ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যাত্রী জিম্মি করে ব্যবসা

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

যাত্রী জিম্মি করে ব্যবসা

সাধারণ সড়ক কিংবা হাইওয়ে সর্বত্র ফিটনেসবিহীন লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ির ছড়াছড়ি। ফিটনেসবিহীন লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি রাস্তায় চলাচল করায় যত্রতত্র ইঞ্জিন বিকল হয়ে সৃষ্টি করে যানজটের। সরু এবং ব্রিজের ওপরে বিকল হলে তো যানজট নামক ভোগান্তির সীমা পরিসীমা থাকে না। মহাসড়কে ফিটনেস ও অনুমোদনহীন নসিমন, করিমন, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহন প্রতিনিয়ত চলছে। চলছে লক্কড়-ঝক্কড় মার্কা বেআইনী অটো মিনিবাস ও বাস। উৎসব আসলে ওয়ার্কসপগুলোতে ফিটনেসবিহীন গাড়ি মেরামতের হিড়িক পড়ে। সাদা, কালো, লাল বাহারি রঙে গাড়িটি রঙিন হলেও ইঞ্জিন থাকে তার আগের রূপে। পুরো দেশের রাস্তা এ রকম গাড়িতে সয়লাব। এ সকল গাড়ি বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যায় দুর্ঘটনা। ফিটনেস নেই তবু রাজপথে আছে। চলার যোগ্য নয়, তার পরেও চলছে। রাজধানীতে চলছে এমন লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ির সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়েছে আরও আগে। এসব গাড়িই গলার কাঁটার মতো ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি করছে। আইনকে তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলাচলের অযোগ্য এ সকল গাড়ি দিয়ে ব্যবসা করছেন এক শ্রেণীর পরিবহন মালিক। সেবা তো নয়ই যাত্রীরা সামান্যতম নিরাপদ নয় এ সকল ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহনে। এসবে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির সঙ্গে ঘটছে দুর্ঘটনা। সারাদেশে পরিবহন সেক্টরে একটা বিশৃঙ্খলা অবস্থা বিরাজ করছে। রাজধানীর অবস্থা আরও করুণ। এ রকম ফিটনেসবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন চলাচলের কারণে দুর্ভোগের পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়ছে পরিবেশ। নষ্ট হচ্ছে রাজধানীর সৌন্দর্য। ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচলকে কয়েকদিন ধরপাকড় করলেই সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। অভিযানের ফলটা যেন দীর্ঘদিন স্থায়ী হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে। পরিবহন খাত এক মাফিয়া চক্রের হাতে চলে গেছে। এটা সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। সহজে এ খাতের নৈরাজ্য দূর করা যাবে না। এ চক্রের কাছে অনেক ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও জিম্মি। রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস বাস চালু করতে গিয়ে খোদ এই সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রীকেও অসহায়ের মতো পিছু হটতে হয়েছে। ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযানের বিষয়ে শক্ত অবস্থান গ্রহণ জরুরি। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে হবে। দুর্ঘটনা কমাতে ও পরিবেশ রক্ষায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচলে বন্ধে যে কোন উদ্যোগ বা অভিযান সফলতা পাক, এটাই প্রত্যাশা। পল্লবী, ঢাকা থেকে
×