ওয়াকারই। সামনে থেকেই মুস্তাফিজের বোলিং দেখেছেন। তাই মনে করছেন আবারও পুরনো রূপে ফিরবেন মুস্তাফিজ। সেই সফর নিয়ে ওয়াকার বলেন, ‘ওই সফরটা আমার জন্য ভাল ছিল না। তবে আবারও এসে ভাল লাগছে।’ সঙ্গে বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়েও মন্তব্য করেন ওয়াকার। বলেন, ‘আপনি যদি আগে থেকেই অভ্যস্ত না হন দক্ষিণ আফ্রিকা কন্ডিশন ফাস্ট বোলারদের জন্য সহজ হবে না। দুই টেস্ট খেলেই ওই কন্ডিশনে ভাল করা যায় না। সেখানে মানিয়ে নিতে ওই কন্ডিশনে দীর্ঘদিন খেলতে হবে।’ বিপিএলে এবার নবাগত দল সিলেট সিক্সার্স। দলটি পেসার অন্বেষণ কর্মসূচী কয়েকদিন ধরেই শুরু করেছে। বুধবার চূড়ান্তপর্বে সুযোগ পাওয়া বোলারদের মধ্য থেকে সেরাদের নির্বাচন করেছেন ওয়াকার। এই কার্যক্রমের চূড়ান্ত বাছাইয়ে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন ওয়াকার। ঢাকায় পা রেখে সিলেটে চলে যান ওয়াকার। সেখানেই পেসার অন্বেষণ কর্মসূচীর চূড়ান্ত ধাপ হয়। মঙ্গলবার ঢাকায় পা রেখে সিলেটে চলে যান ওয়াকার। হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারে স্বাগত জানানো হয় ওয়াকারকে। মঙ্গলবার সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন ওয়াকার। পেসার অন্বেষণ কর্মসূচী নিয়ে ওয়াকার জানান, ‘প্রথমবার বাংলাদেশের কোন ট্যালেন্টহান্ট প্রোগ্রামে এসেছি। সিলেট সিক্সার্সের জন্য ভবিষ্যত তারকা খোঁজা হচ্ছে। আশাকরি সিলেট থেকে প্রতিভাবান বোলার খুঁজে বের করতে পারব। আর তারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে ভাল সার্ভিস দেবে।’
×