ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পায়ুপথে সোনা রেখেও শেষ রক্ষা হলো না

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

পায়ুপথে সোনা রেখেও শেষ রক্ষা হলো না

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চল্লিশ লাখ টাকার সোনা যদি গুহ্যদ্বারে লুকিয়ে আনা সম্ভব হয়, তাহলে আর এর চেয়ে নিরাপদ কৌশল কি হতে পারে। এমন নিরাপদ কৌশল ব্যবহার করেও শেষ রক্ষা হয়নি মোশারফের। উড়োজাহাজ থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে চ্যালেঞ্জ করে বসে শুল্ক গোয়েন্দার দল। তারপর অবিশ্বাস্য কায়দায় সোনা পাচারের এই কাহিনীর বর্ণনা দেন তিনি। বুধবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণমানব খ্যাত এই যাত্রীকে আটক করা হয়। এ সময় তার পায়ুপথ থেকে সাতটিসহ মোট আটটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকালে তাকে আটক করা হয়। ওই যাত্রী চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৫০ বার মালয়েশিয়া যাতায়াত করেন। আটক স্বর্ণমানবের নাম মোশারফ হোসেন (৪২)। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান। বুধবার ভোরে মালয়েশিয়া থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-০৮৭ ফ্লাইটে শাহজালালে অবতরণ করেন তিনি। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেন, ঢাকায় অবতরণের পর থেকেই তাকে নজরদারিতে রাখা হয়। কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে গ্রিন চ্যানেল পেরিয়ে চলে যাওয়ার সময় তাকে চ্যালেঞ্জ করে শুল্ক গোয়েন্দারা। তার চোখে কালো দাগ ও হাঁটাচলায় অস্বাভাবিক হওয়ায় শুল্ক গোয়েন্দার সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। পরে আর্চওয়ে মেশিনে হাঁটিয়ে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়। তবে তিনি স্বর্ণ বহনের বিষয়টি স্বীকার না করায় উত্তরার একটি ক্লিনিকে নিয়ে এক্সরে করানো হয়। রিপোর্টে তার তলপেট ও গুহ্যদ্বারে সোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে সে নিজে সোনা বের করতে রাজি হয়। দুপুরে টয়লেটের অভ্যন্তরে বিশেষ কায়দায় পায়ুপথ দিয়ে একে একে ৭টি সোনা বের করে আনেন তিনি। এ ছাড়াও তার মানিব্যাগ থেকে আরও ১টি বার উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে যাত্রী জানায়, এসব সোনা আকাশপথে টয়লেটের ভেতরে গিয়ে নিজেই পুশ করেন। আটক আটটি বারের প্রতিটির ওজন ১০০ গ্রাম। এগুলোর মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা। আটক মোশারফ হোসেনকে চোরাচালানের দায়ে গ্রেফতার এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
×