ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জাহিদুর রহমান

মালিক-চালকের সচেতনতা

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

মালিক-চালকের সচেতনতা

পুরনো বাড়ি আর পুরনো গাড়ি যা মানুষের ভয়ের কারণ। পুরনো বাড়িতে বসবাস করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। আর পুরনো গাড়িতে চড়তে হয় প্রাণ হাতে নিয়ে। কারণ গাড়ির ধর্মই হলো গতিবেগে ছোটা, সময়মতো যদি গতির নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তবে ঘটে দুর্ঘটনা। একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। এই কান্নার মিছিল যেন থামছেই না; যার কারণ হিসেবে প্রধানত চিহ্নিত করা হয় চালকের অদক্ষতা ও পুরনো জরাজীর্ণ গাড়ি। এ সম্পর্কিত বিভিন্ন নিয়ম-কানুন থাকলেও যথাযথ প্রয়োগ নেই। আমাদের দেশে নিয়মিত আইন প্রণয়ন, মাঝে মধ্যে তদারকি, লক্কড় ঝক্কড় তথা ফিটনেসবিহীন গাড়ি দূর করতে মাঠে নামে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে মজার ব্যাপার হলো মোবাইল কোর্ট মাঠে নামার পরদিন থেকেই ফিটনেসবিহীন গাড়ি উধাও। যার ফলে সাড়ে ৩ কোটি মানুষের নগরীতে নেমে আসে এক চরম ভোগান্তি। এই ভোগান্তির কথা চিন্তা করেই হয়ত ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলার অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ। যার ফলস্বরূপ ঘটে নিয়মিত দুর্ঘটনা। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ হিসেবে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই দীর্ঘদিনের সমস্যা হতে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে নির্মাণ করতে হবে শর্টফিল্ম। যাতে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালনার ফলে সৃষ্ট সমস্যা ও তার কুফল সম্পর্কিত সকল চিত্র ধারণ করতে হবে, সেই ফুটেজ জেলাভিত্তিক পরিবহন সেক্টরের চালক ও মালিক সম্মেলন করে তাদের দেখানো উচিত যাতে করে অন্ততপক্ষে অজ্ঞতা দূর হয়। আমার বিশ্বাস, সচেতনতাই পারে অসুস্থ পরিবেশকে আলোর পথে আনতে। আমরা চাই না, অজ্ঞতার কারণে কোন মায়ের বুক খালি হোক; কোন বন্ধু তার সহপাঠীকে হারাক, কোন বাবা তার সন্তানকে হারাক। তাই আইন ভঙ্গকারী যেন কোন ফাঁকফোকর দিয়ে রক্ষা না পায়। তাই অবশ্যই ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে। কাপাসিয়া, গাজীপুর থেকে
×