ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা প্রথম টি২০ আজ

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা প্রথম টি২০ আজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আবুধাবীতে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি২০ আজ। টেস্টে ২-০তে হারলেও ওয়ানডেতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিরা। পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ৫-০তে ‘হোয়াইটওয়াশ’ করে সরফরাজ আহমেদের দল। টি২০তেও নিশ্চিত ফেবারিট হিসেবে শুরু করবে তারা। অন্যাদকে হ-য-ব-র-ল লঙ্কান শিবিরে টেস্ট সাফল্যের স্মৃতিটুকু উধাও! পূর্ব নির্ধারতি সূচী অনুযায়ী শেষ টি২০ ম্যাচ লাহোরে। উপুল থারাঙ্গাসহ সিনিয়র খেলোয়াড়রা পাকিস্তানে যেতে অস্বীকৃতি জানালে থিসারার নেতৃত্বে আনকোরা একটা দল গড়তে বাধ্য হন নির্বাচকরা। এক ঝাঁক নবীন ক্রিকেটার নিয়ে ছোট্ট ফরমেটে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় লঙ্কানরা। অতিথিদের জন্য কাজটা সহজ হবে না। কারণ সেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় থেকে শুরু করে রঙিন পোশাকে উড়ছে পাকিস্তান। ওয়ানডে সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে দেয়ার আগে লাহোরে তারকাখচিত বিশ্ব একাদশের বিপক্ষে টি২০ সিরিজেও সাফল্য তুলে নেয় স্বাগতিকরা। ফেবারিট না হয়েও অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতে তাক লাগিয়ে দেয় পাকিস্তান। অধিনায়ক সরফরাজ তখনই বিশ্ব ক্রিকেটকে পাকিস্তানমুখী হওয়ার আহ্বান জানান। বছরের শুরুতে লাহোরে সফলভাবে পিএসএলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হওয়ায় বিশ্ব একাদশকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল)। জগদ্বিখ্যাত সব তারকাদের নিয়ে সেখানে তিনটি টি২০ ম্যাচও সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর লাহোরে এই সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলার প্রতিশ্রুতি দেয় শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। কিন্তু আমিরাতে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালেই ঝামেলায় পড়ে তারা। জাতীয় দলসহ শীর্ষ ৪০ ক্রিকেটার লিখিতভাবে পাকিস্তানে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। তার আগেই নিজেকে সরিয়ে নেন রঙিন পোশাকের অধিনায়ক থারাঙ্গাও। পরে বুঝিয়ে মাত্র সাত ক্রিকেটারকে রাজি করানো যায়, তাদের কেউই শীর্ষ তারকা নন। শ্রীলঙ্কাকে টি২০’র পুরো সিরিজটিই তাই নতুনদের নিয়ে খেলতে হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে লাহোরে সফরকারী শ্রীলঙ্কান টিম বাসে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর জিম্বাবুইয়ে ছাড়া আর কোন দেশ পাকিস্তান সফর করেনি। টি২০তে থিসারা, সেকুগে প্রসন্ন আর দিলশান মুনাওয়ারা ছাড়া বাকি নামগুলো তাই খুব একটা পরিচিত নয়Ñ অন্যরা হলেন বিশ্ব ফার্নান্ডো, লাহিরু গামাগে, সচিথ পাথিরানা, আশান প্রিয়ঞ্জন, সামিরা সাদারাবিক্রমে। দুর্ধর্ষ পাকিস্তানের বিপক্ষে এই দলটা কেমন করবে সেটি নিয়ে শংসয় থাকছেই। সরফরাজের হাতে আহমেদ শেহজাদ, বাবর আজম, ফখর জামান, হাসান আলী, ইমাদ ওয়াসিম, শোয়েব মালিক, শাদাব খানের মতো একেকজন ম্যাচ-উইনার পারফর্মার। ব্যাটে-বলে আজম, মালিক, হাসান, শাদাবরা রীতিমতো উড়ছেন, দলকেও ওড়াচ্ছেন তারা। ওয়ানডে সিরিজে আজম আর হাসানের কাছেই বিধ্বস্ত হয় শ্রীলঙ্কা। থিসারার জন্য চ্যালেঞ্জটা তাই অনেক অনেক বেশি। যদিও টি২০’র মতো ছোট্ট ফরমেটের ক্রিকেটে মাত্র তিনঘণ্টার লড়াইয়ে অনেক কিছুই হতে পারে। ২০০৭ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত মুখোমুখি ১৫ টি২০ ম্যাচের ১০টিতেই জয় পাকিস্তানের, শ্রীলঙ্কা ৫। যেখানে শেষ ৫ দেখায় ৪ জয় পাকিদের। গত বছর মার্চে ঢাকায় এশিয়া কাপে দু’দলের শেষ ম্যাচটিতেও বড় জয় পেয়েছিল শহীদ আফ্রিদির পাকিস্তান।
×