ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আশঙ্কা ও ভোগান্তি;###;আরাফাত শাহীন

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ লক্কড়-ঝক্কড় অটো-মিনিবাস

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ লক্কড়-ঝক্কড় অটো-মিনিবাস

একটি দেশের দ্রুত উন্নয়নের স্বার্থে পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়া অন্যতম প্রধান শর্ত। পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না হলে দেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে নিঃসন্দেহে অনেক উন্নত। দ্রুত দেশের এক অঞ্চল থেকে পণ্য পরিবহন এবং মানুষের যাতায়াতের জন্য যেমন সড়কগুলো পূর্বের তুলনায় উন্নত করা হয়েছে তেমনি মহাসড়কে নিত্যনতুন প্রযুক্তির যানবাহনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরও আমাদের পরিবহন ও যোগাযোগ খাত নানা সমস্যায় জর্জরিত। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও সড়কগুলো হতে অবৈধ এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি অপসারণ করা আজও সম্ভব হয়নি। এ সমস্ত অবৈধ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে মারাত্মক সব দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনায় ব্যাপক প্রাণহানির পাশাপাশি দেশের প্রচুর সম্পদ হচ্ছে বিনষ্ট। অথচ আমাদের একটু আন্তরিক সদিচ্ছার মাধ্যমে আমরা যদি এ সমস্ত ফিটনেসবিহীন যানবাহনগুলো সড়ক হতে সরিয়ে দিতে পারতাম তাহলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব হতো। রাজধানী ঢাকা শহরের মানুষ পরিবহন ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়। একে তো যানযটের কারণে নাকাল শহরবাসী। তারপর আবার ফিটনেসবিহীন অবৈধ যানবাহনের ছড়াছড়ি। এক পরিসংখ্যান হতে জানা যায়, ঢাকার সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল করার কথা দুই লাখ। কিন্তু সেখানে চলছে ১০ লাখের বেশি। শুধু তাই নয়, এখানে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ! এসব ফিটনেসবিহীন গাড়ির কারণে যত্রতত্র ঘটছে দুর্ঘটনা। বিভিন্ন সময়ে সরকারী ব্যবস্থাপনায় ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু অভিযান শেষ হলেই আবার এ সমস্ত ফিটনেসবিহীন গাড়িকে রাস্তায় নামিয়ে দেয়া হয়। ফলে যাত্রীরা ব্যাপক হয়রানির পাশাপাশি প্রাণহানিরও শিকার হয়। অবিলম্বে এসব ফিটনেসবিহীন লক্কড়ঝক্কড় গাড়িগুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলা জরুরী। তা না হলে প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকবে দুর্ঘটনা এবং বাড়তে থাকবে প্রাণহানির সংখ্যা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
×